দশ টাকার নোটে পাওয়া নাম্বারে পরিচয়, সুখে আছেন সোহেল-রওশন

সোহেল ও রওশন
সোহেল ও রওশন  © সংগৃহীত

দশ টাকার নোটে পাওয়া নাম্বারে পরিচয়। এক বছর ছুটিয়ে প্রেম। তারপর বিয়ে। কনে প্রতিবন্ধী। আর বর রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পড়াশোনা শেষ করে ঢাকায় একটি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করতেন। ভালোবাসার টানে চাকরি ছেড়ে বাড়ির সামনেই টং দোকান দিয়েছেন সোহেল। তিনি জানান, স্ত্রী রওশনকে নিয়ে সুখেই কাটছে তাদের সময়।

২০০৭ সালে পালিয়ে বিয়ে করেন সোহেল-রওশন দম্পতি। সোহেলের পরিবার রাজি না থাকায় পালিয়ে বিয়ে করেন তারা। রওশন হাঁটতে পারেন না। বিয়ের ১৫ বছর ধরে তাকে পিঠে নিয়ে চলছেন স্বামী সোহেল। রওশনের আত্মীয়রা জানায়, এই যুগলের প্রেম দেখে কেউই বুঝতে পারেনি এত গভীর তাদের ভালোবাসা।

সোহেল জানান, দল টাকার নোটে পাওয়া নাম্বার থেকেই মোবাইলে কথা বলা শুরু করেন। জানুয়ারিতে তাদের কথা বলা শুরু হয়। কথা বলা থেকে দুইজনই মন দেয়া নেয়া করেন। ডিসেম্বরে বিয়ে করেন তারা। স্ত্রী রওশন হাটতে পারেন না। পিঠে নিয়ে চলাচল করেন সোহেল। তাই ভালোবাসার মানুষের কষ্ট কমাতে তিনি ঢাকার চাকরি ছেড়ে বাড়ির সামনে দিয়েছেন টং দোকান। এখন অভাব থাকলেও কমতি নেই ভালোবাসায়। সত্যিকারের প্রেম যেন এক অচিন পাখি। সেই অচিন পাখি পোষ মেনেছে সোহেল-রওশনের সংসারে।

আরও পড়ুন- একই দিনে ফাল্গুন-ভালোবাসা দিবস: খরচ কমবে যুগলদের

গর্ভে সন্তান আসার পর অনেকেই রওশনকে বলেছে, এবার আর সোহেল থাকবে না। তবে রওশন জানতেন, এই প্রেম ছেড়ে যাওয়ার নয়। সোহেলও তার ভালোবাসা বুক দিয়ে আগলে রেখেছেন। ভালোবাসার পরিণতি হিসেবে এই দম্পতির পরিবারে এসেছে এক কন্যাশিশু। স্ত্রী কন্যা সুখেই আছেন সোহেল।


সর্বশেষ সংবাদ