ব্রেন্ট ক্রিস্টেনসেন বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত মনোনীত

ব্রেন্ট ক্রিস্টেনসেন
ব্রেন্ট ক্রিস্টেনসেন  © সংগৃহীত

ব্রেন্ট ক্রিস্টেনসেনকে বাংলাদেশের জন্য রাষ্ট্রদূত মনোনয়ন করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তবে এ মনোনয়ন চূড়ান্ত নয়। হোয়াইট হাউস এই মনোনয়নের বিষয়ে শুনানির জন্য গতকাল মঙ্গলবার দেশটির সিনেটে পাঠিয়েছে। 

নিয়ম অনুযায়ী, প্রথমে কাউকে রাষ্ট্রদূত হিসেবে মনোনয়ন দেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। মনোনয়ন অনুমোদনের জন্য সিনেটে পাঠানো হয়। সিনেট অনুমোদন দিলে নতুন রাষ্ট্রদূতের নিয়োগ আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করা হয়।

ব্রেন্ট ক্রিস্টেনসেন পেশাদার কূটনীতিক। বর্তমানে ওয়াশিংটনে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরে ভারপ্রাপ্ত আন্ডার সেক্রেটারি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি এর আগে ২০১৯ সাল থেকে তিন বছর ঢাকায় মার্কিন দূতাবাসে রাজনৈতিক বিভাগে কাউন্সিলর হিসেবে নিয়োজিত ছিলেন।

রাষ্ট্রদূত হিসেবে পিটার হাসের স্থলাভিষিক্ত হচ্ছেন ব্রেন্ট। গত বছর বাংলাদেশে নিযুক্ত রাষ্ট্রদূত পিটার হাস অবসরে যান। এরপর ট্রেসি অ্যান জ্যাকবসন ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূতের দায়িত্ব পালন করছেন।

মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর স্টেট ডিপার্টমেন্টে প্রকাশিত প্রোফাইল অনুসারে, ব্রেন্ট ক্রিস্টেনসেনের পুরো নাম ব্রেন্ট টি ক্রিস্টেনসেন। ২০২৫ সালের ২০ জানুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তাকে অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ ও আন্তর্জাতিক নিরাপত্তাবিষয়ক আন্ডার সেক্রেটারির দায়িত্বে নিযুক্ত জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা হিসেবে মনোনীত করেন।

ক্রিস্টেনসেন এর আগে ২০২২ সালের আগস্ট থেকে ২০২৫ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের কৌশলগত কমান্ডের (ইউএসএসট্র্যাটকম) কমান্ডারের পররাষ্ট্রনীতিবিষয়ক উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। এ সময় তিনি ইউএসএসট্র্যাটকমের বৈশ্বিক কৌশলগত প্রতিরোধ মিশনের পররাষ্ট্রনীতিগত প্রভাব সম্পর্কে কমান্ডারকে পরামর্শ দেন।

সিনিয়র ফরেন সার্ভিসের কর্মকর্তা হিসেবে ক্রিস্টেনসেন ঢাকায় অবস্থিত মার্কিন দূতাবাসে রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক কাউন্সেলর (২০১৯-২০২১), মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের পলিটিক্যাল-মিলিটারি অ্যাফেয়ার্স ব্যুরোর আঞ্চলিক নিরাপত্তা ও অস্ত্র হস্তান্তর অফিসের ডেপুটি ডিরেক্টর (২০১৬-২০১৯) এবং হাউস ফরেন অ্যাফেয়ার্স কমিটির এশিয়া ও প্যাসিফিক সাবকমিটির সংখ্যাগরিষ্ঠ দলের পারসন ফেলো (২০১৫-২০১৬) হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।

এর বাইরে তিনি বিশেষ প্রতিনিধির (উত্তর কোরিয়া নীতি) বিশেষ সহকারী, ইস্ট এশিয়া ও প্যাসিফিক অ্যাফেয়ার্স ব্যুরোর সাইবার কো-অর্ডিনেটর, ম্যানিলায় মার্কিন দূতাবাসে অর্থনীতিবিষয়ক ডেপুটি কাউন্সেলর, সান সালভাদরে মার্কিন দূতাবাসে ডেপুটি ইকোনমিক কাউন্সেলর, পররাষ্ট্র দপ্তরের পাকিস্তান ও বাংলাদেশবিষয়ক অফিসে বাংলাদেশ কান্ট্রি অফিসার, রিয়াদে মার্কিন দূতাবাসে অর্থনৈতিক কর্মকর্তা এবং হো চি মিন সিটিতে মার্কিন কনস্যুলেট জেনারেলের ভাইস কনসাল হিসেবে কাজ করেছেন।

পররাষ্ট্র দপ্তরের দায়িত্ব ছাড়াও ২০১৮ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত ব্রেন্ট ক্রিস্টেনসেন মার্কিন ফেডারেল লেবার রিলেশনস অথরিটির অধীনে ফরেন সার্ভিস ইমপাসেস ডিসপিউটস প্যানেলের দুজন ক্যারিয়ার ফরেন সার্ভিস সদস্যের একজন হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।

ন্যাশনাল ওয়ার কলেজের একজন ডিস্টিংগুইশড গ্র্যাজুয়েট হিসেবে ব্রেন্ট ক্রিস্টেনসেন ২০২২ সালে ন্যাশনাল সিকিউরিটি স্ট্র্যাটেজিতে সায়েন্সে মাস্টার্স ডিগ্রি অর্জন করেন। এছাড়া তিনি টেক্সাস এঅ্যান্ডএম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পরিসংখ্যান বিষয়ে মাস্টার্স এবং রাইস বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতি ও ম্যানেজারিয়াল স্টাডিজে ব্যাচেলর অব আর্টস ডিগ্রি লাভ করেছেন।


সর্বশেষ সংবাদ