সব আয়োজন সম্পন্ন করেও আটকে গেল পদ্মা সেতুর রেল সংযোগ উদ্বোধন
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ০২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১:৩৪ AM , আপডেট: ০২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:০৮ PM
পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্পের পুরো ১৭২ কিলোমিটার রেলপথের কাজ শেষ। সোমবার (২ ডিসেম্বর) সকাল ৬টায় খুলনা থেকে সুন্দরবন এক্সপ্রেস ও ঢাকা থেকে বেলা ১১টায় বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেন চলাচলের মাধ্যমে পদ্মা রেল সংযোগ প্রকল্পের পুরো রুট উদ্বোধনের কথা ছিল। কিন্তু বাংলাদেশ রেলওয়ের রানিং স্টাফদের ৮ ঘণ্টার বেশি কাজ না করার সিদ্ধান্তে তা আটকে গেছে।
বাংলাদেশ রেলওয়ের নবনিযুক্ত মহাপরিচালক আফজাল হোসেন রবিবার (১ ডিসেম্বর) রাতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
আফজাল হোসেন বলেন, ‘আমাদের একটা ক্রাইসিস চলছে। মাইলেজ অ্যালাউন্সের জন্য রানিং স্টাফরা আন্দোলনে গেছে। তাদের আন্দোলনের জন্য আমাদের ট্রেন চলাচলে সমস্যা হচ্ছে। কিছু কিছু ট্রেন চলাচলে বিলম্ব হচ্ছে, কিছু কিছু ট্রেন বাতিল করা হচ্ছে। এটার সমস্যার সমাধান না হওয়া পর্যন্ত পুরো রুটে ট্রেন চালাতে পারছি না। এটার জন্য দেন–দরবার করা হচ্ছে। তবে অবশ্যই ডিসেম্বরের মধ্যে চালু হবে।’
উল্লেখ্য, রবিবার (১ ডিসেম্বর) থেকে রেলওয়ের রানিং স্টাফদের মাইলেজ যোগ করে পেনশন ও আনুতোষিক প্রদানের দাবিতে বাংলাদেশ রেলওয়ের রানিং স্টাফ ও শ্রমিক-কর্মচারী ইউনিয়নের সদস্যরা কর্মবিরতি শুরু করেছেন।
এতে করে দেখা দিয়েছে শিডিউল বিপর্যয়। ভোগান্তিতে পড়েছেন যাত্রীরা। গতকাল ঢাকা রেলওয়ে স্টেশন থেকে ১০টি ট্রেনের শিডিউল বিপর্যয় ঘটেছে এবং ঢাকা থেকে সিলেট, জয়দেবপুর ও দেওয়ানগঞ্জগামী মোট ৩টি ট্রেনের যাত্রা বাতিল করা হয়েছে। শিডিউল বিপর্যয়ের কারণে আজও সারাদেশের ট্রেন যাত্রীদের ভোগান্তিতে পড়তে হতে পারে বলে জানা গেছে।
কর্মীরা বলছেন, ‘আইন অনুযায়ী হেডকোয়ার্টারে তাদের ৮ ঘণ্টার ডিউটি শেষে ১২ ঘণ্টা বিশ্রাম করার কথা। কিন্তু কর্মী সংকট থাকায় তারা ৫/৬ ঘণ্টা বিশ্রাম করার পর আবার কাজে নেমে যান। রেলের কর্মীরা রেলের স্বার্থে কাজ করতে চান। কিন্তু রেলওয়ে তাদের স্বার্থের বিষয়ে আন্তরিক নয়। এর প্রতিবাদে অধিকার আদায়ের লড়াইয়ে নেমেছেন তারা।’
প্রসঙ্গত, বাংলাদেশ রেলওয়ের ২২৫০টি লোকোমোটিভ মাস্টার ও সহকারী লোকোমোটিভ মাস্টার পদের মধ্যে মাত্র ৭৫০টি পদ পূর্ণ রয়েছে। ফলে নিয়ম অনুযায়ী বিশ্রাম না করে ৫/৬ ঘণ্টা বিশ্রাম নিয়েই ট্রেনের সময়সূচি ধরে রাখতেই আবার ট্রেন চালাতে হতো তাদের।