মাউশির ক্যাশিয়ার পদে ভাইভা দিয়েছেন ছাত্রলীগের সেই নেতা

ছাত্রলীগ নেতা রাসেল জমাদ্দার
ছাত্রলীগ নেতা রাসেল জমাদ্দার  © টিডিসি ফটো

স্নাতক চতুর্থ বর্ষ পরীক্ষার ভাইভায় দাওয়াত না দেওয়ায় শিক্ষককে মারধরের ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। এ মামলায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সরকারি কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রাসেল জমাদ্দারকে এজাহারভুক্ত আসামী করা হয়েছে।

শনিবার (২ এপ্রিল) দুপুরে পালং মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আক্তার হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এর আগে, শনিবার সকালে ওই কলেজের অধ্যক্ষ মো. হারুন অর রশিদ বাদী হয়ে এ মামলা দায়ের করেন।

এই মামলার অন্য আসামীরা হলেন- কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি সোহাগ বেপারী (৩৭) ও অজ্ঞাতনামা ২০/২৫ জন ছাত্রলীগ কর্মী।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মামলার এজাহারভুক্ত আসামী রাসেল জমাদ্দার সম্প্রতি মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) নিয়োগ পরীক্ষায় অংশ নিয়েছেন। তিনি মাউশির ক্যাশিয়ার পদে ভাইভা দিয়েছেন। ভাইভায় উত্তীর্ণ হলে তিনি ওই কলেজেই পদায়ন নিবেন বলে স্থানীয় একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে।

এদিকে সরকারি চাকরির বিধিমালা অনুযায়ী, কোনো ব্যক্তির বিরুদ্ধে ফৌজদারি আইনে কোনো ধরনের অভিযোগ থাকলে তিনি সরকারি চাকরির প্রাপ্তিতে অযোগ্য বলে বিবেচিত হবেন।

এ ব্যাপারে মাউশির ডিজি অধ্যাপক নেহাল আহমেদ জানান, উনি ভাইভায় অংশ নিয়েছেন। উনি আসলেই সুযোগ পাবেন কিনা তা অগ্রিম বলা যাচ্ছে না। মেধার ভিত্তিতে নিয়োগে সুপারিশ করা হবে। এছাড়া সরকারি যেকোনো নিয়োগে পুলিশ ভেরিফিকেশন করা হয়।

আরও পড়ুন : শিক্ষককে মারধরের ঘটনায় ছাত্রলীগের দুই নেতার বিরুদ্ধে মামলা

তিনি আরও জানান, কারোর বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা থাকলে পুলিশ ভেরিফিকেশনে তিনি বাদ পরে যাবেন। আর এ ঘটনা যেহেতু সকলেই অবগত রয়েছেন, এতে ভাইভায় তিনি উত্তীর্ণ হলেও পুলিশ ভেরিফিকেশনে বাদ পরবেন।

এদিকে আসামীদের গ্রেফতারের বিষয়ে পালং মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আক্তার হোসেন জানান, মামলা দায়ের করা হয়েছে। আসামিদের গ্রেফতারে পুলিশের একাধিক দল অভিযান পরিচালনা করছে। খুব দ্রুত আসামীদের গ্রেফতার করা হবে।

জানা গেছে, বুধবার বাংলা বিভাগের স্নাতক চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থীদের মৌখিক পরীক্ষা চলছিল। এ সময় হঠাৎ করেই সেখানে শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি সোহাগ বেপারি ২০-২৫ জন নেতাকর্মী নিয়ে উপস্থিত হন।

এ সময় তিনি বিএম সোহেলকে তাদের কেন দাওয়াত দেওয়া হয়নি সেটি জানতে চান। ভুক্তভোগী শিক্ষক এ বিষয়ে কথা বলতে বিভাগের জ্যেষ্ঠ এক শিক্ষককে ডেকে আনার কথা বললে সোহাগ ওই শিক্ষকের ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে লাথি মারেন। এ ঘটনার পরে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে এ কলেজ ছাত্রলীগের কমিটি বিলুপ্ত করা হয়।


সর্বশেষ সংবাদ

×
  • Application Deadline
  • December 17, 2025
  • Admission Test
  • December 19, 2025
APPLY
NOW!
GRADUATE ADMISSION
SPRING 2026!
NORTH SOUTH UNIVERSITY
Center of Excellence