ওসির চেয়ারে স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা, ইচ্ছেমত করছেন মামলায় কাটছাট

ওসির চেয়ারে স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা, ইচ্ছেমত করছেন মামলায় কাটছাট
ওসির চেয়ারে স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা, ইচ্ছেমত করছেন মামলায় কাটছাট  © সংগৃহীত

সাভারের আশুলিয়া থানায় ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার (ওসি) চেয়ারে বসে মামলার এজাহার কাটছাট করতে দেখা যায় থানার স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক জিল্লুর রহমান মাস্টার ওরফে জিল্লুর মাস্টারকে। বৃহস্পতিবার রাত ৯টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। স্বেচ্ছাসেবক দল নেতার এমন আচরণে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।

আশুলিয়া থানায় গিয়ে দেখা যায়, নীল পাঞ্জাবী পড়া মধ্য বয়সী একজন ওসির চেয়ারে বসে মামলার এজাহার কাটছাট করছেন। তাকে ঘিরে দাঁড়িয়ে আছেন ২০-২৫ জন যুবক। তাদের কেউ ঢুকছেন, কেউ বের হচ্ছে। অর্থাৎ কড়া নজরদারি। বাইরে মোটরসাইকেল নিয়ে দাঁড়িয়ে আছেন দেড় থেকে দুইশ যুবক। টেবিলে একটি ওয়াকিটকি পড়ে আছে। কোনো পুলিশের দেখা নেই।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আশুলিয়া থানার কয়েকজন পুলিশ সদস্য বলেন, থানায় এখনও ওসির পোস্ট খালি। ওসির কক্ষে বর্তমান পরিদর্শক (তদন্ত) মাসুদুর রহমান বসেন। কিন্তু বৃহস্পতিবার কক্ষটি ফাঁকা পেয়ে ওই নেতা চেয়ারে বসে পড়েন। আমরা ছোট চাকরি করি, তাই আমাদের কিছুই বলার নাই। ঢাকা থেকে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এলেও ওসির কক্ষে বসেন। ওই সময় যদি কোনো কর্মকর্তা থানায় এলে তো ওসি তদন্ত স্যার মহাবিপদে পড়তেন।

আরও পড়ুন: পিএসসি’র প্রধান কার্যালয়ে তালা, পেছনের দরজা দিয়ে পালালেন কর্মকর্তারা

ওই ঘটনার সময় উপস্থিত এক সাংবাদিক স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা জিল্লুর রহমানকে প্রশ্ন করেন, আপনি কি থানার নতুন ওসি? থানায় তো ওসির পোস্টটি খালি। জবাবে তিনি বলেন, আমাকে ওসি তদন্ত বসার অনুমতি দিয়েছেন, এ জন্য বসেছি। 

এ বিষয়ে আশুলিয়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. মাসুদুর রহমান গণমাধ্যমকে বলেন, উনি (জিল্লুর রহমান) ওসির রুমে বসেছিলেন। ওসি যেহেতু নেই, তাই ওসির আগের চেয়ার সরিয়ে অন্য একটি চেয়ার দেওয়া হয়েছে ওই রুমে। আমি থানায় ছিলাম না। পরে গিয়ে আমি তার পাশে বসি। আপনারা যা ভালো মনে করেন, তাই লেখেন। 

এ বিষয়ে মন্তব্য জানতে ঢাকা জেলা পুলিশ সুপার আহম্মদ মুঈদের ফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।


সর্বশেষ সংবাদ