‘সমালোচনা সহ্য না হলে উপদেষ্টা পদ ছেড়ে রাজনৈতিক দল করেন’

রুহুল কবির রিজভী
রুহুল কবির রিজভী  © সংগৃহীত

সমালোচনা সহ্য করতে না পারলে উপদেষ্টাদের পদ ছেড়ে দিয়ে রাজনৈতিক দল  করতে বলেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী। সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারি) শহীদ জিয়াউর রহমানের মাজারে  ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে এসব কথা বলেন তিনি।       

রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘আমাদের কিছু কিছু উপদেষ্টা আছেন সরকারের সমালোচনা করলে তারা বিরক্ত হন, বিভিন্ন মন্তব্য করেন। সমালোচনা সহ্য করতে না পারলে উপদেষ্টাদের পদ ছেড়ে দিয়ে রাজনৈতিক দল করেন। আজকে যদি চালের দাম বাড়ে আমরা সমালোচনা করবো না। আইন-শৃঙ্খলার অবনতি নিয়ে কথা বলতে পারব না, নিত্যপণ্যের দাম বৃদ্ধি নিয়ে কথা বলতে পারব না ।’

সুষ্ঠু নির্বাচন ও আইনের শাসন নিশ্চিত করার কথা জানিয়ে বিএনপির এই জ্যেষ্ঠ নেতা বলেন, ‘দেশে অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচন ও আইনের শাসন আমাদের নিশ্চিত করতে হবে। শেখ হাসিনার মতো বর্বর শাসক আর এদেশে আনা যাবে না। কিন্তু আবারও শেখ হাসিনা তার বর্বর শাসন ফিরিয়ে আনতে মরিয়া হয়ে উঠেছেন। তিনি পার্শ্ববর্তী দেশে আশ্রয় নিয়ে বাংলাদেশের ভেতর নানা উসকানি দিচ্ছেন, ষড়যন্ত্র করছেন। তিনি জনগণের সাড়া না পেয়ে অনলাইনে হরতাল অবরোধ কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন।’ 

আন্দোলন দমাতে গুলির ব্যবহার  নিষিদ্ধের দাবি  জানিয়ে রিজভী বলেন,   ‘আন্দোলন  দমানোর জন্য অথবা কোনো রাজনৈতিক কর্মসূচি বানচালের জন্য গুলির ব্যবহার চিরদিনের জন্য নিষিদ্ধ করতে হবে। শেখ হাসিনা পুলিশ দিয়ে, পুলিশের শটগান দিয়ে গুলি করে যেভাবে মানুষকে হত্যা করেছে এদেশে যেন এর পুনরাবৃত্তি না ঘটে।’ 

ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে উদ্ধৃত করে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘কোথায় আপনার যুবলীগ, ছাত্রলীগ ও সন্ত্রাসী বাহিনী। যারা পাখির মতো গুলি করে মানুষ হত্যা করেছে, শিশুদের হত্যা করেছে, বিএনপির নেতাকর্মীদের হত্যা করেছে। বাংলাদেশের মানুষ আর আপনাদের মেনে নেবে না। তারা আপনাদের সব অপকর্মের বিচার চায়।’ 

তিনি আরও বলেন, ‘এখনও বাজার সিন্ডিকেট সক্রিয়, সিন্ডিকেট দমনে সরকারের আন্তরিকতা দেখছি না। আইন-শৃঙ্খলার উন্নতি হচ্ছে না, দেশে চুরি ডাকাতি ও হত্যা বেড়ে গেছে। দ্রুত এসব নিয়ে ব্যবস্থা নিতে হবে। আমরা চাই আগামী দিনের গণতন্ত্রের বিকাশ, সত্যিকার মুক্ত পরিবেশ, যেখানে নির্ভয়ে কথা বলা যাবে, সভা-সমাবেশ করা যাবে। এমন সংস্কার করতে হবে যেন আর কোনো দিন কোনো রক্তচক্ষু মানুষের অধিকার কেড়ে নিতে না পারে। মতপ্রকাশের স্বাধীনতা কেড়ে না নিতে পারে।’


সর্বশেষ সংবাদ