পদত্যাগ পত্রে যা লিখলেন ডা. মুরাদ

ডা. মুরাদ হাসান
ডা. মুরাদ হাসান  © ফাইল ফটো

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশের পর পদত্যাগ পত্র জমা দিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান। আজ মঙ্গলবার (৭ ডিসেম্বর) দুপুরে ই-মেইলের মাধ্যমে পদত্যাগ পত্রটি পাঠান ডা. মুরাদ। 

পদত্যাগ পত্রে তিনি লিখেছেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, স্বশ্রদ্ধেয় সালাম নিবেন। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের গত ১৯ মে ২০২১ খ্রি. তারিখের ০৪.০০.০০০০.৪২১.৮৪.০০৪.১৯.১৪২ নম্বর স্মারকমূলে আমাকে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব প্রদান করা হয়। আমি অদ্য ০৭.১২.২০২১ খ্রি. তারিখ হতে প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব হতে ব্যক্তিগত কারণে স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করতে ইচ্ছুক।

এমতাবস্থায়, আপনার নিকট বিনীত নিবেদন এই যে, আমাকে অদ্য ০৭.১২.২০২১ খ্রি. তারিখ হতে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব হতে অব্যহতি প্রদানের লক্ষ্যে পদত্যাগ পত্রটি গ্রহণে আপনার একান্ত মর্জি কামনা করছি।

বেশ কয়েকদিন ধরে বিতর্কিত ও কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করে সমালোচনার মুখে পড়েন ডা. মুরাদ। সেই সাথে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অশ্লীল অডিও ক্লিপস ছড়িয়ে পড়ায় আরও বেকায়দায় পড়েন তিনি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, নারী নের্তৃত্ব, বিএনপি, তারেক রহমানের মেয়ে জাইমাকে নিয়ে বাজে মন্তব্য করেন তিনি। এ নিয়ে সারাদেশে নিন্দার ঝড় উঠে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রতিমন্ত্রীর জুতা মিছিল ও কুশপুতুল দাহ করা হয়। 

পরে গতকাল দুপুরেই ঢাকা ত্যাগ করে চট্টগ্রমে বন্ধুর বাসায় চলে যান। রাতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ডা. মুরাদকে মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগের নির্দেশ দিয়েছেন বলে গণমাধ্যমে জানান সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

ডা. মুরাদ হাসান ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজের ৩০ ব্যাচের ছাত্রছিলেন। কলেজ ছাত্রলীগের নের্তৃত্বেও ছিলেন তিনি। ২০১৯ সালের মে মাসে মুরাদ হাসানকে তথ্য প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। মুরাদ হাসান জামালপুর-৪ (সরিষাবাড়ী উপজেলা) আসনের সাংসদ। তার বাবা প্রয়াত মতিউর রহমান তালুকদার জামালপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ছিলেন।


সর্বশেষ সংবাদ