যে ছবি দেখে চোখ ছলছল করে উঠছে সবার

ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়া শিশুর ছবি
ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়া শিশুর ছবি  © সংগৃহীত

ছোট শরীরের গলা পর্যন্ত পানিতে ডুবে আছে। একদৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে সামনের দিকে। শিশুটির চোখে রাজ্যের ভয়। পাশেই একটি গাছ। চারিদিকে থই থই করছে পানি। আশপাশে আর কেউ নেই। এমন একটি ছবি ছড়িয়ে পড়েছে ফেসবুকে। এ ছবি দেখে চোখ ছলছল করে ওঠেনি, এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া বার। ইতিমধ্যে ফেসবুকে ছবিটি ভাইরাল হয়েছে।

যদিও ছবিটি কোথায় তোলা তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তবে দেশে আট জেলায় বন্যাকবলিত এলাকার হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক উপদেষ্টা আসিফ নজরুলও ছবিটি শেয়ার দিয়েছেন। তিনি লিখেছেন, ‘আসুন আমরা পাশে দাঁড়াই’। অনেকে ছবিটি প্রোফাইল পিকচার বানিয়েছেন।

তাহমিনা আক্তার সুরমা ফেসবুকে লিখেছেন, ‘এ চাহনিতে কত ভয়! কত অব্যক্ত কথা! বাঁচার কত আকুতি! হে আল্লাহ এই অসহায় মানুষের আপনিই একমাত্র অভিভাবক।আপনার রহমতের চাদরে এদেশকে আচ্ছাদন করুন, অসহায় মানুষের সহায় হোন। এ বিপদ থেকে সবাইকে হেফাজত করুন...।’

আতিক ভাই নামে একজন ছবিটি শেয়ার করে লিখেছেন, ‘সে রাজনীতি বোঝে না, সে ধর্ম বোঝে না। সে বাঁধ বোঝে না, বন্যা বোঝে না। শুধু বোঝে আতংক। আল্লাহ রক্ষা করো সকলকে।’

আরিয়ান চৌধুরী নামে একজনও ছবিটি শেয়ার করেছেন। তিনি লিখেছেন, ‘ফেনী ও বন্যাকবলিত এলাকার সাহায্য চাই। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব এদের উদ্ধার করুন। প্রতি মিনিটে পরিস্থিতি খারাপ হচ্ছে।’ জান্নাতুল অরোরারে ভাষ্য, আল্লাহ তুমি সবাইকে হেফাজত করো। এই চোখের দিকে তাকানোর সাহসই তো পাচ্ছি না, বুকের মধ্যে দুমড়ে মুচড়ে যাচ্ছে। আমার নিজেরও ৮ মাসের একটা মেয়ে আছে, এই ছবি কোনো মা সহ্য করতে পারবে না।’

আরো পড়ুন: বন্যা কবলিতদের পাশে দাঁড়াতে ফান্ড সংগ্রহ শুরু বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের

এদিকে বাঁধ খুলে দিয়ে বাংলাদেশে বন্যা সৃষ্টির অভিযোগ তুলে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন অনেকে। ফ্রান্সে থাকা বাংলাদেশি লেখক পিনাকি ভট্টাচার্য ছবিটি ফেসবুকে দিয়ে লিখেছেন, ‘নোয়াখালীতে ভারত থেকে বন্যার পানি এত দ্রুত আসছে যে, তাদের ঘরে আটকে থাকা মানুষের কাছে কোন স্পিডবোট পৌছাতে পারছে না। পানি বেড়েই চলেছে, অনেকে ছাদে আটকে আছে। তারা সাহায্যের জন্য মরিয়া। হেলিকপ্টারে ছাড়া আর কোনও উপায় নেই তাদের রক্ষা করার। ভারত ছাড়া সবাইকে অনুরোধ করছি, অবিলম্বে হেলিকপ্টার পাঠানোর জন্য। নারী, শিশুসহ পুরো পরিবার অপেক্ষা করছে— সময় চলে যাচ্ছে। দয়া করে, অনেক দেরী হয়ে যাওয়ার আগে সাহায্য করুন।’

ছবিটি শেয়ার করে সাংবাদিক ইলিয়াস হোসেন লিখেছেন, ‘ভালো নেই আমাদের মাতৃভূমি। ২০২৪ সালটা এমন যাচ্ছে কেন?’ 


সর্বশেষ সংবাদ

×
  • Application Deadline
  • December 17, 2025
  • Admission Test
  • December 19, 2025
APPLY
NOW!
GRADUATE ADMISSION
SPRING 2026!
NORTH SOUTH UNIVERSITY
Center of Excellence