নার্সিং লাইসেন্সিংয়ে পরীক্ষার্থী ৩ হাজার, উত্তীর্ণ মাত্র ৬শ
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ০৩ অক্টোবর ২০২৩, ১১:১০ AM , আপডেট: ১৬ আগস্ট ২০২৫, ০৩:৪৮ PM
নার্সিং ও মিডওয়াইফারি কাউন্সিল আয়োজিত কম্প্রিহেনসিভ (লাইসেন্সিং) পরীক্ষায় ৩ হাজার ২৫৬ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে উত্তীর্ণ হয়েছেন মাত্র ৬৭৪ জন। গত ২৯ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত এ লাইসেন্সিং পরীক্ষায় পাসের হার ছিল ২০ দশমিক ৭০ শতাংশ। যেখানে অংশগ্রহণকারীদের প্রায় ৮০ শতাংশ পরীক্ষার্থীই অকৃতকার্য হয়েছেন। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ সূত্রে ফলাফলের এ তথ্য জানা গেছে।
এর আগে ৩১ মার্চ অনুষ্ঠিত পরীক্ষায় অকৃতকার্যের হার ছিল মাত্র ১২ দশমিক ৬৯ শতাংশ। মার্চে অনুষ্ঠিত ওই পরীক্ষায় মোট ১১ হাজার ৯০৪ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাস করেছিলেন ১০ হাজার ৩৯৪ জন।
সেপ্টেম্বরে অনুষ্ঠিত বিএসসি নার্সিং লাইসেন্সিং পরীক্ষায় ৬৬৯ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাস করেন ৪২০ জন। ডিপ্লোমা ইন নার্সিং সায়েন্স অ্যান্ড মিডওয়াইফারিতে ৭৯২ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাস করেন ১৫৮ জন। ডিপ্লোমা ইন পেশেন্ট কেয়ারে পরীক্ষার্থী ছিলেন ১ হাজার ৭৬৫ জন। পাস করেন ৯৬ জন। এছাড়া ডিপ্লোমা ইন মিডওয়াইফারিতে পরীক্ষার্থী ছিলেন ৩০ জন। তবে এর মধ্যে কেউ উত্তীর্ণ হননি।
এর আগে গত মার্চে অনুষ্ঠিত পরীক্ষায় বিএসসি ইন নার্সিংয়ে পরীক্ষার্থী ছিলেন ২ হাজার ৪৮৩ জন। পাস করেন ২ হাজার ৭০ জন। ডিপ্লোমা ইন নার্সিং সায়েন্স অ্যান্ড মিডওয়াইফারিতে পরীক্ষার্থী ছিলেন ৮ হাজার ১৬৫ জন। পাস করেন ৭ হাজার ৮৯৬ জন। ডিপ্লোমা ইন পেশেন্ট কেয়ারে পরীক্ষার্থী ছিলেন ১ হাজার ২১৬ জন। পাস করেন ৪২৩ জন। ডিপ্লোমা ইন মিডওয়াইফারিতে পরীক্ষার্থী ছিলেন ৪০ জন। পাস করেন পাঁচজন।
আরও পড়ুন: সমান সুযোগ দিলে নার্সিংয়ে মেয়েদের মত ভালো করবে ছেলেরাও
জানা যায়, এসকল পরীক্ষার মধ্যে ডিপ্লোমা ইন মিডওয়াইফারি এবং ডিপ্লোমা ইন পেশেন্ট কেয়ারে সবচেয়ে বেশি ফল বিপর্যয় ঘটে। এসকল পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে পরীক্ষার্থীদের ন্যূনতম ৫৯ দশমিক ২০ নম্বর পেতে হয়। প্রশ্নপত্র তৈরি করা হয় কোর্স সিলেবাস, ব্যবহারিক ও সমসাময়িক বিভিন্ন বিষয়ের উপর ভিত্তি করে।
২০১৮ সালে নার্সিং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ছিল ৭১টি থেকে বেড়ে হয়েছে ৪২৮টি। অর্থ্যাৎ মাত্র চার-পাঁর বছরের ব্যবধানে নার্সিং ইনস্টিটিউট বেড়েছে ছয় গুণ এবং শিক্ষার্থী বেড়েছে নয় গুণেরও বেশি। প্রয়োজনীয় সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত না করেই এমন অনিয়ন্ত্রিতভাবে নার্সিং ইনস্টিটিউটের সংখ্যা বৃদ্ধির কারণেই এ ফল বিপর্যয় ঘটেছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
এ বিষয়টি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, মানসম্মত নার্সিং শিক্ষা নিশ্চিত করতে চাইলে যেসব ইনস্টিটিউটে পর্যাপ্ত শিক্ষক ও সুযোগ-সুবিধা নেই, সেসকল প্রতিষ্ঠানে ভর্তি কার্যক্রম বন্ধ রাখতে হবে। একটি ইনস্টিটিউট পর্যাপ্তসংখ্যক শিক্ষার্থীসহ প্রয়োজনীয় সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করতে পারলে ভর্তির অনুমতি দেয়া উচিত।
বাংলাদেশ নার্সিং অ্যান্ড মিডওয়াইফারি কাউন্সিলের রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) মো. রশিদুল মান্নাফ কবীর বলেন, আমরা নার্সিং শিক্ষার মানকে আন্তর্জাতিক মানের করতে চাচ্ছি। তাই আমরা পরীক্ষার প্রশ্নে এ বছর মূল বই ও ব্যবহারিক শিক্ষার জ্ঞানকে গুরুত্ব দিয়েছি। যারা ভালোভাবে মূল বই পড়েছেন, ব্যবহারিক দক্ষতা অর্জন করেছেন, বেসিক অর্জন করেছেন তারাই এ পরীক্ষায় ভালো করবেন।