শেখ কামাল ছিলেন তারুণ্যের রোল মডেল: প্রধানমন্ত্রী
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ০৫ আগস্ট ২০২৪, ১০:০৮ AM , আপডেট: ০৫ আগস্ট ২০২৪, ১০:২২ AM
আজ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জ্যেষ্ঠ পুত্র, মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক এবং ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব শহীদ শেখ কামালের ৭৫তম জন্মবার্ষিকী। জন্মবার্ষিকী’ উপলক্ষ্যে এক বাণীতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ ক্যাপ্টেন শেখ কামাল ছিলেন বহুমাত্রিক প্রতিভার অধিকারী, ও তারুণ্যের রোল মডেল।
আজ সোমবার (৫ আগস্ট) ‘শহীদ ক্যাপ্টেন শেখ কামালের ৭৫তম জন্মবার্ষিকী’ উপলক্ষ্যে দেয়া এক বাণীতে এ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, অফুরন্ত প্রাণশক্তির অধিকারী শেখ কামাল একই সঙ্গে ছিলেন অত্যন্ত বিনয়ী, ভদ্র, নির্লোভ, নিরহংকারী ও সদালাপী। তিনি সাধারণ মানুষের সঙ্গে মিশে যেতেন অতি সাধারণ হয়ে। তিনি যেকোন মানুষের প্রয়োজনে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিতেন। প্রাতিষ্ঠানিক জ্ঞানার্জনের পাশাপাশি তিনি মনে প্রাণে দেশীয় সংস্কৃতি লালন এবং চর্চা করতেন। খেলাধুলা, সংগীত, অভিনয়, বিতর্ক, উপস্থিত বক্তৃতা ইত্যাদি প্রতিটি ক্ষেত্রেই তাঁর স্বপ্রতিভ অবস্থান ছিল। ‘স্পন্দন শিল্পী গোষ্ঠী’ প্রতিষ্ঠা করে তিনি সংস্কৃতি জগতে অমর হয়ে আছেন।
শেখ হাসিনা বলেন, শেখ কামাল একাধারে যেমন দেশের সেরা ক্রীড়া সংগঠক এবং ক্রীড়াবিদ ছিলেন, তেমনি ছাত্র হিসেবেও তিনি ছিলেন অত্যন্ত মেধাবী। সেনাবাহিনীতে ক্যাপ্টেন হিসেবে পদোন্নতি পাওয়ার পরও তিনি লেখাপড়াকে গুরুত্ব দিয়ে পুনরায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়েছিলেন।
তিনি বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট এক ঘোর অমানিশায় স্বাধীনতা বিরোধী ঘাতকের দল জাতির পিতাকে সপরিবারে নির্মমভাবে হত্যা করে। সেই কালরাতে ধানমন্ডি-৩২ নম্বরের বঙ্গবন্ধু ভবনে ঢুকে খুনিরা প্রথমেই হত্যা করে বীর মুক্তিযোদ্ধা ক্যাপ্টেন শেখ কামালকে। কাপুরুষ হন্তারকদের দল শারীরিকভাবে শেখ কামালকে হত্যা করলেও বাংলাদেশের ক্রীড়াঙ্গনকে আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত করার অভিযাত্রায় তাঁর প্রদর্শিত পথ, আদর্শ এবং দিকনির্দেশনা আজও এক অনুকরণীয় মডেল।
শেখ হাসিনা বলেন, শেখ কামাল আমাদের মাঝে অনুপ্রেরণার উৎস হয়ে সদাজাগ্রত আছেন এবং ভবিষ্যতেও থাকবেন। আজ তাঁর ৭৫তম জন্মবার্ষিকীতে আমি তাঁকে গভীর মমত্ববোধ এবং স্নেহপরশের মধ্য দিয়ে স্মরণ করছি। আমার বিশ্বাস, শেখ কামাল-এর আদর্শ ও প্রদর্শিত পথ অনুসরণ করে অচিরেই আমাদের ক্রীড়াঙ্গন আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে সাফল্যের শিখড়ে অধিষ্ঠিত হবে।
তিনি বলেন, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছার জ্যেষ্ঠ পুত্র শেখ কামাল বাংলাদেশের ক্রীড়া জগতের এক উজ্জ্বল নক্ষত্র হিসেবে আবির্ভূত হয়েছিলেন। দেশ স্বাধীনের পূর্বেই তিনি আবাহনী সমাজ কল্যাণ সংস্থা গঠন করেছিলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশ ফার্স্ট ওয়ার কোর্স’ সমাপনকারী একজন অত্যন্ত চৌকস ক্যাডেট লেফটেন্যান্ট শেখ কামাল মুক্তিবাহিনীর প্রধান সেনাপতি জেনারেল ওসমানীর এডিসি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন। মুক্তিযুদ্ধ থেকে ফিরে এসে তিনি আবাহনী ক্রীড়া চক্র প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। ফুটবলের পাশাপাশি আবাহনী ক্রীড়া চক্রের অধীন তিনি হকি, ক্রিকেট এবং টেবিল টেনিস দলও গঠন করেছিলেন।