বোকা বিএনপি
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ২৫ মার্চ ২০২০, ০৩:৫২ PM , আপডেট: ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২০, ০৬:১৩ PM
দীর্ঘ ৭৭৫ দিন কারাভোগের পর সরকারের দেওয়া শর্তের ভিত্তিতে মুক্তি পেলেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। আজ বুধবার আড়াইটার দিকে বিএসএমএমইউতে কারা কর্মকর্তা চিঠি নিয়ে যান। পরে তিনি মুক্তি পান।
খালেদা জিয়ার মুক্তি নিয়ে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল। ‘বোকা বিএনপি’ শিরোনামে তিনি লিখেছেন, ‘‘করোনার আশংকার মধ্যে আওয়ামী লীগ মুজিববর্ষের আতশবাজি করেছে। একই বোকমি করতে যাচ্ছে বিএনপি। করোনার আরো আশংকার মধ্যে তারা শাহবাগ মোড়ে জড়ো হচ্ছে। বেগম খালেদা জিয়া বের হলে তাকে বরণ করে নেয়ার জন্য। বোকা বিএনপিকে বুঝতে হবে এমন সমাগমে বড় বিপদ হতে পারে তাদের নিজেদের, দেশের, সর্বোপরি বেগম জিয়ারই।
তাছাড়া বেগম খালেদা জিয়া বিএনপির আন্দোলনে মুক্তি পাননি। পেয়েছেন নিজের অসুখের তীব্র যাতনায়। এখন তার মুক্তির সময়ে ভীড় করে কি দেখাতে চায় বিএনপি?’’
বিএনপি চেয়ারপার্সনের মুক্তি নিয়ে কথা বলেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পপুলেশন সায়েন্সেস-এর আরেকজন অধ্যাপক। তার ভাষ্যমতে, ‘আমি রাজনৈতিক সমালোচক নই তবে রাজনৈতিক মতাদর্শের বাইরেও নই।’
তিনি লিখেছেন, খালেদা জিয়ার মুক্তির বিষয়টি আমি যেভাবে দেখছি
১। পারিবারিক আবেদনের প্রেক্ষিতে খালেদা জিয়াকে মুক্তির সরকারি সিদ্ধান্তটিকে অবশ্যই সাধুবাদ দেওয়া যায়।
২। বয়স বিবেচনায় মানবিক দিককে লক্ষ্য রেখে বিদেশ যেতে পারবেন না- এ শর্তে ৬ মাসের জন্য মুক্তি মানে সরকার চাইলে তাঁকে আবার জেলে নিতে পারবে।
৩। এটি এখন সহজেই বলা যাবে যে, সরকার চাইলে তাঁকে আরও আগেই মুক্তি দিতে পারতো।
৪। করোনা সামলাতে গিয়ে সরকার লেজে গোবরে করে ফেলেছে- ফলে এ থেকে সাধারণ মানুষের দৃষ্টি ভিন্ন দিকে নিয়ে পাবলিক সেন্টিমেন্ট পক্ষে নেবার কৌশল হতে পারে বলে কেউ কেউ মনে করতে পারেন।
৫। খালেদা জিয়াকে বিদেশে না যাবার শর্ত না দিলেও তিনি এখন বিদেশ যেতে পারতেন না। কারণ, বিশ্ব স্বাস্থ্যসংস্থার আজকের (২৪ মার্চ ২০২০) হিসাবে ১৯০টি দেশে পৌঁছে গেছে করোনা। বিদেশের সাথে যোগাযোগ ব্যবস্থা প্রায় বিচ্ছিন্ন। কাজেই তিনি অন্য কোথাও যেয়ে চিকিৎসা নিতে পারবেন না। ফলে তাঁকে বাধ্য হয়েই দেশে সেবা নিতে হবে যা সরকার আগেই চেয়েছিল।
৬। করোনা প্রাদুর্ভাবের এ সময়ে খালেদা জিয়া নিজ বাসায়ও করোনা আক্রান্ত-হবার ঝুঁকিতে থাকতে পারেন। বয়স বিবেচনায় তিনি অত্যন্ত ঝুঁকি পূর্ণ বয়সে রয়েছেন।রাজনৈতিক নেতাকর্মীরা তাঁর সাথে দেখা-সাক্ষাৎ করবে। তাছাড়া এ বয়সে হাসপাতালে থাকাকালীন যদি কোন কারণে তিনি করোনা সংক্রমিত হতেন সে দায়দায়িত্ব নিতে হতো সরকারকে। সেদিক বিবেচনায় সরকার এখন নিরাপদ।
বিএনপি-আওয়ামী লীগ সবাই ঘরে থাকুন। রাজনীতি হবে পরে।
ফেসবুক স্ট্যাটাস থেকে