মোদির ঢাকা সফর ঠেকাতে জুমার নামাজের পর বিক্ষোভ
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ১৯ মার্চ ২০২১, ১২:১৫ PM , আপডেট: ১৯ মার্চ ২০২১, ১২:১৫ PM
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফর ঠেকাতে দাবিতে সমমনা ইসলামী দলসমূহ ঢাকায় বিক্ষোভ কর্মসূচীর ঘোষণা দিয়েছে। বৃহস্পতিবার সংগঠনের মুখপাত্র মাওলানা আবদুর রব ইউসুফী স্বাক্ষরিত এক যৌথ বিবৃতিতে সমমনা ইসলামী দলগুলোর পক্ষ থেকে এ ঘোষণা দেয়া হয়।
এতে বলা হয়েছে, শুক্রবার (১৯ মার্চ) বাদ জুমা জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের উত্তর গেটে ইসলামী দলগুলোর উদ্যোগে সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল কর্মসূচি পালন করা হবে।
বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তীতে বিদেশি রাষ্ট্রপ্রধানদের আগমন নিঃসন্দেহে আমাদের দেশের ভাবমূর্তিকে উজ্জ্বল করবে। বাংলাদেশের জনগণ এসব রাষ্ট্রীয় অতিথিদেরকে অবশ্যই স্বাগত জানাবে। তবে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে বাংলাদেশের জনগণ স্বাগত জানাতে পারে না। কারণ, ভারত বছরের পর বছর ধরে তিস্তাসহ অভিন্ন নদীসমূহের পানি প্রবাহ শুষ্ক মৌসুমে প্রত্যাহার করে বাংলাদেশকে মরুভূমিতে পরিণত করেছে।
‘‘সীমান্তে বাংলাদেশি জনগণকে লাগাতার পাখির মতো গুলি করে হত্যা করছে। বাংলাদেশের পণ্য রপ্তানিতে নানা প্রতিবন্ধকতা তৈরি করে অসম বাণিজ্যের মাধ্যমে অর্থনৈতিক শোষণ চালাচ্ছে। বাংলাদেশে সাংস্কৃতিক আগ্রাসনের মাধ্যমে হিন্দুত্ববাদের প্রসার ঘটিয়ে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টের চক্রান্ত করে যাচ্ছে। এ ছাড়া কাশ্মীর ও দিল্লিতে মুসলিম গণহত্যা চালিয়েছে।’’
এতে বলা হয়েছে, ভারতীয় বাংলা ভাষাবাসীদের নাগরিকত্ব বাতিল করে তাদেরকে বাংলাদেশে পুশইনের মাধ্যমে গোট উপমহাদেশব্যাপী চরম অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরির পাঁয়তারা করছে। বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে বার বার নগ্ন হস্তক্ষেপ করছে। কাশ্মীর গুজরাটসহ ভারতীয় মুসলমানদের রক্তে বার বার রঞ্জিত হয়েছে নরেন্দ্র মোদির হাত। সুতরাং ভারতের প্রধানমন্ত্রীর আগমনে বাংলাদেশের দেশপ্রেমিক জনগণ কোনোভাবেই স্বাগত জানাতে পারে না। আমরা সরকারের কাছে জোর দাবি জানাচ্ছি, অবিলম্বে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফর বাতিল করতে হবে।
বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেছেন জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের সহসভাপতি মাওলানা আবদুর রব ইউসুফী, ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মাওলানা মঞ্জুরুল ইসলাম আফেন্দী, খেলাফত মজলিসের নায়েবে আমীর মাওলানা আহমদ আলী কাসেমী ও মহাসচিব ড. আহমদ আবদুল কাদের, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মহাসচি মাওলানা মামুনুল হক ও যুগ্মমহাসচিব মাওলানা জালাল উদ্দিন আহমদ।
এছাড়া বাংলাদেশ মুসলিম লীগের মহাসচিব কাজী আবুল খায়ের ও স্থায়ী কমিটির সদস্য মাওলানা আশিকুল ইসলাম, ইসলামী ঐক্য আন্দোলনের আমীর ড. মাওলানা ঈসা শাহেদী ও মহাসচিব মাওলানা মোস্তফা তারেক আল হাসান, খেলাফত আন্দোলন এর নায়েবে আমীর মাওলানা মুজিবুর রহমান হামিদী ও মহাসচিব মাওলানা হাবীবুল্লাহ মিয়াজী এবং ফরায়েজী আন্দোলনের সভাপতি মাওলানা আবদুল্লাহ হাসান ও মহাসচিব মাওলানা আবদুর রহমান।