শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষায় পাস করেও বয়স শেষ, চাকরির দাবিতে মানববন্ধন
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ২২ মে ২০২৪, ০৫:১৯ PM , আপডেট: ২২ মে ২০২৪, ০৫:১৯ PM
বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ) দেরিতে ফল প্রকাশ করায় ১৭তম শিক্ষক নিবন্ধনে পাস করা অনেক চাকরিপ্রার্থীর বয়স ৩৫ বছর অতিক্রম করেছে। প্রতি বছর একবার পরীক্ষা নেওয়া ও ফল প্রকাশের নিয়ম থাকলেও ২০২০ সালের পরীক্ষার ফল দেওয়া হয় ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে। এতে প্রিলিমিনারি, লিখিত ও ভাইবা পরীক্ষায় পাস করা অনেকের বয়স ৩৫ বছর পার হয়েছে। এসব প্রার্থীর বয়সসীমা শিথিল করে চাকরিতে প্রবেশের সুযোগ পেতে মানববন্ধন করেন পাস করা প্রার্থীরা৷
বুধবার (২২ মে) দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে মানববন্ধন ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন ১৭তম নিবন্ধনে উত্তীর্ণরা। এতে শতাধিক চাকরিপ্রার্থী অংশ নেন।
মানববন্ধনে তারা বলেন, ১৭তম শিক্ষক নিবন্ধনের সার্কুলার হয় ২০২০ সালের ২৩ জানুয়ারি। কিন্তু করোনা পরিস্থিতি ও এনটিআরসিএ’র গড়িমসির কারণে এ পরীক্ষা আয়োজন শেষ করতে চার বছরের বেশি সময় গেছে। সর্বশেষ গত বছর ২৮ ডিসেম্বর চূড়ান্ত ফলাফল হয়। এরই মধ্যে এনটিআরসিএ’র তথ্য মতে ৭৩৯ জন চাকরিপ্রার্থীর ৩৫ বছর বয়স শেষ হয়েছে। কিন্তু এতে আমাদের কোনো দোষ নেই। এনটিআরসিএ সঠিক সময়ে ফলাফল প্রকাশ করলে আমাদের বয়স ৩৫ বছর পার হতো না। এর দায় কি আমাদের! বয়সের বাঁধাধরা নিয়মের কারণে আমরা ৫ম নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে আবেদন করতে পারিনি। আমাদের নামেমাত্র সনদ দেওয়া হয়েছে। চাকরি না পেলে সনদ দিয়ে কী করবো?
মানববন্ধনে তারা আরও বলেন, আমরা জানতে পেরেছি বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ৯৬ হাজার ৭৩৬ শূন্যপদে শিক্ষক নিয়োগের ৫ম নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে ১৬ ও ১৭তম নিবন্ধনধারী ২৪ হাজারেরও কম প্রার্থী আবেদন করেছে। অথচ এনটিআরসিএ’র নিবন্ধনে পাস করে আমরা ১৭তম শিক্ষক নিবন্ধনকারীর কপাল পুড়েছে।
মানববন্ধনে তারা বলেন, ১৭তম শিক্ষক নিবন্ধনধারী ৭৩৯ জন একটি বিজ্ঞপ্তিতেও আবেদনের সুযোগ পাচ্ছি না। ২০২০ সালের সার্টিফিকেট ২০২৪ সালে পাওয়ার পর যদি একবারও আবেদন করতে না পারি, তাহলে আমাদের ওপর মানবাধিকার লংঘন হওয়ার পাশাপাশি সার্টিফিকেট এবং মেধার অবমূল্যায়ন করা হচ্ছে। আমাদের দাবি, আমাদের গণবিজ্ঞপ্তিতে নিয়োগের সুযোগ করে দেওয়া হোক।