সচিবালয়ের বড় কর্তা পরিচয় দিতেন প্রশ্নফাঁসে গ্রেপ্তার আবু জাফর
- পটুয়াখালী প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ১৩ জুলাই ২০২৪, ০৭:২২ PM , আপডেট: ১৩ জুলাই ২০২৪, ০৭:২৫ PM
এলাকার লোকজনকে সচিবালয়ের বড় কর্মকর্তা বলেই পরিচয় দিতেন বিসিএসসহ ৩০টি নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নফাঁসে গ্রেপ্তার সরকারি কর্ম কমিশনের সাময়িক বরখাস্ত হওয়া উপ-পরিচালক আবু জাফর। প্রশ্নফাঁসের টাকায় এলাকায় একটি মসজিদ ও মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা করেছেন তিনি।
আবু জাফরের গ্রামের বাড়ি পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলায়। উপজেলার কলাগাছিয়া ইউনিয়নের কালারাজা এলাকার মিয়া বাড়ির মৃত তোফাজ্জল মিয়ার ছোট ছেলে আবু জাফর। তোফাজ্জল মিয়া এক সময় কৃষি কাজ করতেন। চার ভাই ও তিন বোনের মধ্যে আবু জাফর সবার ছোট।
আবু জাফরের গ্রামের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, বাড়ির সামনেই তৈরি করা হয়েছে পাকা মসজিদ এবং মাদ্রাসা। বাড়ি সামনে দিয়ে চলে যাওয়া পিচঢালা সড়কের পাশেই ৬০ শতক জমিতে সীমানা প্রাচীর দিয়ে ঘেরা জমিতে একটি ডুপ্লেক্স বাড়ি তৈরির কাজ শুরু হলেও তা শেষ করা হয়নি।
স্থানীয়রা জানান, আবু জাফর তার নিজ এলাকায় খুব বেশি আসতেন না। তবে এলাকার সবাই জানতো তিনি সচিবালয়ে বড় পদে চাকরি করেন। আবু জাফরের গ্রেপ্তার ও তার বিরুদ্ধে প্রশ্নফাঁস চক্রের সাথে জড়িত থাকার বিষয় প্রকাশ্যে আসার পর স্থানীয়দের মনে নানা প্রশ্নের জন্ম হয়েছে। অনেকেই বলছেন, নিজের অবৈধ অর্থ সম্পদ সম্পর্কে যেন কেউ ধারনা করতে না পারে সেজন্য ডুপ্লেক্স বাড়ির নির্মাণ কাজ বন্ধ রেখেছেন।
আবু জাফরের স্ত্রী ঢাকার একটি কলেজে শিক্ষকতা করেন। আবু জাফর ঢাকার মালিবাগে জ্যোতি ইনস্টিটিউট নামে একটি কোচিং পরিচালনা করতেন। সেখানে তিনি বিভিন্ন এলাকার ছাত্র-ছাত্রীদের মূলত বিসিএস সহ বিভিন্ন চাকরির কোচিং করাতেন। তবে পটুয়াখালীতে কাউকে চাকরি দেননি।
স্থানীয় প্রতিবেশী জামাল হোসেন বলেন, সে এখানে মসজিদ করেছেন, মাদ্রাসা করেছেন, বাড়ির কাজও শুরু করেছিলেন। সে কী ধরনের অপরাধ করেছে, সেটা আমরা ভালো ভাবে জানতে পারিনি। এখন জানলাম সে প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনায় গ্রেফতার হয়েছে। কিন্তু তিনি এলাকায় কোন খারাপ কাজ করেনি।’
আবু জাফর এবং তার ভাইয়ের প্রতিষ্ঠা করা প্রতিষ্ঠান কলাগাছিয়া মিয়াবাড়ী নূরানি হাফিজিয়া মাদ্রাসার শিক্ষক হাফেজ মাওলানা মো. ইমরান হোসেন বলেন, মাদ্রাসাটিতে এখন ১৮ জন ছাত্র রয়েছে। মাদ্রাসার যাবতীয় খরচ জাফর মিয়া এবং তার ভাই আউয়াল মিয়া বহন করেন।’