ইজতেমা মাঠে সংঘর্ষ

উত্তরা ও তুরাগ তীর এলাকায় সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ

ইজতেমা মাঠ
ইজতেমা মাঠ  © সংগৃহীত

তুরাগ নদীর দক্ষিণ-পশ্চিম এলাকায় ও ঢাকার কামারপাড়া, আবদুল্লাহপুর, উত্তরা সেক্টর ১০ এলাকায় যেকোনো ধরনের সভা-সমাবেশ ও মিছিল-বিক্ষোভ ইত্যাদি নিষিদ্ধ করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত এ নিষেধাজ্ঞা বলবৎ থাকবে।

আজ বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলীর (এনডিসি) স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘সম্প্রতি উদ্ভূত পরিস্থিতি মোকাবেলায় জনশৃঙ্খলা রক্ষার্থে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ অর্ডিন্যান্স (অর্ডিন্যান্স নং- III/৭৬) এর ২৯ ধারায় অর্পিত ক্ষমতাবলে অদ্য ১৮ ডিসেম্বর ২০২৪ খ্রি., বুধবার বিকেল ২ ঘটিকা হতে কামারপাড়া, আব্দুল্লাহপুর, উত্তরা সেক্টর-১০ এবং তৎসংলগ্ন তুরাগ নদীর দক্ষিন পশ্চিম এলাকায় যে কোনো প্রকার সভা-সমাবেশ, মিছিল, শোভাযাত্রা, বিক্ষোভ ইত্যাদি পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত নিষিদ্ধ করা হলো।’

এর আগে বুধবার ভোররাত থেকে টঙ্গীর বিশ্ব ইজতেমা ময়দান দখলকে কেন্দ্র করে মাওলানা জুবায়ের ও সাদপন্থিদের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় তিনজন নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া আহত হয়েছেন শতাধিক।

আরও পড়ুন: পরকীয়ার পর বিয়ের চাপ, কীটনাশক খাইয়ে মা-মেয়েকে হত্যা

নিহতরা হলেন কিশোরগঞ্জ জেলার পাকুন্দিয়া থানার এগারসিন্দু গ্রামের বাসিন্দা বাচ্চু মিয়া (৭০), ঢাকার দক্ষিণখানের বেড়াইদ এলাকার বেলাল (৬০) ও বগুড়ার তাজুল ইসলাম (৭০)।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, রাত তিনটার দিকে সাদপন্থিরা তুরাগ নদীর পশ্চিম তীর থেকে কামারপাড়া ব্রিজসহ বিভিন্ন রাস্তা দিয়ে ইজতেমা ময়দানে প্রবেশ করতে থাকে। এ সময় ময়দানের ভেতর থেকে জুবায়েরপন্থিরা ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। জবাবে সাদপন্থিরাও পাল্টা হামলা চালায়। একপর্যায়ে সাদপন্থিরা ময়দানে প্রবেশ করলে উভয় পক্ষের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ শুরু হয়। এতে বহু হতাহত হয়।


সর্বশেষ সংবাদ