সাইবার বুলিংকে অপরাধ হিসেবে স্বীকৃতি দিল সরকার

সাইবার বুলিং-এর বড় একটা অংশের শিকার হোন নারীরা
সাইবার বুলিং-এর বড় একটা অংশের শিকার হোন নারীরা  © প্রতীকী ছবি

দেশে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা বেড়েছে কয়েক গুণ, তার সঙ্গে বাড়ছে সাইবার বুলিংয়ের সংখ্যাও। তারকা থেকে অপ্রাপ্ত কিশোর-কিশোরী সবাই কমবেশি শিকার হয় সাইবার বুলিংয়ের। এবার বাংলাদেশে প্রথমবারের মত 'সাইবার বুলিং’কে অপরাধ হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। 'সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ ২০২৪' এর খসড়ায় তা স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) ঢাকায় ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত মিডিয়া ব্রিফিংয়ে এসব কথা জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। 

প্রেস সচিব বলেন, ‘সাইবার স্পেসকে সবার জন্য নিরাপদ করতে চাই। সাইবার স্পেসে অনেক ধরনের ক্রাইম হয়, মা-বোনরা বুলিংয়ের শিকার হয়, শিশুরা বুলিংয়ের শিকার হয়। এই সাইবার স্পেসকে নিরাপদ রাখা সরকারের দায়িত্ব। এর প্রেক্ষিতে সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশের খসড়া অনুমোদন করা হয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, 'এই অধ্যাদেশ জনসাধারণকে সুরক্ষা দেওয়ার পাশাপাশি গণমাধ্যমের স্বাধীনতাও নিশ্চিত করবে। এটি কোনোভাবেই গণমাধ্যমের স্বাধীনতাকে হস্তক্ষেপ করবে না।'

বিগত সরকারের আমলে করা সাইবার নিরাপত্তা আইনের বিতর্কিত ধারা ও অপপ্রয়োগ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, 'পতিত স্বৈরাচার শেখ হাসিনা আগের সাইবার সিকিউরিটি অ্যাক্টকে ব্যবহার করেছেন ভিন্নমত দমন করার জন্য, মুখ বন্ধ করে দেওয়ার জন্য, কিংবা দেশে ভয়ের পরিবেশ তৈরির জন্য। এটি পরিবর্তন করে এখন 'সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ ২০২৪' অনুমোদন করা হয়েছে।

এ আইন প্রসঙ্গে আইসিটি নীতি উপদেষ্টা ফাইজ তাইয়েব আহমেদ বলেন, 'আইনটি সঙ্গায়নের ক্ষেত্রে অত্যন্ত সমৃদ্ধ এবং ভবিষ্যতমুখী। একইসঙ্গে প্রযুক্তি ও কারিগরি দিক দিয়েও সমৃদ্ধ। এই আইনটি মানবিক ও ক্ষতিপূরণ প্রশ্নে ভুক্তভোগীকে পর্যাপ্ত সুবিধা দেয়। হয়রানির প্রশ্নে আদালতকে অবহিত করণে বাধ্যবাধকতা তৈরি করেছে। একইসঙ্গে বিচারককেও পর্যাপ্ত স্পেস দিয়েছে। আইনের অধিকাংশ ধারাই জামিনযোগ্য করে ডিজিটাল সিকিউরিটি আইনের বিপরীতে শাস্তিকে কমিয়ে অর্ধেকের কমে নামিয়ে আনা হয়েছে।'

উল্লেখ্য, ‘সাইবার বুলিং’ বলতে বোঝায় সোশ্যাল মিডিয়া, মেসেজিং প্ল্যাটফর্ম, ওয়েবসাইট বা সাইবার স্পেসে কোনো ব্যক্তি বা গোষ্ঠীকে ভয়ভীতি প্রদর্শন, হুমকি প্রদান বা হয়রানি করা; মিথ্যা বা ক্ষতিকর তথ্য, অপমানজনক বার্তা, গালিগালাজ, গুজব বা মানহানিকর কনটেন্ট ছড়ানোর মাধ্যমে কোনো ব্যক্তির সুনাম বা মানসিক স্বাস্থ্যকে ক্ষতিগ্রস্ত করা।


সর্বশেষ সংবাদ