আওয়ামী লীগের হাতে রক্ত, জামায়াতের হাতেও রক্ত: আন্দালিব পার্থ
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ১১ অক্টোবর ২০২৪, ০৫:১৮ PM , আপডেট: ১১ অক্টোবর ২০২৪, ০৯:৩৪ PM
বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির (বিজেপি) চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার আন্দালিব রহমান পার্থ বলেছেন, আওয়ামী লীগের গণহত্যা নিয়ে নৈতিকতা নিয়ে প্রশ্নে জায়ায়েত ইসলামীও সেভাবে চ্যালেঞ্জ করতে পারবে না। কারণ তাদের হাতেও রক্ত আছে।
‘ঠিকানায় খালেদ মুহিউদ্দীন’ টকশোতে উপস্থাপকের করা প্রশ্নে এমন মন্তব্য করেন তিনি। নিউ ইয়র্কের স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) অনুষ্ঠানটি সরাসরি সম্প্রচারিত হয় ‘ঠিকানায় খালেদ মুহিউদ্দীন’ ইউটিউব চ্যানেলে। যেখানে অতিথি হিসাবে আরো ছিলেন গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি। উপস্থাপনা করেন ঠিকানা টিভির প্রধান সম্পাদক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) খালেদ মুহিউদ্দীন।
খালেদ মুহিউদ্দীন করা বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর মুক্তিযুদ্ধে ভূমিকা এবং তাদের সাথে জোট করে রাজনীতি করার প্রশ্নের উত্তরে পার্থ বলেন, প্রথম থেকেই জামায়াত স্বাধীনতার বিরোধী ছিল। জামায়াতের আমির যত-না বেশি ব্যাখ্যা করছেন, তার চেয়ে বেশি ব্যাখ্যা পাকিস্তানে ইমরান খান করছেন। জামায়েতের ব্যাপারটা প্রথম থেকেই ছিল।
আরও পড়ুন: ‘ঠিকানা’–তে যোগ দিলেন সাংবাদিক খালেদ মুহিউদ্দীন
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ মানুষের সাথে বিশ্বাস ঘাতকতা করেছে। মানুষ আওয়ামী লীগকে বিশ্বাস করেছে গণতন্ত্রের জন্য। আওয়ামী লীগের হাতে ক্ষমতা দিয়েছে, ২০০৮ সালে ভোট দিয়েছে। আওয়ামী লীগ স্বাধীনতার যুদ্ধে নেতৃত্বদানকারী রাজনৈতিক দল ছিল। জামায়াত তো প্রথম অবস্থা থেকেই খারাপ ছিল। এখানে তারা গণহত্যার সাথে জড়িত ছিল। সেটার জন্যই তো আজকে তাদের এই অবস্থান। আমরা জামাতের সাথে অবশ্যই জোট করেছি কিন্তু জামাতের ওই অবজেকশন (অভিযোগ) গুলোকে রেখেই করেছি।
অন্য এক প্রশ্নের উত্তরে জুনায়েদ সাকি বলেন, ছাত্র শিবির জামায়েত ইসলামী এই প্রশ্নে আমাদের অবস্থানটা ছিল ১৯৭১ সালে তাদের ভূমিকার প্রসঙ্গে। ১৯৭১ সালের পাকিস্তানী গণহত্যায় তাদের রাজনৈতিক সহযোগিতার অবস্থান ছিল। এবং গণহত্যার একটা অক্সেলারি (সহযোগী) ফোর্স হিসেবে তাদের কোন কোন প্রতিষ্ঠিত বাহিনী কাজ করেছে। সেই জায়গা থেকে তারা বাংলাদেশের স্বাধীনতার পরে এই বিষয়ে তাদের অবস্থানের যে ব্যাখ্যা জনগণের কাছে দেওয়া, সেটা তারা সুস্পষ্টভাবে দিয়েছে বলে আমাদের এখনো জানা নাই। তারা এখন বলেন যে তাদের একসময়ের আমির তিনি নাকি এই বিষয়ে ব্যাখ্যা দিয়েছিলেন। কিন্তু এটা জামায়েতে ইসলামী বাংলাদেশ প্রশ্নে তাদের অবস্থান কি, একাত্তর সালে তাদের যে রাজনৈতিক ভূমিকা সেই ভূমিকাকের তারা কিভাবে মূল্যায়ন করে সেই জায়গা থেকে স্পষ্ট ব্যাখ্যা আমার মনে হয় জনগণের বিরাট অংশ জানতে চায়।
অনুষ্ঠানে দায়িত্ব নেয়ার দুই মাস পরে সরকারের সাফল্য, ব্যর্থতাসহ রাজনৈতিক দলগুলোর অবস্থান, আওয়ামী লীগ-ছাত্রলীগ নিয়ে ভাবনার মতো সাম্প্রতিক বিভিন্ন প্রসঙ্গ উঠে আসে। এসব নিয়ে নিজেদের অবস্থান জানান আমন্ত্রিত দুই অতিথি।