করোনাভাইরাস
শনাক্তের চেয়ে ১০-৪০ গুণ বেশি আক্রান্ত হতে পারে: আইইডিসিআর উপদেষ্টা
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ১৭ মে ২০২০, ১২:৩১ PM , আপডেট: ১৭ মে ২০২০, ১২:৫৭ PM
বৈশ্বিক মহামারি করোনা ভাইরাসে দেশে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা শনাক্তের সংখ্যার চেয়ে ১০ থেকে ৪০ গুণ বেশি— এই ধারণা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন জাতীয় রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইইডিসিআর) উপদেষ্টা ডা. মোশতাক হোসেন। তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, ল্যাবরেটরির পরীক্ষায় যে সংখ্যা সেটাকেই প্রকৃত সংখ্যা বলতে হবে। এ পর্যন্ত ল্যাবরেটরি পরীক্ষায় পাওয়া গেছে প্রায় ২১ হাজার আক্রান্ত রোগী।
তবে রোগ তাত্ত্বিকরা অনুমান করেন যে মৃদু লক্ষণযুক্ত রোগী এর বাইরেও থাকতে পারে। সেটা সর্বনিম্ন ১০ গুণ এবং সর্বোচ্চ ৩০ থেকে ৪০ গুণ হতে পারে। বিশ্লেষণ যদি করতে হয় তথ্য দ্বারা তাহলে ল্যাবরেটরিতে পরীক্ষা করে যে পজিটিভ সংখ্যা পেয়েছি তাদের ভিত্তিতে পরিসংখ্যানটা হবে। আর হলো রোগ তত্ত্বের অনুমান। মৃদু লক্ষণযুক্ত রোগীরা হয়তো পরীক্ষা করতে আসছেন না।
তিনি আরও বলেন, আরেকটি বিরাট সংখ্যক লোক সামাজিকভাবে হেনস্থা হওয়ার ভয়ে পরীক্ষা করতে আসছেন না। কাজেই এটা অনুমান করে ১০ থেকে ৪০ গুণ বলে ধরা যেতে পারে। এটা হলো আনুমানিক সংখ্যা। যে কোনো মহামারীর ক্ষেত্রে রোগ তাত্ত্বিকরা এরকম একটি অনুমান করে থাকে। শুধু এটা করোনার ক্ষেত্রে না। রোগটি হয়ে যাওয়ার পরে যদি সার্ভে করা হয় কতো ভাগ লোক আক্রান্ত হলো। তখন হয়তো আরো ভালোভাবে অনুমানটি করা যাবে। এখন হলো ফর্মূলা অনুযায়ি সর্বনিম্ন থেকে সর্বোচ্চ রেঞ্জ হিসাব করা। কিন্তু আপনাকে যে কোনো হিসাবনিকাশ করতে হবে ল্যাবরেটরির কনফার্ম পরীক্ষার ফলাফলের উপর। যেমন মহামারী এখন কোন দিকে যাচ্ছে এটা শুধু সংখ্যা দিয়ে হবে না। যতগুলো লোককে পরীক্ষা করা হচ্ছে তাদের মধ্যে কতভাগ লোক পজিটিভ হচ্ছে তার ওপর। যেমন এখন যাদের পরীক্ষা করা হচ্ছে তাদের মধ্যে শতকরা ১৪ ভাগকে ল্যাবরেটরিতে পরীক্ষা করে নিশ্চিত করা হচ্ছে।
আইইডিসিআর উপদেষ্টা বলেন, যখন বলা হলো কমিউনিটি ট্রান্সমিশন বা সংক্রমণ শুরু হয়ে গেছে। সেদিন থেকে শতকরা ১০ ভাগ ছিলো। সেটা গত রোববার থেকে বেড়ে ১৪ ভাগ হয়েছে। গত সপ্তাহে পরীক্ষা করে শতকরা ১৪ ভাগ আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা পাওয়া গেছে। এটা গার্মেন্টস, শপিং মল, দোকানপাট ইত্যাদি খুলে দেয়ারই প্রভাব বলে আমাদের ধারণা। কিন্তু আমাদের সাধারণ ধারণা এবং অনুমান থেকে বলা যায় যে লকডাউন শিথিলের কারণে যারা নতুন রোগী তাদের কাছ থেকে আবার রোগ ছড়াবে। একজনের কাছ থেকে আরেকজনের কাছে রোগ ছড়ায়। আন্তর্জাতিক তথ্যানুযায়ী এটাকে বলা হয় রিপ্রোডাকটিভ রেট। যেটা R0 দিয়ে লিখে। সেটা ২.৫। সেটা যদি হয় তাহলে এখন যারা আক্রান্ত হচ্ছে তারা যদি দ্রুত আইসোলেশনে না যায় কমিউনিটিতে থাকে তাহলে তারা আরো সংক্রমিত করবে। সেটার ধাক্কা আমাদের সামলাতে হবে।