হাজি সেলিম গ্রেফতার
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ০২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৮:০৪ AM , আপডেট: ০২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৮:১২ AM
আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য হাজি মো. সেলিমকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গতকাল রবিবার (১ সেপ্টেম্বর) দিবাগত মধ্যরাতে পুরান ঢাকার বংশাল এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। ঢাকা মহানগর পুলিশের যুগ্ম কমিশনার (ডিবি) রবিউল ইসলাম ভূঁইয়া এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, হাজী সেলিমের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে। তাকে পুলিশ খুঁজছিল। মধ্যরাতে তাকে বংশাল এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
ডিবি সূত্রে জানা গেছে, হাজী সেলিমকে গ্রেফতারের পর ডিবি কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তিনি সেখানেই রাতে থেকেছেন। আজ সোমবার (২ সেপ্টেম্বর) তাকে আদালতে তুলে রিমান্ড চাইবে পুলিশ।
আরও পড়ুন : আত্মসমর্পণ না করে দেশ ছাড়লেন হাজি সেলিম
পুরান ঢাকার লালবাগ ও চকবাজার এলাকা নিয়ে গঠিত ঢাকা-৭ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য হাজি সেলিম দীর্ঘ দিন আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। তিনি আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে প্রথম সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন ১৯৯৬ সালে তৎকালীন ঢাকা–৮ আসন থেকে। পরে ২০০১ সালের নির্বাচনে প্রয়াত বিএনপি নেতা নাসির উদ্দিন আহমেদ পিন্টুর কাছে হেরে যান তিনি।
২০১৪ সালে অনুষ্ঠিত দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা–৭ আসন থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করেন হাজি সেলিম। ওই নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিনকে পরাজিত করে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন তিনি। ২০১৮ সালে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়নে একই আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন হাজি সেলিম।
আরও পড়ুন : এমপি পদে থাকতে পারবেন না হাজি সেলিম
তবে চলতি বছরের জানুয়ারিতে অনুষ্ঠিত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে হাজি সেলিম প্রার্থী হননি। তাঁর বদলে তাঁর ছেলে সোলায়মান মোহাম্মদ সেলিমকে ঢাকা-৭ আসন থেকে মনোনয়ন দেয় আওয়ামী লীগ। তিনি নির্বাচিতও হয়েছিলেন।
হাজি সেলিম ও তাঁর স্ত্রী গুলশান আরার বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন এবং সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগে ২০০৭ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর মামলা করে দুদক। বিচারিক আদালত ২০০৮ সালের ২৭ এপ্রিল ওই মামলায় রায় দেন। রায়ে হাজি সেলিমের ১৩ বছরের কারাদণ্ড হয়।
২০২২ সালে ওই মামলায় হাজি সেলিমের ১০ বছরের কারাদণ্ড বহাল রেখে রায় দেন হাইকোর্ট। পরে আদালতে আত্মসমর্পণ করেন তিনি। এরপর কিছুদিন কারাভোগের পর ২০২৩ সালের জানুয়ারিতে উচ্চ আদালত তাঁকে জামিন দেন।