পরীক্ষার আগে ‘চিত্ত-বিনোদন’ করতে বের হয়েছিলেন তারা

ছবিতে দুর্ঘটনার কবলে পড়া মাইক্রোবাসের যাত্রী
ছবিতে দুর্ঘটনার কবলে পড়া মাইক্রোবাসের যাত্রী  © সংগৃহীত

চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে লেভেলক্রসিংয়ে ট্রেনের ধাক্কায় মাইক্রোবাসের ১১ আরোহী নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আরও পাঁচজন আহত হয়েছে। তারা ছিলেন হাটহাজারী উপজেলার জোগীরহাট এলাকার আর অ্যান্ড জে প্লাস কোচিং সেন্টারের শিক্ষার্থী ও শিক্ষক। পরীক্ষার আগে চিত্ত বিনোদনের জন্য খৈয়াছড়া ঝরণা দেখতে গিয়েছিলো তারা। 

জানা যায়, এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার আগে শিক্ষার্থীদের বিনোদনের জন্য এই পিকনিকের আয়োজন করেছিল কোচিং সেন্টার কর্তৃপক্ষ। পিকনিকে যাওয়ার জন্য সবাই ৫০০ টাকা করে চাঁদা দিয়েছিলেন। শিক্ষার্থী, শিক্ষক এবং চালক ও হেল্পারসহ মাইক্রোবাসে মোট ১৮ জন আরোহী ছিলেন।

তাদের মধ্যে জিসান, সজিব, রাকিব ও রিদওয়ান কোচিংয়ের শিক্ষক। ৫ জন জোগিরহাট জিয়াউর রহমান কলেজের এইচএসসি পরীক্ষার্থী, ৬ জন নজুমিয়া হাইস্কুলের এসএসসি পরীক্ষার্থী। বাকি ২ চালক ও হেলপার।

নিহত শিক্ষার্থীদের মধ্যে একজনের পরিচয় জানা গেছে। তিনি হলেন নজুমিয়া হাইস্কুলের এসএসসি পরীক্ষার্থী মুসাহাব আহমেদ হিশাম। বাকিদের পরিচয় এখনো শনাক্ত করা যায়নি।

শুক্রবার (২৯ জুলাই) বেলা দেড়টার দিকে উপজেলার বড়তাকিয়া রেল স্টেশনে মহানগর প্রভাতি ট্রেনের সঙ্গে পর্যটকবাহী মাইক্রোবাসটির এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। নিহতরা সবাই খৈয়াছড়া ঝরণা দেখতে যাচ্ছিলেন বলে অবহিত করেছে পুলিশ।

মিরসরাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কবির হোসেন বলেন, মাইক্রোবাসের আরোহীরা খৈয়াছড়া ঝরনা দেখে ফেরার সময় ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা চট্টগ্রামগামী মহানগর প্রভাতীর ধাক্কায় ১১ জন ঘটনাস্থলেই নিহত হন।

রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের বিভাগীয় পরিবহন কর্মকর্তা আনসার আলী জানান, মহানগর প্রভাতী ট্রেনটি বড়তাকিয়া ক্রস করার সময় লাইনে ওঠে যায় মাইক্রোবাস। এ সময় ট্রেনের ধাক্কায় মাইক্রোবাসটি কিছু দূর চলে যায়। লেভেলক্রসিংয়ের বাঁশ ঠেলে মাইক্রোবাস লাইনে উঠলে দুর্ঘটনাটি ঘটে।


সর্বশেষ সংবাদ