৫ম গণবিজ্ঞপ্তিতে ইনডেক্সধারীদের সুপারিশের অভিযোগ, যা বলছে এনটিআরসিএ
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ১২ জুন ২০২৪, ০৫:৪১ PM , আপডেট: ১২ জুন ২০২৪, ০৫:৪৭ PM
৫ম গণবিজ্ঞপ্তিতে ইনডেক্সধারী শিক্ষকদের সুপারিশের অভিযোগ উঠেছে। এর ফলে অনেকেই পছন্দের প্রতিষ্ঠানে নিয়োগ সুপারিশ পাননি বলে অভিযোগ তুলেছেন। বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ) বলছে, তথ্য গোপন করে কেউ আবেদন করে থাকতে পারে। যথাযথ প্রমাণসহ এনটিআরসিএতে লিখিত অভিযোগ দিলে সংশ্লিষ্টদের আবেদন বাতিলসহ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
গতকাল মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৯টায় ৫ম গণবিজ্ঞপ্তির প্রাথমিক সুপারিশের ফল প্রকাশিত হয়। প্রাথমিকভাবে ২২ হাজারের কিছু বেশি প্রার্থীকে নিয়োগ সুপারিশ করা হয়েছে।
চাকরিপ্রার্থীরা বলছেন, ৫ম গণবিজ্ঞপ্তির নীতিমালায় স্পষ্ট করে বলা হয়েছে, ইনডেক্সধারী শিক্ষকদের গণবিজ্ঞপ্তিতে আবেদনের সুযোগ নেই। তবে নীতিমালা ভেঙে অনেক ইনডেক্সধারী শিক্ষক আবেদন করেছেন। তাদের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে সুপারিশও করা হয়েছে। এর ফলে অনেকেই নিজের প্রথম পছন্দের প্রতিষ্ঠানে সুপারিশ পাননি।
আরও পড়ুন: সহকারী মৌলভী ও আইসিটি সনদধারীদের সুপারিশ নিয়ে যা জানা গেল
সুমাইয়া ইয়াসমীন নামে এক প্রার্থী বলেন, আমার প্রথম পছন্দ ছিল ধানমন্ডির নিউ গভঃ ডিগ্রি কলেজ। তবে সেখানে ইনডেক্সধারী এক শিক্ষককে সুপারিশ করা হয়েছে। যিনি চতুর্থ গণবিজ্ঞপ্তিতে রাজধানীরই আরেকটি প্রতিষ্ঠানে সুপারিশ পেয়েছেন। এনটিআরসিএ’র উচিত ছিল ইনডেক্সধারীদের বাদ দিয়ে নিয়োগ সুপারিশ করার।
প্রার্থীদের এসব অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে এনটিআরসিএ’র সচিব ওবায়দুর রহমান দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, আমরা ১৬তম ইনডেক্সধারীদের তথ্য সংগ্রহ করেছিলাম। তাদের মধ্যে যারা আবেদন করেছিলেন তাদের বাদ দেওয়া হয়েছে। তবে কিছু প্রার্থী হয়তো তথ্য গোপন করেছিলেন। যার কারণে তারা সুপারিশ পেয়ে থাকতে পারেন।
তিনি আরও বলেন, কোনো ইনডেক্সধারী যদি ৫ম গণবিজ্ঞপ্তিতে নিয়োগের প্রাথমিক সুপারিশ পেয়ে থাকেন তাহলে তাদের বিষয়ে সুনির্দিষ্ট তথ্য-প্রমাণসহ এনটিআরসিএতে অভিযোগ করতে হবে। অভিযোগ পেলে আমরা বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেব।
এর আগে গত ৩১ মার্চ বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ৯৬ হাজার ৭৩৬টি পদে শিক্ষক নিয়োগের গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। এর মধ্যে স্কুল অ্যান্ড কলেজে ৪৩ হাজার ২৮৬টি এবং মাদরাসা ও কারিগরি প্রতিষ্ঠানে ৫৩ হাজার ৪৫০টি পদে শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হবে। ৫ম গণবিজ্ঞপ্তিতে আবেদন গ্রহণ শেষ হয়েছে গত ৯ মে। ১০ মে রাত ১২টা পর্যন্ত আবেদনের ফি জমা দিতে পেরেছেন আবেদনকারীরা। ৫ম গণবিজ্ঞপ্তিতে আবেদন করেছিলেন ২৩ হাজার ৭৩২ জন। এদের মধ্যে প্রাথমিকভাবে ২২ হাজারের কিছু বেশি প্রার্থীকে নিয়োগের সুপারিশ করা হয়।