ইসিকে জনপ্রশাসনের জরুরি ৯ নির্দেশনা
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ০৫ নভেম্বর ২০২৪, ১১:৪০ AM , আপডেট: ০৫ নভেম্বর ২০২৪, ১১:৪০ AM
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় নির্বাচন কমিশনকে (ইসি) ৯টি জরুরি নির্দেশনা দিয়েছে। এসব নির্দেশনা অনুসরণ করতে বলা হয়েছে যেকোনো অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার আগে। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. মো. মোখলস উর রহমান সম্প্রতি এসব নির্দেশনা দিয়ে ইসি সচিব শফিউল আজমকে একটি চিঠি পাঠিয়েছেন।
চিঠিতে তিনি উল্লেখ করেছেন, দেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি ও চলমান পরিবর্তনের প্রেক্ষাপটে সরকারি কর্মচারীদের আরও সতর্কতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করা প্রয়োজন। সম্প্রতি কিছু সরকারি অফিসের কর্মকাণ্ড মিডিয়ায় প্রকাশিত হওয়ার কারণে বিব্রতকর পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে, যা কাম্য নয়।
এ অবস্থায় বিদ্যমান পরিস্থিতির দিকে নজর রেখে মাঠ পর্যায়ের অফিসগুলোর জন্য নিচের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে এবং প্রয়োজন মনে হলে আরও কিছু বিষয় সংযোজন করা যেতে পারে।
নির্দেশনাগুলো হলো—
১. কোনো অনুষ্ঠানে যোগদানের আমন্ত্রণ গ্রহণের আগে আয়োজক প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহ করে সিদ্ধান্ত নেওয়া।
২. অনুষ্ঠানে অন্যান্য অতিথি সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করা এবং কোনো বিতর্কিত ব্যক্তি থাকলে সেই অনুষ্ঠান পরিহার করা।
৩. আয়োজিত অনুষ্ঠানের আমন্ত্রণপত্র, ব্যানার, লিফলেট, পতাকা, স্লোগান ইত্যাদি পর্যালোচনা করা, যাতে কোনো আপত্তিকর বা বিতর্কিত উপাদান না থাকে।
৪. অনুষ্ঠানের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থার সহায়তা নেওয়া।
৫. নিজস্ব অনুষ্ঠানের আমন্ত্রণপত্র, ব্যানার, চিঠি, সজ্জা, সার্টিফিকেট, ট্রফি, স্যুভেনির ইত্যাদি ভালোভাবে পরীক্ষা করা, যেন এতে কোনো বিতর্কিত উপাদান বা বক্তব্য না থাকে।
৬. সরকার যেসব দিবস বাতিল করেছে, সেগুলো পালন না করা এবং সেসব বিষয়ে সতর্ক থাকা।
৭. বাতিল ঘোষিত দিবসগুলোর স্মারক, ক্রেস্ট, ছবি, স্যুভেনির ইত্যাদি অফিস থেকে অপসারণের ব্যবস্থা নেওয়া।
৮. আনুষ্ঠানিক সভা বা অনুষ্ঠানের জন্য লিখিত বক্তব্য তৈরি করে পাঠ করা এবং লিখিত বক্তব্যের বাইরে কোনো কথা, স্লোগান বা জয়ধ্বনি না দেওয়া।
৯. কোনো ধরনের গুজব থেকে নিজেকে ও সহকর্মীদের দূরে রাখা।
এ ছাড়া চিঠিতে আরও বলা হয়েছে, এসব নির্দেশনা যদি মাঠপর্যায়ের দপ্তর বা সংস্থাগুলোর জন্য উপানুষ্ঠানিক পত্রের মাধ্যমে জারি করা হয়, তবে কর্মীরা আরও সতর্কভাবে দায়িত্ব পালন করতে পারবেন। এ জন্য ইসি সচিবকে ব্যক্তিগত উদ্যোগ নেওয়ার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।
এই নির্দেশনার পর ইসি সচিব যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য অতিরিক্ত সচিবকে নির্দেশ দিয়েছেন।