দাম্পত্য কলহে দুঃখী ছিলেন ছাত্রলীগ নেতা রানা
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ০৪ জুন ২০২৩, ১২:১০ AM , আপডেট: ২০ আগস্ট ২০২৫, ১০:২০ AM
আত্মহত্যার আগে স্ত্রীর সঙ্গে কলহের জেরে সরকারি কবি নজরুল সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি ওয়াসিম রানা বিষন্ন ছিলেন বলে জানিয়েছে পুলিশ। এর আগে গতকাল শুক্রবার বংশাল নিমতলী থেকে ওয়াসিম রানার (২৯) ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
পরিবার, বন্ধু ও সহপাঠীরা বলছেন, তিনি গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। এরই মধ্যে ফেসবুকে রানার আট সেকেন্ডের একটি ভিডিও ছড়িয়েছে। ভিডিওতে রানাকে বলতে শোনা যায়, ‘আমার মৃত্যুর জন্য দায়ী এই মেয়ে।’
পুলিশ বলছে, কবি নজরুল কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সাবেক ছাত্রী বিষয়ক সম্পাদক সানজিদা আক্তার জান্নাতিকে বিয়ে করেছিলেন রানা। তবে দাম্পত্য কলহের জেরে কয়েক দিন আগে সানজিদা নারায়ণগঞ্জের তারাবো চলে যান। এ বিষয় নিয়েই বিষন্ন হয়ে পড়েন রানা।
রানার সহপাঠীরা জানান, সানজিদা এবং রানা একে অপরকে পছন্দ করে বিয়ে করেন। রাজনৈতিক কারণে তাঁরা বিয়ের বিষয়টি প্রকাশ করেননি। বিভিন্ন বিষয় নিয়ে তাঁদের বনিবনা হচ্ছিল না।
এদিকে, ঘটনার পর রানার স্ত্রী সানজিদা ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালের মর্গে আসেন। তাঁকে কান্নাকাটি করতে দেখা যায়। এসময় সানজিদা আক্তারের এক স্বজন জানান, রানার সঙ্গে তাঁর ৭ বছরের প্রেমের সম্পর্ক। আড়াই বছর হলো তাঁদের বিয়ে হয়েছে। তবে রাজনৈতিক কারণে সেটা পরিবারের বাইরে কাউকে জানানো হয়নি এবং সানজিদা পরিবারের সঙ্গে নারায়ণগঞ্জেই থাকেন।
কবি নজরুল কলেজ ছাত্রলীগ শাখার সিনিয়র সহসভাপতি কে এম সোহাগ বলেন, শুক্রবার দুপুরে তারা বাসার সবাই মিলে মোহাম্মদপুরে রানার এক বোনের বাসায় যান। তাঁর ওই বোন দেশের বাইরে থাকতেন, সম্প্রতি দেশে এসেছেন। সেখানে খাওয়া-দাওয়া ও আড্ডা হয়। বিকেলে রানা ধানমন্ডি যাবেন বলে বেরিয়ে যান। এরপর রাতে দরজা ভেঙে তাঁর লাশ উদ্ধার করা হয়।
এদিকে নিহতের লাশ ময়নাতদন্ত ছাড়াই তাঁর পরিবার নিয়ে গেছে। তাঁরা কোনো অভিযোগ করেননি। তবে বংশাল থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে ডিএমপির লালবাগ বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) মো. জাফর হোসেন বলেন, নিহতের পরিবার কোনো অভিযোগ করেনি। তাঁরা লাশ ময়নাতদন্ত ছাড়াই নিতে আবেদন করেন, এরপর আজ শনিবার দুপুরে তাদের কাছে নিহতের মরদেহ হস্তান্তর করা হয়।