প্রশ্নপত্রে নিখিল নওশাদ-সান্ত্বনা খাতুনকে নিয়ে সংবাদপত্রে প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে বাংলায় একটি অনুচ্ছেদ তুলে দেওয়া হয়।
লেখাটি হুবহু ছিল এমন, ‘গত ১৬-০৯-২০২২ তারিখ তরুণ কবি নিখিল নওশাদ বিয়ে করেন স্কুলশিক্ষক সান্ত্বনা খাতুনকে। তাঁদের বিয়ের দেনমোহর হিসেবে টাকা বা সোনাদানা নয়, ছিল ১০১টি বই। কনে সান্ত্বনা খাতুন মনে করেন, অন্য সম্পদ ফুরিয়ে যাবে, কিন্তু বই পড়ে যে জ্ঞান অর্জন করা যায়, তা কখনো হারিয়ে যাবে না। কনে সান্ত্বনা খাতুন বলেন, সোনাদানা, টাকাকড়ি আমার কাছে মূল্যহীন। বই আমার কাছে অমূল্য সম্পদ। ( তথ্য: দৈনিক প্রথম আলো)।’
এরপর ১০ নম্বরের চারটি সৃজনশীল প্রশ্ন দেওয়া হয়—
(ক) মনের দাবি রক্ষা না করলে কী বাঁচে না?
(খ) সাহিত্যচর্চাকে শিক্ষার সর্বপ্রথম অঙ্গ বলা হয় কেন?
(গ) কনে সান্ত্বনার মানসিকতায় ‘বইপড়া’ প্রবন্ধের যে দিকটি প্রতিফলিত হয়েছে, তা ব্যাখ্যা করো।
(ঘ) সোনাদানা, টাকাপয়সা নয়, বই হলো অমূল্য সম্পদ—মন্তব্যটি ‘বইপড়া’ প্রবন্ধের আলোকে বিশ্লেষণ করো?
নিখিল নওশাদ বলেন, ‘বিষয়টি সত্যিই আমাদের জন্য খুব আনন্দ ও গর্বের। বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের কাছে আমরা কৃতজ্ঞ।’
বগুড়ার ধুনট উপজেলার গোসাইবাড়ী ইউনিয়নের নিখিল নওশাদ তরুণ কবি। তিনি ‘বিরোধ’ নামের একটি ছোটকাগজের সম্পাদক। সান্ত্বনা খাতুন বগুড়া শহরের উত্তর চেলোপাড়া দাখিল মাদ্রাসার ইংরেজির শিক্ষক। তার বাবার বাড়ি সোনাতলা উপজেলার কামালেরপাড়া গ্রামে। দুজনই পড়াশোনা করেছেন বগুড়ার সরকারি আজিজুল হক কলেজে।
জানা যায়, কবিতার সূত্রে পরিচয় নিখিল-সান্ত্বনার। এরপর ভালো লাগা থেকে ভালোবাসা। একপর্যায়ে বিয়ের সিদ্ধান্ত নেন দুজন। সান্ত্বনা শর্ত দেন, দেনমোহর হিসেবে ১০১টি প্রিয় বই দিতে হবে। প্রিয় বইয়ের তালিকাও দেন নিখিলের হাতে। তবে ঢাকা ও বগুড়ার বিভিন্ন দোকান ঘুরে সব বই সংগ্রহ করতে পারেননি নিখিল।