প্রভাষকের হাতে মাদ্রাসা অধ্যক্ষ জখম!
- পটুয়াখালী প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ৩১ আগস্ট ২০২২, ০৯:৫৮ PM , আপডেট: ৩১ আগস্ট ২০২২, ০৯:৫৮ PM
পটুয়াখালীর দুমকিতে একটি মাদ্রাসায় ভাইস-প্রিন্সিপাল পদে নিয়োগকে কেন্দ্র করে আরবি প্রভাষকের হাতে ওই মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা কাজী শাহ জালাল গুরুতর জখম হয়েছেন। এ ঘটনায় অভিযুক্ত আরবি প্রভাষক মো. মজিবুর রহমান ওরফে কামাল সহ ৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
বুধবার (৩১ আগষ্ট ) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার মুরাদিয়া মহিলা ফাজিল মাদ্রাসা সংলগ্ন ব্রিজের কাছে রাস্তার ওপরে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ২০২১ সালের সর্বশেষ পরিপত্র অনুযায়ী মুরাদিয়া মহিলা ফাজিল মাদ্রাসা অধ্যক্ষ মাওলানা কাজী শাহ জালাল তার প্রতিষ্ঠানে ভাইস- প্রিন্সিপাল পদে নিয়োগের লক্ষ্যে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেন। এই নিয়োগকে কেন্দ্র করে সাবেক অধ্যক্ষ মাও. আ. মতিন এর ছেলে মাদ্রাসার আরবি প্রভাষক মাও. মজিবুর রহমান ওরফে কামাল ও বর্তমান অধ্যক্ষের মাঝে বিরোধ দেখা দেয় এবং এ নিয়ে মামলা হয়।
গত শনিবার মাদ্রাসায় অনুপস্থিত থাকায় আরবি প্রভাষক মাও: মো. মজিবুর রহমান কামালকে শোকজ করেন অধ্যক্ষ মাও. কাজী শাহজালাল। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে অধ্যক্ষ মাও. কাজী মো. শাহজালাল মাদ্রাসা গেটে পৌঁছালে মজিবুর রহমান ওরফে কামাল তার ওপর অতর্কিতভাবে হামলা করেন। এ সময় তাকে এলোপাথারি কিল ঘুষি ও লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে রক্তাক্ত করে। খবর পেয়ে মাদ্রাসার সহকর্মীরা আহত অধ্যক্ষকে উদ্ধার করে দুমকি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। পরে অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজে ভর্তি করা হয়।
আরও পড়ুন: কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগে টিকটকার গ্রেপ্তার
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মাদ্রাসার এক শিক্ষক ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ঘটনার পর পরই তার (মাও. মজিবুর রহমান) ছেলে রইস উদ্দিনের নেতৃত্বে মাদ্রাসার অফিস কক্ষে ঢুকে অধ্যক্ষের টেবিলের গ্লাস, আসবাবপত্র ভাংচুর ও কাগজপত্র তছনছ করেছে।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে মাও: মজিবুর রহমান ওরফে কামাল দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, ২০০৫ সালে তৎকালীন সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রণজিৎ কুমার দাস আমাকে নিয়োগ দেন। তা সত্ত্বেও বর্তমান অধ্যক্ষ ২০২১ সালের সর্বশেষ বেসরকারি স্কুল কলেজ এমপিও নীতিমালা ও জনবল কাঠামো অনুসরণ করে ভাইস-প্রিন্সিপাল পদে নিয়োগ বিজ্ঞাপ্তি দেন।
তিনি আরও বলেন, গত ২০ আগষ্ট আমার ভাগ্নে মারা যায়। আমি অধ্যক্ষের টেবিলে আবেদন রেখে আসি। কিন্তু আমার আবেদন বিলুপ্ত করে আমাকে শোকজ দেয়। আমি উক্ত শোকজের জবাব দিলেও ২ য় দফায় শোকজ দেয়। সে সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলে সে ক্ষিপ্ত হয় এবং আমার সাথে হাতাহাতি হয়। আমিও আহত হয়েছি।
দুমকি থানার ওসি আবদুস সালাম বলেন, এ ঘটনায় মাদ্রসার অফিস সহকারি মাওলানা মোহেব্বুল্লাহ বাদি হয়ে একটি মামলা দায়ের করেছেন। তদন্ত সাপেক্ষে এ বিষয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।