বাংলাদেশের নারীরা নীতিনির্ধারণের ক্ষেত্রে পিছিয়ে রয়েছে: কানাডিয়ান হাইকমিশনার

আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে ঢাবির সেমিনারে বক্তব্য রাখছেন ঢাকায় নিযুক্ত কানাডার হাইকমিশনার লিলি নিকোলস
আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে ঢাবির সেমিনারে বক্তব্য রাখছেন ঢাকায় নিযুক্ত কানাডার হাইকমিশনার লিলি নিকোলস  © টিডিসি ছবি

দেশের নীতিনির্ধারকদের মধ্যে নারীর অংশগ্রহণ নিয়ে হতাশা ব্যক্ত করেছেন ঢাকায় নিযুক্ত কানাডার হাইকমিশনার লিলি নিকোলস। তিনি বলেছেন, দেশের প্রধানমন্ত্রী, স্পিকার সহ সংসদে সংরক্ষিত নারীদের ৫০ আসন থাকা সত্ত্বেও নীতিনির্ধারণের ক্ষেত্রে নারীরা পিছিয়ে রয়েছে এবং এই ক্ষমতার ভারসাম্যহীনতার স্বীকার খোদ সংসদের সংরক্ষিত আসনের সদস্যরাও। পুরুষদের উচিত মধ্যম পন্থা অবলম্বন করা। মধ্যম পন্থা অবলম্বন করে সকল জেন্ডারের অধিকার নিশ্চিত করাই আমাদের লক্ষ্য। দেশের নারীদের অধিকার রক্ষায় ডেভেলপমেন্ট ইন্ডাস্ট্রি তৈরি করা জরুরি এবং ঐসকল ইন্ডাস্ট্রির মালিক থাকবে নারীরা। যারা নারীর প্রয়োজন বুঝবে, নারীর অধিকার রক্ষায় ভূমিকা রাখবে। 

মঙ্গলবার (৭ মার্চ) আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশে নারীদের অধিকার সচেতন করতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সমাজবিজ্ঞান বিভাগ কর্তৃক আয়োজিত ‘শিক্ষক-ছাত্র বৈঠক’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। 

কানাডিয়ান হাইকমিশনার বলেন, নানান প্রতিবন্ধকতা পার হয়ে নারীরা আজ বিশ্বের দরবারে সফলতার স্বাক্ষর রাখছে। নারীদের সবসময়ই বিভিন্ন প্রতিবন্ধকতার সম্মুখীন হতে হয়। বাংলাদেশ সহ বিশ্বের সব নারীরা কট্টরপন্থীদের রোষানলে পড়ছে প্রতিনিয়তই। এক্ষেত্রে বাংলাদেশের নারীরা সবচেয়ে সচেতন, শিক্ষিত এবং উন্নত বিবেক সম্পন্ন নতুন প্রজন্ম। তারা পারে একটা জাতি থেকে বৈষম্য দূর করতে এবং সমতা নিশ্চিত করতে। 

বাংলাদেশে নারীদের ক্ষমতায়নের কথা উল্লেখ করে লিলি নিকোলস বলেন, বাংলাদেশ ঐদেশ গুলোর মাঝে অন্যতম যেখানে নারীর ভোটাধিকারের জন্য কোন আন্দোলন করতে হয়নি। নারীরা নির্বিঘ্নে তাদের অধিকার পেয়েছে যেখানে পশ্চিমা নারীদেরকে ভোটাধিকারের জন্য সংগ্রাম করতে হয়েছে বছরের পর বছর।  আমরা চাই দেশের ঐধরনের সাংস্কৃতিক  প্রথা (কালচারাল নর্ম) পরিবর্তন হোক যে সব প্রথা নারীদের অধিকার আদায়ের পথে বাঁধা হয়ে দাড়ায়। বাংলাদেশ এখন নিম্ন আয়ের দেশ থেকে মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হয়েছে। কানাডার সাথে সাথে বাংলাদেশ ও সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট গোলস (এসডিজি) সমভাবে পূর্ণ করে যাচ্ছে। দেশের ক্ষমতায় পুরুষের সাথে সাথে সমভাবে নারীর অবদানও উল্লেখযোগ্য। 

অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে ঢাবির সমাজবিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক সাদেকা হালিম বলেন, নারীদের অধিকার আদায়ে দেশি-বিদেশি অনেক এনজিও সংস্থা কাজ করে যাচ্ছে। এসব সংস্থার মূল লক্ষ্য সমাজ ও দেশ থেকে পুরুষতান্ত্রিক সমাজের অত্যাচার থেকে রক্ষা করা এবং তার বিরুদ্ধে প্রতিবাদের ভাষা শেখানো। অধিকার আদায়ে নারীদের সঙ্ঘবদ্ধ থাকতে হবে।


সর্বশেষ সংবাদ

×
  • Application Deadline
  • December 17, 2025
  • Admission Test
  • December 19, 2025
APPLY
NOW!
GRADUATE ADMISSION
SPRING 2026!
NORTH SOUTH UNIVERSITY
Center of Excellence