চাঁদা না পেয়ে বসতঘরে হামলার অভিযোগ, যুবদল নেতার বিরুদ্ধে আদালতে মামলা
- পটুয়াখালী প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ২৩ জানুয়ারি ২০২৫, ০৬:২০ PM , আপডেট: ১৩ জুলাই ২০২৫, ০২:০৩ PM
দাবিকৃত চাঁদার টাকা না পেয়ে বসতঘরে হামলা ও ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে পটুয়াখালীর দুমকী উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মিজানুর রহমান লাল মিয়ার বিরুদ্ধে। বুধবার (২২ জানুয়ারি) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে উপজেলার আঙ্গারিয়া ইউনিয়নের সাতানি গ্রামের আবুল হোসেনের ছেলে মো. বেল্লাল হোসেনের বাড়িতে এ হামলার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় থানায় পুলিশ অভিযোগ না নিলে পটুয়াখালী চিফ জুডিশিয়াল মেজিস্ট্রেট আদালতে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে একটি চাঁদাবাজির মামলা করা হয়েছে।
মামলা ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বুধবার (২২ জানুয়ারি) সন্ধ্যার দিকে সাতানি গ্রামের মো. আবুল হোসেনের ছেলে মুদি ব্যবসায়ী মো. বেল্লাল হোসেনের নতুন বাড়িতে একই গ্রামের এমদাদ হাওলাদারের ছেলে মিজানুর রহমান লাল মিয়া, সাবু ও সাইফুলের নেতৃত্বে ১৫ থেকে ২০ জনের একদল দুর্বৃত্ত দেশীয় অস্ত্র ও লাঠিসোঁটা নিয়ে বসতঘরে হামলা ভাঙচুর চালায়। এসময় নগদ টাকাসহ স্বর্ণালংকার লুট করে নিয়ে যায় তারা।
ভুক্তভোগী বেল্লাল হোসেন জানান, তিনি সাবেক মন্ত্রী রুহুল আমিন হাওলাদারের দুমকিস্থ নির্মাণাধীন মসজিদ কমপ্লেক্সের দেখাশোনার কাজ করছেন। গত কয়েকদিন ধরে যুবদল নেতা মিজানুর রহমান লাল মিয়া তার কাছে ২ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে আসছিলেন। চাঁদা না দেওয়ায় বুধবার বিকেল থেকে কয়েকবার তার বসত বাড়িতে এসে তাকে উদ্দেশ্য করে অকথ্য গালিগালাজ করে। টাকা না দিলে তাকে মেরে ফেলার হুমকি দেওয়া হয়। পরে এদিন সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে কয়েকটি মোটরসাইকেলে করে ১০/১২জন দুর্বৃত্ত তার বসতঘরের দরজা জানালা পেটাতে থাকে এবং হত্যার উদ্দেশ্যে ঘরে ঢোকার চেষ্টা করে।
অভিযুক্ত মিজানুর রহমান লাল মিয়া বলেন, ‘ঘটনাটি সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। বেল্লাল আওয়ামী লীগের দোসর। উপজেলা জাতীয় ছাত্র সমাজের সাধারণ সম্পাদক। বুধবার (২২ জানুয়ারি) সকাল বেলা তার সাথে একটু ঝামেলা হয়েছে, তা ধামাচাপা দেওয়ার জন্য সে নাটক সাজিয়েছে।’
দুমকি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. জাকির হোসেন দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, ‘৯৯৯-এ কল পেয়ে উপ-পরিদর্শক (এসআই) আমিনুলকে ঘটনাস্থলে তদন্তের জন্য পাঠানো হয়। অভিযোগ দিতে বলা হলেও শুনেছি তারা আদালতের আশ্রয় নিয়েছে।’