কওমি মাদ্রাসা বন্ধ করলে কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ০২ এপ্রিল ২০২১, ০৪:৪৪ PM , আপডেট: ০২ এপ্রিল ২০২১, ০৫:০৬ PM
কওমি মাদ্রাসা বন্ধ করা হলে কঠোর আন্দোলনের ঘোষণা দিয়েছেন হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় যুগ্ম সম্পাদক ও ঢাকা মহানগরের সভাপতি মাওলানা জোনায়েদ আল হাবীব।
শুক্রবার বাদ জুমা রাজধানীর বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদ প্রাঙ্গণে আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন। তিনি বলেন, করোনার দোহাই দিয়ে মাদ্রাসা বন্ধ করা হলে রাজপথে কঠোর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।
জোনায়েদ আল হাবীব বলেন, করোনা আল্লাহ দিয়েছে। আল্লাহ আমাদের এর হাত থেকে পরিত্রাণও দিবেন। কাজেই করোনার দোহাই মসজিদ বন্ধ করা যাবে না।
কওমি মাদ্রাসা বন্ধের বিষয়ে তিনি বলেন, সরকারের প্রজ্ঞাপনে কওমি মাদ্রাসা বন্ধের ব্যাপারে কোনো নির্দেশনা নেই। তবে করোনার দোহাই দিয়ে কওমি মাদ্রাসা বন্ধ ও ইসলামী সভা-সমাবেশ বন্ধ করার পায়তারা চলছে।
তিনি বলেন, করোনার নিয়ে আতঙ্ক ছড়ানো হচ্ছে। পরিষ্কার ভাষায় বলতে চাই, করোনার আতঙ্ক ছড়িয়ে গত বছর মসজিদে ভালো করে নামাজ পড়তে দেননি। আবার ষড়যন্ত্র হচ্ছে। করোনার অজুহাতে মাদ্রাসা বন্ধের ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। যদি এমন পাঁয়তারা করেন তাহলে মাঠে নেমে আসবে হেফাজত। ভুল করেও মসজিদ-মাদ্রাসা বন্ধের চেষ্টা করবেন না।
এর আগে গত সোমবার প্রধানমন্ত্রীর মুখ্যসচিব ড. আহমদ কায়কাউস স্বাক্ষরিত ১৮ দফা নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। এরমধ্যে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের নির্দেশনায় বলা হয়েছে, সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান (প্রাক-প্রাথমিক, প্রাথমিক, মাদ্রাসা , মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, বিশ্ববিদ্যালয়) ও কোচিং সেন্টার বন্ধ থাকবে।
জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বলেছেন, ১৮ দফা নির্দেশনায় মাদ্রাসার কথা স্পষ্টভাবে উল্লেখ করা আছে। এখানে শুধু কওমি না, সব মাদ্রাসা , সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এবং কোচিং সেন্টার বন্ধ থাকবে। করোনা ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ছে। এখনি সংক্রমণ রোধ না করা গেলে সমস্যা হবে।