বসুন্ধরা চেয়ারম্যান ও এমডির ব্যাংক হিসাব জব্দ
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ০৭ অক্টোবর ২০২৪, ০৬:৫৮ AM , আপডেট: ০৭ অক্টোবর ২০২৪, ০৭:০৭ AM
বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) সায়েম সোবহান আনভীরসহ তাঁদের পরিবারের ৮ সদস্যের ব্যাংক হিসাব জব্দ করার নির্দেশ দিয়েছে।
রোববার (৬ অক্টোবর) দেশের কেন্দ্রীয় আর্থিক গোয়েন্দা সংস্থা বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) থেকে সব ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কাছে এ সংক্রান্ত একটি চিঠি পাঠানো হয়।
ব্যাংক হিসাব জব্দের তালিকায় থাকা অন্যরা হলেন- বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহানের ছেলে সাদাত সোবহান, সাফিয়াত সোবহান ও সাফওয়ান সোবহান এবং তিন পুত্রবধূ সোনিয়া ফেরদৌসী সোবহান, সাবরিনা সোবহান ও ইয়াশা সোবহান।
চিঠিতে বলা হয়েছে, উল্লিখিত ব্যক্তি ও তাদের প্রতিষ্ঠানের নামে কোনো ব্যাংক হিসাব পরিচালিত হয়ে থাকলে সেসব হিসাবের লেনদেন মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনের আওতায় ৩০ দিনের জন্য স্থগিত রাখা এবং তাদের নামে কোনো লকার থাকলে তার ব্যবহার ৩০ দিন বন্ধ রাখার নির্দেশনা দেওয়া হলো।
লেনদেন জব্দের পাশাপাশি আহমেদ আকবর সোবহান এবং তার ছেলে ও পুত্রবধূদের নাম, জাতীয় পরিচয়পত্রের তথ্য দেওয়া হয়েছে চিঠিতে। সেখানে বলা হয়েছে, তাদের ব্যাংক হিসাবসংশ্লিষ্ট তথ্য বা দলিল (হিসাব খোলার ফরম, কেওয়াইসি ও লেনদেন বিবরণী ইত্যাদি), চলমান ঋণের তথ্য (গ্রাহকের নাম, ঋণের হিসাব নম্বর ও বর্তমান স্থিতি, শ্রেণীকৃত মান প্রভৃতি), অপ্রত্যাশিত আমদানি বা রপ্তানি বিলের তথ্য এবং লকার সম্পর্কিত তথ্য দুই কার্যদিবসের মধ্যে বিএফআইইউতে পাঠানোর জন্য ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে বলা হয়েছে।
গত আগস্ট মাসে সরকারবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময়ে আহমেদ আকবর সোবহান তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীর প্রতি প্রকাশ্যে সমর্থন জানালে বিষয়টি আলোচিত হয়। ৫ আগস্ট ছাত্র–জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের চার দিন আগে বাংলাদেশ ব্যাংক বসুন্ধরা গ্রুপকে দুই বছর ঋণ পরিশোধ না করার সুবিধা দেয়। এর মধ্যে ন্যাশনাল ব্যাংকে তাঁদের ঋণের পরিমাণ ছিল প্রায় ৩ হাজার ৮৫৯ কোটি টাকা। এর মধ্যে সরাসরি ঋণ ৩ হাজার ৮৪৪ কোটি টাকা।