৫৭ সেকেন্ডে ৪৩ ব্যালটে সিল মারার ঘটনায় তদন্ত কমিটি
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ০৭ নভেম্বর ২০২৩, ০৯:২০ AM , আপডেট: ০৭ নভেম্বর ২০২৩, ০৯:২০ AM
ভোটকেন্দ্রে প্রকাশ্যে নৌকা প্রতীকে ৫৭ সেকেন্ডে ৪৩টি ব্যালটে এক ছাত্রলীগ নেতার সিল মারার ভিডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ার পর দেশব্যাপী সমালোচনার ঝড় বইছে। এ ঘটনায় এক সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। সোমবার (৬ নভেম্বর) ভিডিওটি ভাইরাল হয়।
এ ঘটনায় সোমবার রাতেই জেলা নির্বাচন কর্মকর্তাকে দিয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। ভিডিওটির বিষয়ে জানতে চাইলে রাতে রিটার্নিং কর্মকর্তা ও কুমিল্লা আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মো. ফরহাদ হোসেন বলেন, বিষয়টি তার নজরে এসেছে।
তিনি বলেন, লক্ষ্মীপুর জেলা নির্বাচন কর্মকর্তাকে দিয়ে এক সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি করা হয়েছে ঘটনাটি খতিয়ে দেখতে। ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে প্রতিবেদন দিতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। ঘটনার সত্যতা পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা ও উপ-নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা নির্দেশ দিয়েছেন তদন্তের।
লক্ষ্মীপুর-৩ (সদর) আসনের উপনির্বাচনে ছাত্রলীগের সাবেক এক নেতার প্রকাশ্যে নৌকা প্রতীকে সিল মারার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে। এতে ভোটকেন্দ্রে ওই নেতাকে একাধিক ব্যালট পেপারে নৌকা প্রতীকে সিল মারতে দেখা যায়।
আরো পড়ুন: ৫৭ সেকেন্ডে ৪৩টি ব্যালটে নৌকায় সিল মারলেন ছাত্রলীগের সাবেক নেতা
ছড়িয়ে পড়া ৫৭ সেকেন্ডের ভিডিওতে দেখা গেছে, ভোটকক্ষে বসে এক ব্যক্তি ব্যালট পেপারে অনবরত নৌকা প্রতীকে সিল মারছেন। তাঁর গলায় নৌকা প্রতীকের কার্ড ঝুলছে। এ সময় ৪৩টি ব্যালটে নৌকা প্রতীকে তাঁকে সিল মারতে দেখা যায়। তাঁকে নৌকায় সিল মারতে সহযোগিতা করছেন কক্ষে থাকা অন্য একজন ব্যক্তি।
একাধিক সিল মারা ওই ব্যক্তির নাম আজাদ হোসেন। তিনি সদর উপজেলা দিঘলী ইউনিয়নের দক্ষিণ খাগুড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে নৌকার এজেন্ট হিসেবে দায়িত্বে ছিলেন। আজাদ চন্দ্রগঞ্জ থানা ছাত্রলীগের সহসভাপতি ছিলেন। গত অক্টোবর দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে তাঁকে বহিষ্কার করে জেলা ছাত্রলীগ।
এ বিষয়ে আজাদ হোসেনের বক্তব্য জানা যায়নি। চন্দ্রগঞ্জ থানা ছাত্রলীগের সভাপতি আবু তালেব বলেন, আজাদ তাঁদের কমিটির সহসভাপতি ছিলেন। শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে জেলা ছাত্রলীগ তাঁকে গত ৮ অক্টোবর বহিষ্কার করে। তিনি এখন ছাত্রলীগের সঙ্গে সম্পৃক্ত নন। ভিডিওটি তিনিও দেখেছেন।