সাফজয়ী স্বপ্নার বস্তাভর্তি ক্রেস্ট বের করে দেখালেন বাবা-মা, যেগুলো রাখার আলমারিও নেই ঘরে

স্বপ্না রানি
স্বপ্না রানি

নিজের মেধা ও শ্রম দিয়ে খেলে দেশের ক্রীড়াঙ্গনের ভাগ্য বদলালেও নিজের ভাগ্য বদলাতে পারেনি ঠাকুরগাঁওয়ের প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে উঠে আসা সাফ চ্যাম্পিয়নজয়ী জাতীয় নারী ফুটবল দলের খেলোয়াড় স্বপ্না রানি। নিজের অনুপ্রেরণার জন্য হলেও অর্জনগুলো পরিপাটি করে সাজিয়ে রাখার জায়গাটুকুও নেই স্বপ্নার। বস্তাবন্দি হয়ে থাকে এই চ্যাম্পিয়ন খেলোয়াড়ের যাবতীয় অর্জন।

সম্প্রতি সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিওতে দেখা যায়, একটি বস্তা ঘরের সামনে একটি বস্তা থেকে স্বপ্নার অর্জনগুলো বের করে সাজিয়ে রাখছেন তার মা।

স্বপ্না রানির বাড়ি ঠাকুরগাঁও জেলার রানীশংকৈল উপজেলার বলিদ্বরা শিয়ালডাঙ্গী গ্রামে। চার দেয়ালের পুরোনো একটি মাটির ঘর। তার মধ্যে এক পাশে ভাঙা। সেটি আবার খড়ের বেড়া দিয়ে আটকানো। আঁটোসাঁটো এ ঘরে থাকা মাঝারি সাইজের একটি টিনের বাক্সে রাখা ট্রফি, সম্মাননা স্মারক, মেডেলসহ নানা অর্জন।

বাংলাদেশ জাতীয় নারী ফুটবল দলের খেলোয়াড় স্বপ্না রানি স্থানীয় রাঙাটুঙ্গী প্রমিলা নারী ফুটবল একাডেমি থেকে উঠে এসেছেন। স্বপ্নার বড় বোন কৃষ্ণা রানী স্থানীয় একটি দরজির দোকানের সেলায়ের কাজ করেন। সেই আয়েই মূলত স্বপ্নাদের সংসার চলে। স্বপ্নার এক বোন প্রতিবন্ধী। ২০১৯ সালে অনূর্ধ্ব-১৭ বয়সভিত্তিক দলে প্রথম সুযোগ পান স্বপ্না। এরপর জামশেদপুরে গত মার্চ মাসে সাফ অনূর্ধ্ব-১৮ টুর্নামেন্টে অসাধারণ পারফরম্যান্স করেন। ফুটবলের পাশাপাশি ক্রিকেটও ভালো খেলেন স্বপ্না।

এর আগে গত বুধবার নেপালকে ২-১ গোলে হারিয়ে সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে টানা দ্বিতীয়বারের মতো শিরোপা জেতে বাংলাদেশ। পরদিন বৃহস্পতিবার চ্যাম্পিয়নরা দেশে ফিরলে তাদের ছাদখোলা বাসে সংবর্ধনা দেয় বাফুফে। ওইদিন সন্ধ্যায় বাফুফে ভবনে ফুটবলারদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। সেখানে ক্রীড়া উপদেষ্টা চ্যাম্পিয়নদের হাতে তার মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে এক কোটি টাকার চেক তুলে দেন।


সর্বশেষ সংবাদ