অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের মেয়াদ হবে কতদিন

সংসদ ভবন
সংসদ ভবন  © ফাইল ছবি

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের মুখে পদত্যাগ করে দেশ ছেড়ে গেছেন সদ্য সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তার দেশত্যাগের ২৪ ঘণ্টা পরেই বিলুপ্ত করা হয়েছে জাতীয় সংসদ। দেশের এই সংকটকালীন সময়ে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে আজ বৃহস্পতিবার রাত ৮টায় বঙ্গভবনে শপথ নিতে যাচ্ছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। তবে এ সরকারের মেয়াদ আসলে কতদিন হবে, তা এখনও চূড়ান্ত হয়নি। 

বিশ্লেষকরা বলছেন, বিদ্যমান সংবিধানে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কোনো রূপরেখা নেই। ফলে সংবিধানের বাইরে গিয়ে এ সরকার গঠন করতে হবে।

এদিকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়করা গত বুধবার রাতে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে বৈঠকে নতুন অন্তর্বর্তী সরকারের মেয়াদ ও কাদের নিয়ে সরকার গঠন হবে, তা নিয়ে আলোচনা করেন। ওই বৈঠকে এ সরকারের মেয়াদ কমপক্ষে তিন বছর হওয়ার বিষয়ে তারা মত দেন। 

তবে গতকাল ঢাকায় বিএনপির সমাবেশে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান অনলাইনে দেওয়া বক্তব্যে দ্রুত সময়ের মধ্যে জনগণের নির্বাচিত প্রতিনিধির কাছে ক্ষমতা হস্তান্তরের তাগিদ দিয়েছেন।

সংবিধানের ১২৩(৩)(ক) অনুচ্ছেদে বলা আছে, মেয়াদ অবসানের কারণে সংসদ ভেঙে যাওয়ার ক্ষেত্রে ভেঙে যাওয়ার পূর্বের ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন করতে হবে। ১২৩(৩)(খ) অনুচ্ছেদে বলা আছে, মেয়াদ অবসান ছাড়া অন্য কোনো কারণে সংসদ ভেঙে যাওয়ার ক্ষেত্রে পরের ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন করতে হবে। 

কিন্তু বর্তমান অবস্থাকে ‘বিশেষ পরিস্থিতি’ হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। সোমবার সন্ধ্যায় রাষ্ট্রপতির সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর বৈঠকে বিশেষ পরিস্থিতিতে নির্বাচন হলে তার সময়সীমা নির্ধারণ করা সম্ভব নয় বলে মত দেওয়া হয়। সে ক্ষেত্রে সাধারণ নির্বাচনের পর গঠিত সংসদে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কর্মকাণ্ডকে বৈধতা দেওয়া হবে। ঐকমত্যের ভিত্তিতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সময়সীমা তারা নিজেরাই নির্ধারণ করবে।

এদিকে গতকাল বুধবার সেনা সদরে সংবাদ সম্মেলনে সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান জানান, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সদস্য সংখ্যা হতে পারে ১৫-এর মতো। দু-একজন বেশিও হতে পারেন। তিনি বলেন, ড. ইউনূসকে সশস্ত্র বাহিনী সব ধরনের সহায়তা দেবে।

ঢাকায় ইউনূস সেন্টার জানিয়েছে, ড. ইউনূস বৃহস্পতিবার দুবাই থেকে এমিরেটসের একটি ফ্লাইটে দুপুর ২টা ১০ মিনিটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছাবেন। এদিকে ফিন্যান্সিয়াল টাইমসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ড. ইউনূস বলেছেন, ‘সরকারের ওপর আস্থা ফিরিয়ে আনা জরুরি। আমাদের শান্ত থাকতে হবে। নতুন নির্বাচনের একটি রোডম্যাপ তৈরি এবং নতুন নেতৃত্বের জন্য প্রস্তুতি গ্রহণ করা দরকার।’


সর্বশেষ সংবাদ