দাদা-দাদির কবরের পাশে শায়িত হলেন হাদিসুর

ইউক্রেনে রকেট হামলায় নিহত এমভি বাংলার সমৃদ্ধির নিহত নাবিক হাদিসুর রহমানের দাফন সম্পন্ন হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৫ মার্চ) সকালে উপজেলার হোসনাবাদ ইউনিয়নের কদমতলা বাজারের পূর্ব পাশের মাঠে তার জানাজা সম্পন্ন হয়। পরে পারিবারিক করবস্থানে দাদা-দাদির কবরের পাশে তাকে দাফন করা হয়।

এর আগে, সোমবার দুপুর ১২টা ৫ মিনিটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে হাদিসুরের মরদেহবাহী তার্কিশ এয়ারের ফ্লাইটটি পৌঁছায়। পরে হাদিসুরের বাসায় তার মরদেহ নিয়ে যাওয়া হয়।

আরও পড়ুন  : কুয়েটে শিক্ষক-কর্মকর্তা ও কর্মচারী পদে বিশাল নিয়োগ

রোববার রাতে হাদিসুরের মরদেহ দেশে পৌঁছানোর কথা ছিল। কিন্তু বুখারেস্ট এয়ারপোর্টে প্রচণ্ড তুষারপাতের কারণে প্রায় শতাধিক ফ্লাইট বাতিল হয়। পরবর্তীতে ফের শিডিউল ঠিক করে রোববার রাতে বুখারেস্ট ছাড়ে মরদেহবাহী ফ্লাইটটি।

জানা গেছে, তার্কিশ এয়ারের টিকে৭২২ ফ্লাইটটি বুখারেস্ট থেকে প্রথমে ইস্তাম্বুল বিমানবন্দরে পৌঁছায়। বাংলাদেশ সময় ভোর ৫টা ২৩ মিনিটে সেখান থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয়।

প্রসঙ্গত, বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশনের মালিকানাধীন সমুদ্রপথে পণ্যবাহী জাহাজ এমভি ‘বাংলার সমৃদ্ধি’ গত ২২ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনের অলভিয়া বন্দরে গিয়ে আটকা পড়ে। ২ মার্চ জাহাজে রকেট হামলা হয়। এতে জাহাজটি মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং থার্ড ইঞ্জিনিয়ার হাদিসুর রহমান মারা যান। তার বাড়ি বরগুনার বেতাগী।

আরও পড়ুন : মাদকবিরোধী র‍্যালি করায় মারধরের অভিযোগ

হামলার ঘটনার পর দিন জাহাজটিকে পরিত্যক্ত ঘোষণা করে বাকি ২৮ নাবিককে জীবিতাবস্থায় উদ্ধার করে প্রথমে ইউক্রেনের একটি শেল্টার হাউজে রাখা হয়। সেখান থেকে মলদোভা হয়ে তাদের রোমানিয়া নিয়ে যাওয়া হয়। রোমানিয়ার রাজধানী বুখারেস্ট থেকে টার্কিশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে গত বুধবার দুপুরে তারা দেশে ফিরে আসেন।

হাদিসুর রহমান বেতাগীর হোসনাবাদ গ্রামের আবদুর রাজ্জাক মাস্টারের ছেলে। তার চাচা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মাকসুদুর রহমান।

চট্টগ্রাম মেরিন একাডেমী থেকে পাস করে হাদিসুর ২০১৮ সাল থেকে জাহাজটিতে ছিল। ইউক্রেনে আটকে পড়ার পরও তার সঙ্গে পরিবারের নিয়মিত যোগাযোগ ছিল।

The Daily Campus এর খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন