‘করোনা মোকাবিলা হেঁটে ও সাইকেলে স্কুলে যাতায়াতের গুরুত্ব অনেক’
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২১, ০৯:৪৩ PM , আপডেট: ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২১, ০৯:৪৩ PM
ওয়ার্ক ফর এ বেটার বাংলাদেশ ট্রাস্টের পরিচালক গাউস পিয়ারী বলেছেন, ‘স্কুলে হেঁটে ও সাইকেলে যাতায়াতের মাধ্যমে করোনা ভাইরাসসহ স্বাস্থ্য, পরিবেশ দূষণ নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি গাড়ি-নির্ভরতা কমিয়ে যানজট সমস্যা সমাধান করা সম্ভব। বিশেষ করে করোনা মোকবিলায় শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখা ও জনসমাগমস্থল যতটা সম্ভব এড়িয়ে চলার ক্ষেত্রে হাঁটা ও বাইসাইকেলের গুরুত্ব অনেক। বিশ্বের উন্নত দেশগুলো করোনাকালের অনেক আগেই নগরকেন্দ্রিক স্বাচ্ছন্দ্য জীবনযাপনে হাঁটা ও বাইসাইকেলে চলাকে অধিক গুরুত্ব দিয়েছে।’
মঙ্গলবার (১৪ সেপ্টেম্বর) বিকালে ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ, আইডব্লিউবি, সিসিএ, সিসিএবি এবং ডব্লিউবিবি ট্রাস্টের উদ্যোগে আয়োজিত এক ‘অনলাইন শিশু সংলাপ’ এ সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
এ সময় সংলাপে যুক্ত হওয়া শিক্ষার্থীরাও করোনা মোকাবিলা ও পরিবেশের উন্নয়নে হেঁটে ও সাইকেলে স্কুলে যাতায়াতের প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন।
গাউস পিয়ারী আরও বলেন, ‘বিশ্বব্যাপী কোভিড-১৯ মহামারী ভয়াবহ আকার ধারণ করলে আগের প্রেক্ষাপটের সঙ্গে মানুষের জীবন বাঁচাতে পায়ে হেঁটে ও বাইসাইকেলে পথ চলার বিষয়টি ফের সামনে আসে। বিশেষ করে এখন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো খুলে দেওয়া হয়েছে। শিক্ষার্থীদের করোনাভাইরাসসহ সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করতে হাঁটা ও বাইসাইকেলে চলাচলের ওপর জোর দেওয়া প্রয়োজন।’
অনুষ্ঠানে সূচনা বক্তব্য দেন হেলথ ব্রিজ ফাউন্ডেশন অব কানাডা’র আঞ্চলিক পরিচালক দেবরা ইফরইমসন।
সূচনা বক্তব্যে দেবরা ইফরইমসন বলেন, ‘ঢাকা শহরে গণপরিবহন, হাঁটা ও রিকশার মাধ্যমে ৯৩ শতাংশ মানুষের চলাচল হলেও পরিকল্পনায় এ মাধ্যমগুলোকে প্রাধান্য দেওয়া হয় না। যাতায়াতের চাহিদা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে গণপরিবহন, সাইকেল ও হাঁটার পরিবেশ উন্নয়নের যে জোগান, তা নিশ্চিত না হওয়ায় ব্যক্তিগত গাড়ির সংখ্যা ক্রমাগত বাড়ছে। ব্যক্তিগত গাড়ির ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ করার জন্য হাঁটা ও সাইকেলবান্ধব পরিবেশ গড়ে তুলতে হবে। এক্ষেত্রে প্রয়োজন কার্যকর উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণ।’
অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মাঝে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা রায়েরবাজার স্কুলের শিক্ষক তাহাজ্জোত হোসেন, খুলনা ও কুমিল্লা থেকে শিক্ষার্থী আয়েশা সুলতানা ও কাজী তাসমিয়া তামিমা। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন ডব্লিউবিবি ট্রাস্টের সহকারী প্রকল্প কর্মকর্তা মো. মিঠুন।