৩০ জনের মধ্যে ইসির ডাকে সাড়া দিলেন ১৩ শিক্ষাবিদ

শিক্ষাবিদদের সঙ্গে নির্বাচন কমিশনের মতবিনিময়
শিক্ষাবিদদের সঙ্গে নির্বাচন কমিশনের মতবিনিময়  © সংগৃহীত

আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠু ও সবার কাছে গ্রহণযোগ্য করতে করণীয় নির্ধারণে শিক্ষাবিদদের সঙ্গে মতবিনিময় করছেন কাজী হাবিবুল আউয়াল নেতৃত্বাধীন নতুন নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এতে ৩০ জন শিক্ষাবিদকে উপস্থিত থাকার আমন্ত্রণ জানিয়েছিল ইসি। তাদের মধ্যে উপস্থিত হয়েছেন মাত্র ১৩ জন।

রবিবার (১৩ মার্চ) বেলা ৩টায় রাজধানীর আগারগাঁও নির্বাচন ভবনে বিশিষ্ট শিক্ষাবিদের সঙ্গে প্রথম ধাপের মতবিনিময় শুরু হয়েছে। বৈঠকে সিইসির সঙ্গে চার নির্বাচন কমিশনার, ইসি সচিবসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা অংশ নেন। পরবর্তী সময়ে প্রত্যেক রবিবার একটি করে সংলাপ অনুষ্ঠিত হবে বলে নির্বাচন কমিশনের অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন।

উপস্থিত শিক্ষাবিদরা হলেন ড. জাফর ইকবাল, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. এম আনোয়ার হোসাইন, ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের অধ্যাপক ড. আবদুল মান্নান চৌধুরী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক এম আবুল কাশেম মজুমদার, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. বোরহান উদ্দিন খান।

এছাড়া সাদেকা হালিম, ড. নাজমুল আহসান কলিমুল্লাহ, ড. আখতার হোসেন, লায়লুফার ইয়াসমিন, সাউথ ইস্ট ইউনিভার্সিটির উপাচার্য ড. এ এফ এম মফিজুল ইসলাম, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মুহাম্মদ ইয়াহিয়া আখতার, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আল মাসুদ হাসানুজ্জামান ও ইনডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটির প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর ড. নিয়াজ আহম্মেদ খান।

সূচনা বক্তব্যে প্রধান নির্বাচন কমিশন বলেন, নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক করতে আমাদের কমিশনের পক্ষ থেকে কি ধরনের পদক্ষেপ নিতে পারি সেজন্য গুণীজনের কাছে আমরা পরামর্শ চাই। শিক্ষাবিদরা নির্বাচন নিয়ে নানা ধরনের লেখালেখি করেন। আমার বিশ্বাস আপনাদের পরামর্শ গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠানে ভূমিকা রাখবে।

সিইসি বলেন, ইতোমধ্যে আমাদের সংলাপের উদ্দেশ্যে ব্যক্ত করা হয়েছে। এই কমিশন নবগঠিত কমিশন। কমিশনের কাজ হচ্ছে জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও লোকাল গর্ভমেন্ট নির্বাচন সম্পন্ন করা।

গত ২৬ ফেব্রুয়ারি কাজী হাবিবুল আউয়ালের নেতৃত্বাধীন নির্বাচন কমিশনকে নিয়োগ দেন রাষ্ট্রপতি। পরদিন তারা শপথ নিয়ে প্রথম অফিস করেন ২৮ ফেব্রুয়ারি। এরপর জাতীয় স্মৃতিসৌধ, বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন এবং ভোটার দিবস উদযাপন করেন তারা।

আরও পড়ুন: সৌদি আরবে শিক্ষাবিদ, লেখকসহ ৯ জনকে আটক

এদিকে দায়িত্ব নেওয়ার পর এতদ্রুত এর আগের কোনো কমিশন মতবিনিময় বা সংলাপে বসার উদ্যোগ নেয়নি। অবশ্য দায়িত্ব নিয়ে গত ২৮ ফেব্রুয়ারি গণমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে সিইসি বলেছিলেন আমরা দলগুলোকে চা খাওয়ার আমন্ত্রণ জানাতে পারি।

কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, সংলাপের মাধ্যমে জনগণের প্রকৃত মতামত ওঠে আসবে। সেজন্য আমাদের পক্ষ থেকে কী কী করণীয় হতে পারে, আপনাদের (শিক্ষাবিদ) মতামত নিয়ে আমরা অনেক কিছু আহরণ করতে পারবো, আরও ঋদ্ধ হবো।

নির্বাচন কমিশন সর্বশেষ বিভিন্ন মহলের সঙ্গে সংলাপে বসেছিল ২০১৭ সাল। ওই বছরের ৩১ জুলাই সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বসার মধ্য দিয়ে কার্যত ওই সংলাপ শুরু হয়েছিল। এরপর ৪০টি রাজনৈতিক দল, নারী নেতৃত্ব, নির্বাচন বিশেষজ্ঞ ও গণমাধ্যম ব্যক্তিত্বদের সঙ্গেও বসে তৎকালীন কে এম নূরুল হুদার কমিশন।


সর্বশেষ সংবাদ