৫ম নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে আবেদনের সময়সীমা বৃদ্ধির দাবি প্রার্থীদের

মানববন্ধনে এক প্রার্থী শুয়ে পড়েন
মানববন্ধনে এক প্রার্থী শুয়ে পড়েন  © টিডিসি ফটো

১৭তম শিক্ষক নিবন্ধনে চূড়ান্তভাবে উত্তীর্ণ হয়েও বয়সের জটিলতায় পঞ্চম গণবিজ্ঞপ্তিতে আবেদনের সুযোগ পাচ্ছেন না ৭৩৯ জন প্রার্থী। তারা বলছেন, অন্যান্য গণবিজ্ঞপ্তিতে বয়সের ছাড় থাকলেও তাদেরকে সে সুযোগ দেওয়া হয়েছে। তাই তারা বয়সের ছাড় দিয়ে আবেদনের সময়সীমা বৃদ্ধির দাবি জানিয়েছেন। দাবি আদায়ে বুধবার (২২ মে) সকাল ১০টায় জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে মানববন্ধন ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন তারা। 

কর্মসূচিতে অংশ নেওয়া প্রার্থীরা বলেন, ২০২০ সালের জানুয়ারি মাসে ১৭তম নিবন্ধনের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। চূড়ান্ত ফল প্রকাশিত হয় ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে। একটি নিবন্ধনের কার্যক্রম শেষ করতে প্রায় চার বছর লেগেছে। এতে তাদের ৭৩৯ জনের বয়স শেষ হয়ে গেছে। তাই এখন তারা আবেদনের সময়সীমা বৃদ্ধির দাবি তাদের।

মানববন্ধনে অংশ নেওয়া নাজমা আক্তার নামে এক প্রার্থী বলেন, আমরা প্রিলি, রিটেন ও ভাইভা দিয়ে চাকরি জীবনে একটি সার্টিফিকেট অর্জন করেছি। অথচ সেই সার্টিফিকেট দিয়ে আমরা চাকরি পাচ্ছি না। এনটিআরসিএ আমাদের জীবন থেকে চারটি বছর কেড়ে নিয়েছে। এনটিআরসিএ আমাদের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে যেতে বলছে, কিন্তু কোন কাজ হচ্ছে না। আমরা এখন অন্তত একবার হলেও আবেদনের সুযোগ চাই।

জানা যায়, বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ৯৬ হাজার ৭৩৬ শূন্যপদে শিক্ষক নিয়োগের ৫ম নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে ২৪ হাজারেরও কম প্রার্থী আবেদন করেছে। এতে এনটিআরসিএর নিবন্ধনে পাস করে আমরা ১৭তম শিক্ষক নিবন্ধন দ্বারীদের কপাল পুড়ছে। ২০২০ সালের ১৭তম শিক্ষক নিবন্ধন এর এনটিআরসিএ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ থেকে শুরু করে মৌখিক পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করতে চার বছরের অধিক সময় অতিবাহিত হয়। যাহা একমাত্র কারণ হচ্ছে করোনা মহামারি। পরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলেও এনটিআরসিএর খামখেয়ালির কারণে পরীক্ষার আয়োজন করতে ব্যর্থ হয়।

এর আগে, একই দাবিতে এনটিআরসিএ কার্যালয়ের সামনে একাধিকবার মানববন্ধন করেন ১৭তম নিবন্ধনের ৩৫ ঊর্ধ্বরা। এছাড়া আবেদনের সুযোগ চেয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়, শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং এনটিআরসিএ’র চেয়ারম্যান বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছেন তারা।


সর্বশেষ সংবাদ