সংঘর্ষের ঘটনায় বহিষ্কার ৮ শিক্ষার্থী, ছাত্রত্ব স্থগিত এক জনের

বরিশাল ইনস্টিটিউট অব হেলথ টেকনোলজি (আইএইচটি)
বরিশাল ইনস্টিটিউট অব হেলথ টেকনোলজি (আইএইচটি)  © সংগৃহীত

দুই গ্রুপের শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় ১০ শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে বরিশাল ইনস্টিটিউট অব হেলথ টেকনোলজি (আইএইচটি) কর্তৃপক্ষ। এদের মধ্যে একজনের বিরুদ্ধে মাদক সংশ্লিষ্টতার অপরাধে তার ছাত্রত্ব স্থগিত এবং ৮ শিক্ষার্থীকে ছাত্রাবাস থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

সোমবার (২৫ নভেম্বর) আইএইচটির অধ্যক্ষ মানস কৃষ্ণ কুন্ডু এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। 

তিনি বলেন, 'তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন এবং সুপারিশের পরিপ্রেক্ষিতে অ্যাকাডেমিক বোর্ড এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তায় ছাত্রাবাস এলাকায় পুলিশি নজরদারি বাড়ানো হয়েছে।'

আইএইচটি প্রশাসন সূত্র জানায়, গত ১০ নভেম্বর বরিশাল আইএইচটি শিক্ষার্থীদের দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে কয়েকজন শিক্ষার্থী আহত হন। এ ঘটনায় চার সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। কমিটি বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) দোষীদের শাস্তির সুপারিশসহ তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়। সে অনুযায়ী অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

ছাত্রত্ব স্থগিত হওয়া শিক্ষার্থী মো. সাজ্জাদ হোসেন আইএইচটির রেডিওগ্রাফি অনুষদের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র। তার বিরুদ্ধে মাদক সম্পৃক্ততার প্রমাণ পেয়েছে তদন্ত কমিটি। এজন্য তাকে মাদকাসক্ত নিরাময়কেন্দ্রে চিকিৎসা গ্রহণপূর্বক সুস্থ না হওয়া পর্যন্ত তার ছাত্রত্ব স্থগিত করা হয়েছে। সতর্ক করা হয়েছে ফিজিওথেরাপি অনুষদের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র মহিন উদ্দিনকে।

এ ছাড়া ল্যাবরেটরি অনুষদের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র নাবিল মোস্তফা, ডেন্টাল তৃতীয় বর্ষের জোবায়েদ আলম অরিদ, একই অনুষদের মো. সাব্বির আহম্মেদ, ফার্মেসি তৃতীয় বর্ষের মো. মুকিম আলম, একই অনুষদের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র মো. রাইসুল ইসলাম, ফিজিওথেরাপি তৃতীয় বর্ষের এসএম সাহিবুল ইসলাম উজ্জ্বল ও দ্বিতীয় বর্ষের মো. বেল্লাল এবং রেডিওগ্রাফি অনুষদের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র মো. ফয়সাল আলমকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত ছাত্রাবাস থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, ৬ দফা দাবি আদায়ে ইনস্টিটিউট অব হেলথ টেকনোলজি (আইএইচটি) বরিশালের শিক্ষার্থীরা কিছুদিন ধরে কর্মসূচি পালন করে আসছেন। তবে সম্প্রতি সিনিয়র (জ্যেষ্ঠ) ব্যাচের কয়েকজন শিক্ষার্থী কর্মসূচিতে যাওয়া না যাওয়া নিয়ে নানা কথা বলা শুরু করেন। কিন্তু যাঁরা এগুলো করছিলেন তাঁদের শুরু থেকে কর্মসূচির সঙ্গে দেখা যায়নি। আর এ নিয়ে জুনিয়র শিক্ষার্থীরা আলোচনা করায় গত ১০ নভেম্বর দুপুরে দ্বিতীয় বর্ষের এক শিক্ষার্থীর ওপর হামলা চালায় তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থীরা। এরপর পর্যায়ক্রমে ছাত্রাবাসের ভেতরে থাকা জুনিয়র শিক্ষার্থীদের খুঁজে খুঁজে মারধর করেন তৃতীয় বর্ষের ৮-১০ জন শিক্ষার্থী। 


সর্বশেষ সংবাদ

X
APPLY
NOW!