লালগালিচায় খালে নেমে খননকাজ উদ্বোধন, যে ব্যাখ্যা দিলেন আসিফ মাহমুদ

লাল গালিচায় খালে নেমে খনন কাজ উদ্বোধন করলেন তিন উপদেষ্টা
লাল গালিচায় খালে নেমে খনন কাজ উদ্বোধন করলেন তিন উপদেষ্টা  © সংগৃহীত

ঢাকার জলাবদ্ধতা নিরসনে মিরপুর-১৩ নম্বরে ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের ছয়টি খাল পুনঃখননের উদ্বোধন করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের তিন উপদেষ্টা। রবিবার (২ ফেব্রুয়ারি) আনুষ্ঠানিকভাবে লাল গালিচায় হেঁটে খালে নামেন তারা এবং ভাসমান স্কেভেটারে উঠে সংস্কার কাজের উদ্বোধন করেন। তবে এই আয়োজন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনার জন্ম দেয়।  

সমালোচনার জবাবে এদিন বিকেলে সরকারের যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক স্ট্যাটাসে বলেন, ভাসমান এক্সকাভেটরের উপর পিচ্ছিল পাটাতনে যেন কেউ পা পিছলে না পড়ে, সেজন্য কার্পেট ব্যবহার করা হয়েছিল। এটি কোনো আনুষ্ঠানিক লাল গালিচা ছিল না, বরং নিরাপত্তার স্বার্থে রাখা একটি ব্যবস্থা।

এর আগে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিতর্কের প্রেক্ষিতে ডিএনসিসির জনসংযোগ কর্মকর্তার স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে ব্যাখ্যা প্রদান করা হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, যেখানে এক্সকাভেটর রাখা হয়েছিল, তা কোনো স্থায়ী পন্টুন ছিল না, বরং অস্থায়ী একটি স্থানে স্থাপিত হয়। এ ছাড়া, এক্সকাভেটরে ওঠার রাস্তাটি ঢালু ও কাদা মাটির হওয়ায় এবং এক্সকাভেটরের ফ্লোর পিচ্ছিল থাকায় অতিথিদের নিরাপদ চলাচল নিশ্চিত করতে লাল রঙের কার্পেট সদৃশ ম্যাট ব্যবহার করা হয়।

ডিএনসিসি আরও জানায়, এটি কোনো আনুষ্ঠানিক লাল গালিচা ছিল না, বরং শুধুমাত্র নিরাপত্তার স্বার্থে নেওয়া একটি ব্যবস্থা। এখানে কোনো ধরনের অপব্যয় বা অতিরিক্ত শ্রদ্ধা প্রদর্শনের উদ্দেশ্য নেই। যেহেতু ভাসমান এক্সকাভেটরে ওঠানামার ক্ষেত্রে নিরাপত্তা গুরুত্বপূর্ণ, তাই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ প্রয়োজনীয় সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।


সর্বশেষ সংবাদ