বড়দিনের ছুটিতে পর্যটকে মুখর কুয়াকাটা সমুদ্রসৈকত

কুয়াকাটা সমুদ্রসৈকতে পর্যটকদের ব্যাপক সমাগম ঘটেছে
কুয়াকাটা সমুদ্রসৈকতে পর্যটকদের ব্যাপক সমাগম ঘটেছে  © টিডিসি

খ্রিস্টধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব বড়দিনের সরকারি ছুটি ও সাপ্তাহিক ছুটি মিলিয়ে টানা তিন দিনের অবকাশকে কেন্দ্র করে পটুয়াখালীর কুয়াকাটা সমুদ্রসৈকতে পর্যটকদের ব্যাপক সমাগম ঘটেছে। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা ভ্রমণপিপাসু মানুষের পদচারণায় মুখর হয়ে উঠেছে এই পর্যটন নগরী। পর্যটকদের ভিড়ে নতুন করে প্রাণচাঞ্চল্য ফিরে এসেছে হোটেল-মোটেল, রেস্তোরাঁসহ পর্যটন সংশ্লিষ্ট সব ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে।

বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) সরেজমিনে দেখা গেছে, সকাল থেকেই সৈকত এলাকা ছাড়াও লাল কাঁকড়ার চর, গঙ্গামতি সৈকত, শুঁটকিপল্লি, জিরো পয়েন্টসহ বিভিন্ন দর্শনীয় স্থানে পর্যটকদের ভিড়। কেউ সমুদ্রের ঢেউ উপভোগ করছেন, কেউ স্মৃতি ধরে রাখতে ছবি তুলছেন, আবার কেউ পরিবার-পরিজন নিয়ে ছাতা বেঞ্চিতে বসে আনন্দঘন সময় কাটাচ্ছেন।

পর্যটন-সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা জানান, দীর্ঘদিনের মন্দার পর বড়দিনের ছুটিকে ঘিরে পর্যটকদের উপস্থিতিতে ব্যবসায়িক কর্মকাণ্ডে গতি ফিরেছে। হোটেল-মোটেল, খাবার হোটেল ও ভ্রমণসেবা প্রদানকারীরা সন্তোষ প্রকাশ করেছেন এ বাড়তি উপস্থিতিতে।

ঢাকা থেকে আগত পর্যটক ও সরকারি চাকরিজীবী সুমন বলেন, ‘বড়দিন ও সাপ্তাহিক ছুটি মিলিয়ে টানা কয়েকদিন ছুটি পেয়েছি। সুযোগটি কাজে লাগিয়ে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে আজ সকালে কুয়াকাটায় এসেছি।’

রাজশাহী থেকে আগত পর্যটক রকিব বলেন, ‘সকালে কুয়াকাটায় পৌঁছে লাল কাঁকড়ার চর ঘুরে দেখেছি। কাঁকড়ার অবাধ বিচরণ ও গঙ্গামতি সৈকতের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য খুব ভালো লেগেছে। আরও দুই দিন থেকে এখানকার সব দর্শনীয় স্থান দেখার পরিকল্পনা রয়েছে।’

বরিশালের বানাড়িপাড়া থেকে আগত পর্যটক মানিক বলেন, ‘বড়দিন উপলক্ষে সরকারি ছুটি পাওয়ায় গতকালই কুয়াকাটায় এসেছি। এখানকার পরিবেশ অত্যন্ত মনোরম। পরিবার নিয়ে দারুণ সময় কাটছে।’

কুয়াকাটা হোটেল-মোটেল অ্যামপ্লয়েজ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ইব্রাহিম ওয়াহিদ বলেন, ‘বর্তমানে প্রায় শতভাগ হোটেল-মোটেল বুকিং রয়েছে। পর্যটকদের এই উপস্থিতিতে দীর্ঘদিনের ব্যবসায়িক ক্ষতি কিছুটা হলেও কাটিয়ে ওঠার আশা করছি।’

কুয়াকাটা ট্যুরিস্ট পুলিশের সহকারী পুলিশ সুপার হাবিবুর রহমান বলেন, ‘পর্যটকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আমরা সর্বদা মাঠে রয়েছি। ট্যুরিস্ট পুলিশের পাশাপাশি থানা পুলিশ ও নৌ পুলিশ যৌথভাবে কাজ করছে।’

সব মিলিয়ে বড়দিনের ছুটিকে কেন্দ্র করে কুয়াকাটা সমুদ্রসৈকতে বিরাজ করছে উৎসবমুখর পরিবেশ, যা পর্যটননির্ভর এ অঞ্চলের অর্থনীতিতেও ইতিবাচক প্রভাব ফেলছে।


সর্বশেষ সংবাদ

X
APPLY
NOW!