রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ নিলেন মো. সাহাবুদ্দিন
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ২৪ এপ্রিল ২০২৩, ১১:০৯ AM , আপডেট: ২৪ এপ্রিল ২০২৩, ১১:০৯ AM
বাংলাদেশের ২২তম রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ নিয়েছেন মো. সাহাবুদ্দিন। তবে আনুষ্ঠানিকতার অংশ হিসেবে মঙ্গলবার (২৫ এপ্রিল) সকালে তাকে ‘গার্ড অব অনার’ দেয়া হবে। শপথ অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী, সরকারের মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী, সংসদ সদস্যসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ কয়েকশ অতিথি উপস্থিত রয়েছেন।
সোমবার (২৪ এপ্রিল) বেলা ১১ টায় বঙ্গভবনের ঐতিহাসিক দরবার হলে এই শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান হয়। নতুন রাষ্ট্রপতিকে শপথবাক্য পাঠ করান জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরিন শারমিন চৌধুরী।
এদিন বঙ্গভবন থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে বিদায় নেবেন আবদুল হামিদ। এরপর সেখান থেকে বেরিয়ে রাজধানীর নিকুঞ্জে নিজ বাসা ‘রাষ্ট্রপতি লজে’ উঠবেন তিনি। ইতোমধ্যে তার প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র স্থানান্তর করা হয়েছে।
এর আগে, চলতি বছরের ১৩ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশের ২২তম রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হন মো. সাহাবুদ্দিন। আর কোনো প্রার্থী না থাকায় তিনি বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন।
দীর্ঘ ১০ বছর দায়িত্ব পালনের পর মেয়াদ শেষ করছেন মো. আব্দুল হামিদ। সাবেক রাষ্ট্রপতি মো. জিল্লুর রহমান সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন থাকাকালে ১৪ মার্চ ২০১৩ থেকে মো. আবদুল হামিদ ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পালন করেন। ২০ মার্চ রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমান মৃত্যুবরণ করলে তিনি সে দিন থেকে অস্থায়ী রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পালন করেন।
এরপর বিদায়ী রাষ্ট্রপতি মো. আব্দুল হামিদ ২২ এপ্রিল ২০১৩ তারিখে তিনি বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হন এবং ৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ তারিখে ধারাবাহিকভাবে দ্বিতীয় মেয়াদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রাষ্ট্রপতি পুনর্নির্বাচিত হন।
পাবনার সন্তান মো. সাহাবুদ্দিনের জন্ম ১৯৪৯ সালে। ছাত্রজীবনে তিনি পাবনা জেলা ছাত্রলীগের সক্রিয় কর্মী ও সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। মো. সাহাবুদ্দিন চুপ্পু ১৯৭৪ সালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমএসসি ডিগ্রি অর্জন করেন। পরে এলএলবি ও বিসিএস (বিচার) পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন।
তিনি পাবনা এডওয়ার্ড কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক, পাবনা জেলা ছাত্রলীগ ও যুবলীগের সভাপতির দায়িত্বও পালন করেছেন।মুক্তিযুদ্ধে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণকারী সাহাবুদ্দিন ১৯৮২ সালে বিসিএস (বিচার) ক্যাডার হিসেবে যোগ দেন।
বিচারকের বিভিন্ন পদে চাকরি শেষে ২৫ বছর পর ২০০৬ সালে জেলা ও দায়রা জজ হিসেবে অবসর নেন। পরবর্তীতে ২০১১ সাল থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত তিনি দুর্নীতি দমন কমিশনের কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।