স্কুল খোলার ৯ দিনের মাথায় করোনায় আক্রান্ত এক ছাত্রী, পাঠদান বন্ধ

গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলায় ৪ নম্বর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়
গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলায় ৪ নম্বর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়  © ফাইল ছবি

স্কুল খোলার নবম দিনে প্রাথমিকের এক শিক্ষার্থী করোনা আক্রান্ত হয়েছে বলে জানা গেছে। আক্রান্ত ছাত্রী গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলায় ৪ নম্বর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে তৃতীয় শ্রেণিতে পড়ে। ওই ছাত্রী আক্রান্ত হওয়ার পরে তৃতীয় শ্রেণির পাঠদান ১৪ দিনের জন্য বন্ধ করে দিয়েছে উপজেলা শিক্ষা অফিস।  

গতকাল মঙ্গলবার (২১ সেপ্টেম্বর) বিদ্যালয়টিতে গিয়ে ওই ছাত্রী আক্রান্ত হওয়ার সত্যতা পাওয়া গেছে। 

তবে এ বিষয়ে ওই বিদ্যালয়ের অন্যান্য শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও শিক্ষকরা আতংকিত নন বলে জানিয়েছেন বিদ্যালয়টির ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক সোহেলী পারভীন পান্না।

তিনি বলেন, ১২ সেপ্টেম্বর বিদ্যালয় খোলার প্রথম দিন ওই ছাত্রী বিদ্যালয়ে এসেছিল। সেই দিন তার মধ্যে করোনার কোন উপসর্গ লক্ষ করা যায়নি। এরপর সে বাড়িতে বসে জ্বরে আক্রান্ত হয়। গত বৃহস্পতিবার ( ১৬ সেপ্টেম্বর) তার নমুনা পরীক্ষার জন্য স্বাস্থ্যকেন্দ্রে দেওয়া হলে শুক্রবার (১৭ সেপ্টেম্বর) রিপোর্ট পজিটিভ আসে। ওই ছাত্রীর মাও করোনায় আক্রন্ত। আমার ধারণা সে পরিবার থেকেই করোনায় আক্রান্ত হয়েছে। 

তিনি বলেন, আমাদের বিদ্যালয়ের আরও ৩ শিক্ষার্থী জ্বরে আক্রান্ত। তারা বাড়িতে বসে চিকিৎসা নিচ্ছে। তবে আমাদের চার শিক্ষার্থীই বর্তমানে সুস্থ রয়েছে। 

বিদ্যালয়টির সহকারী শিক্ষক অর্পিতা মন্ডল বলেন, প্রতিদিন আমরা শিক্ষার্থীদের তাপমাত্রা মেপে শ্রেণি কক্ষে প্রবেশ এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে পাঠদান করাই। করোনার বিষয়ে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের আতংক নেই। আমাদের বিদ্যালয়ের উপস্থিতির হার সন্তোষজনক। 

বিদ্যালয়টির পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রী ইতি মধু ও মেঘা দাস বলে, অনেক দিন পরে বিদ্যালয় খুলেছে। আমরা বিদ্যালয়ে আসতে পেরে আনন্দিত। প্রতিদিন আমরা মাস্ক পরে বিদ্যালয়ে আসি। স্বাস্থ্যবিধি মেনে শিক্ষকগণ আমাদের পাঠদান করান। করোনা নিয়ে আমাদের কোন আতংক নেই। 

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. সুশান্ত বৈদ্য বলেন, আক্রান্ত ওই শিক্ষার্থী বর্তমানে সুস্থ রয়েছে। আমরা তাকে করোনার চিকিৎসা দিয়েছি। বর্তমানে সে হোম আইসোলেশনে আছে। 

আরও পড়ুনঃ ১৫ অক্টোবরের পর খুলবে জাহাঙ্গীরনগর

উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফেরদৌস ওয়াহিদ বলেন, উপজেলা প্রতিটি বিদ্যালয়েই স্বাস্থ্যবিধি মেনে প্রতিদিন পাঠদান চলছে। আমরা এ সব বিদ্যালয় প্রতিনিয়ত মনিটরিং করছি। প্রতিটি বিদ্যালয়েই প্রতিদিন শিক্ষার্থীদের তাপমাত্রা মাপা হচ্ছে। কোনো শিক্ষার্থীর করোনা উপসর্গ দেখা দিলে সাথে সাথে তার নমুনা পরীক্ষা করা হবে। রিপোর্ট পজিটিভ আসলে আমরা ওই শ্রেণি বা বিদ্যালয় বন্ধ করে দেব। 


সর্বশেষ সংবাদ

×
  • Application Deadline
  • December 17, 2025
  • Admission Test
  • December 19, 2025
APPLY
NOW!
GRADUATE ADMISSION
SPRING 2026!
NORTH SOUTH UNIVERSITY
Center of Excellence