আজহারের গল্পে ভিকারুননিসার আত্মঘাতী ‘অরিত্রীর বিবাহবার্ষিকী’

  © টিডিসি ফটো

রাজধানীর ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের ছাত্রী অরিত্রী অধিকারীর কথা মনে আছে? যে কিনা নকলে অভিযুক্ত হওয়ায় নিজের বাবা-মাকে অপমানিত হতে দেখেছিলো। শিক্ষকের পায়ে ধরেও যার এতটুকু সহানুভূতি পর্যন্ত মেলেনি। বাবা মায়ের অপমান সহ্য করতে না পেরে ২০১৮ সালের তেসরা ডিসেম্বর রাজধানীর শান্তিনগরে নিজ ফ্ল্যাটে ফ্যানের সঙ্গে ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে অরিত্রী। হ্যাঁ অরিত্রীর আত্মহত্যার পর থেকেই নামটা যেন মস্তিষ্কে গেঁথে গেছে। তাই গল্পে গল্পে অরিত্রীকে বাঁচিয়ে রাখার চেষ্টা করবো। নির্মম গল্পগুলো অরিত্রীর নামের সাথে খুব মানায় এখন। তাই এই গল্পে অরিত্রীকে হয়তো খুব সুখে রাখতে পারবো না ঠিক কিন্তু আত্মহত্যার হাত অন্তত বাঁচিয়ে রাখবো।

অমন রাজকীয় প্লেটে নানান পদের তরিতরকারি দিয়ে সাজানো ভাত না দেখলে যার খেতেই মন চাইতো না। সেই অরিত্রী আজ মাটির থালে পান্তা ভাতের সাথে এক টুকরো পেঁয়াজ, একটা কাঁচামরিচ সাথে গত রাতের একটু সবজি নিয়ে খেতে বসেছে। অরিত্রী এখন নিজের সবচেয়ে তৃপ্তির খাবারটা খাবে। অভ্যস্থ অরিত্রী এখন অধিকাংশ সময় এভাবেই ক্ষুধা মেটায়।

বছর পাঁচেক আগে অরিত্রী বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিলো। অরিত্রী বাবা মায়ের একমাত্র আদরের মেয়ে। বাবা, মা আর অরিত্রী। তিন সদস্যের পরিবার তাদের। তাই সবসময় সুখেই কেটেছিলো অরিত্রীর জীবন। কিন্তু চিরাচরিত নিয়মানুযায়ী মেয়েকে বিয়ে দিতে হবে যে, অন্যের ঘরে পাঠাতে হবে। তাই মেয়ের সুখের কথা চিন্তা করে মোটামুটি ভালো ফ্যামিলিতে অরিত্রীকে বিয়ে দিয়েছে বাবা। বিয়ের দিন মা অনেক কেঁদেছিলো। পুরো ঘরকে কাঁদিয়ে অরিত্রী অন্যের ঘরে চলে যাচ্ছে। সেদিন বাবা অনেক কষ্টে নিজের কান্নাটা চেপে রেখেছিল। সবার সামনে হাসিখুশি ছিলো বাবা। মেয়েকে একবারের জন্যও বুঝতে দেয়নি নিজের কতটা কষ্ট হচ্ছে। কিন্তু  বিপত্তিটা সপ্তাহ খানেক না যেতেই ঘটলো। কষ্টটা হয়তো সবার হয়, এরমধ্যে কেউ সহ্য করতে পারে, আবার কেউ পারেনা। অরিত্রীর বাবাও ঠিক তেমনি। স্ট্রোক করেছেন বাবা। হসপিটালে অরিত্রীর আহাজারি, ওর মায়ের কিছুক্ষণ পরেই ফুঁপিয়ে উঠা, কি নির্মম দৃশ্য আহা! 

এরমধ্যে কিছুক্ষন হলো বাবার জ্ঞান ফিরেছে। অরিত্রীকে বুকে টেনে নিয়ে কানে কানে বললো আর কাঁদিস না মা, আমি সুস্থ হয়ে যাবো। তুই কাঁদলে তোর মাকে সান্ত্বনা দিবে কে? এসব বলতে বলতে বাবার চোখটা বন্ধ হয়ে আসছিলো। তবে মুখে ছোট্ট একটা সান্ত্বনার হাসি। কারো যেন কষ্ট না হয়, কেউ যেন এমনটা ভেবে কষ্ট না পায় যে বাবা মৃত্যুর সময় অনেক কষ্ট পেয়েছে। তাই হয়তো মুখের হাসিটা তখনো ধরে রেখেছিলেন কষ্ট করে।

বাবাকে হারানোর পর অরিত্রী অনেক ভেঙ্গে পড়েছে। এভাবে বছর খানেক পেরুনোর পর মাকে দেখার মত কেউ না থাকায় দুঃখ কষ্টে মা নিজেও অনেকটা অসুস্থ হয়ে পড়েছে। দেখে বুঝার কোনো উপায় নেই যে ত্রিশ পঁয়ত্রিশ বছরের মানুষ। চোখের নিচে কালো দাগ পড়েছে মায়ের। দেখতে ৫০ উর্ধ্ব মহিলাদের মত লাগে এখন। এদিকে শশুড়বাড়ি থেকে মৌসুমের জিনিস পত্র আসা বন্ধ হয়েছে। অরিত্রীর স্বামী এখন অরিত্রীকে আগের মত গুরুত্ব দেয় না। অন্যদিকে স্বামীর বাড়িতে অবহেলা অযত্ন অনেকগুন বেড়েছে অরিত্রীর। মাকে কখনো এসব বলে না সে। কারন, মা নিজেই বা কি করবে? কিন্তু তারপরও মাঝে মধ্যে নিজের পুরোনো গহনা ঘাটি বিক্রি করে মেয়ের জামাইকে দেখতে আসেন মা। জামাই আগের মত পায়ে ধরে সালাম করে না। খুব কষ্ট পান। তবুও মেয়ের দিকে তাকিয়ে কখনো মুখ ফুটে কিছু বলেন না।

অরিত্রী এখন শুধু ব্যবহারের পাত্র। এছাড়া কারো কাছে তেমন কোনো মূল্যায়ন নেই বললেই চলে। বিবাহের তৃতীয় বছরে পা রেখেছে ওরা। বিবাহ বার্ষিকী উদযাপন করার অনেক ইচ্ছা অরিত্রীর। কিন্তু এসব তো এখন আর ওর সাথে যায় না। অরিত্রী এখন তিন মাসের অন্তঃসত্ত্বা। বাঁচতে ইচ্ছে করে না ওর। শুধু মনে মনে ভাবে আমার সন্তানও কি আমাকে অমন অবহেলার পাত্র হিসেবে দেখতে আসছে? নাহ! ওর কি দোষ! ওতো নিস্পাপ। এসব ভেবে নিজেকে বাঁচিয়ে রাখার আপ্রাণ চেষ্টা করছে। সন্তানের কথা ভেবে শাশুড়িকে না জানিয়েই মোটামুটি ভালোকিছু খাওয়ার চেষ্টা করে। কারো সাথে তেমন কথা হয় না। শুধু নিজের গর্ভে থাকা সন্তানের দিকে চেয়ে চেয়ে কথা বলে। মাঝে মাঝে পেটের ভিতর থেকে লাথি কিংবা ধাক্কা লাগলে, ধরে নেয় এই বুঝি সন্তান কথার উত্তর দিয়েছে। খুশিতে চোখের জল ফেলে। পুনরায় কথা বলতে শুরু করে।

এভাবে অন্তঃসত্ত্বার আট মাসের মাথায় একদিন অরিত্রীর মা এসেছে অরিত্রীকে দেখার জন্য। সাথে কিছু ফলমূল নিয়ে এসেছেন। আর অরিত্রীর কিছু ছোটবেলার জামা কাপড় এনেছেন। নতুন জামা কেনার মত টাকা নেই মায়ের কাছে। যদিও এখনো জানেন না, সন্তান কি ছেলে নাকি মেয়ে। আসার সময় অরিত্রীর ছোটবেলার জামাগুলো দেখছিলেন আর কাঁদছিলেন। আর ভাবছিলেন, ছোট্ট অরিত্রী আজ কত বড় হয়েছে। কত দুঃখ কষ্ট বাবা মাকে ছাড়াই সইতে শিখে গেছে। বেঁচে থেকেও মেয়ের জন্য কিছু করতে পারছে না বলে মাঝে মাঝে মা হিসেবে নিজেকে অনেক বেশি অসহায় মনে হয়।

এ বাড়িতে আগের মত এখন আর কেউ তড়িঘড়ি করে এসে অরিত্রীর মায়ের জন্য দরজা খুলে না। তাই এখন আসলে প্রথমে অরিত্রীকে জানালা দিয়ে ডেকে দরজা খুলতে বলেন। আজও একই ভাবে জানালার কাছে এসেছেন। জানালায় আওয়াজ দিবে এমন সময় রুমের ভিতর থেকে জগড়ার আওয়াজ শুনলেন। আর শুনছিলেন অরিত্রীকে কিভাবে বাবা মায়ের নাম ধরে ধরে গালিগালাজ করছে ওর স্বামী। চোখ বেয়ে অরিত্রীর মত মায়েরও অশ্রু ঝরছিল। মেয়ের দিকে তাকিয়ে মা যেমন কিছু বলতে পারছে না, ঠিক পেটের সন্তানের দিকে তাকিয়ে অরিত্রী নিজেও কিছু বলতে পারছেনা। তবে এবার অরিত্রীর বাবাকে খুব জঘন্য কোনো গালি দিলো ওর স্বামী। অরিত্রী আর সহ্য করতে পারলো না। উঠে গিয়ে স্বামীর গালে একটা চড় বসিয়ে দিয়ে বললো, আমাকে যা ইচ্ছে বলো। তবুও আমার বাবার মত অমন ভালো মানুষটাকে নিয়ে কিছু বলবে না বলে দিলাম। মুহূর্তেই আরো হিংস্র হয়ে উঠলো ওর স্বামী। আগে পরের সবকিছু ভুলে গিয়ে সজোরে লাথি মারতে থাকলে অরিত্রীর পেটে। অরিত্রী চিৎকার দিয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়লো। ছটফট করছে অরিত্রী। মা দৌড়ে এসেছে। অরিত্রীর নাক মুখ দিয়ে রক্ত বের হচ্ছে।  চিৎকার করে সবাইকে ডাকতে শুরু করলো মা। সবাই তড়িঘড়ি করে অরিত্রীকে হাসপাতালে নিয়ে যায়। অরিত্রীর গর্ভের সন্তানটা ক্ষত বিক্ষত হয়ে গেছে ততক্ষণে। বাবাই তার হত্যাকারি। অমন বাবার জীবনে না এসে সন্তানও বোধহয় কোনো আফসোস করবে না।

এক সপ্তাহ পার হয়ে গেল। হাসপাতালে এখন সে কোনোমতে কথা বলতে পারে। আগামীকাল গ্রামের গন্যমান্য ব্যক্তিরা সবাকে নিয়ে বসবেন। এই ঘটনার জন্য কে দায়ী তার বিচার করবেন। সাক্ষী শুধু একজন আছে, অরিত্রীর মা। যে কিনা নিজের চোখে সবকিছু দেখেছে। তাই অরিত্রীর স্বামী বদিউলের মাথায় এখন শুধু একটাই চিন্তা, অরিত্রীর মাকে কি করা যায় সেটা। শেষ পর্যন্ত মানুষরুপি অমানুষটা কিছু টাকাকড়ি দিয়ে ভাড়াটে সন্ত্রাসীদের হাতে অরিত্রীর মাকে বিচারের আগেরদিন রাতেই নির্মমভাবে হত্যা করলো। ভোর হলো, মায়ের দেখা নেই। পাশের গ্রাম থেকে সকাল ৮ টার দিকে খবর এসেছে এক মহিলার লাশ পাওয়া গেছে। কেউ চিনতে পারছে না। অরিত্রীর বুক ধড়ফড় করে উঠলো। পাগলের মত পাশের গ্রামে ছুটে গেল সে। দূর থেকেই চিনে ফেলেছে এটা আর কেউ নয়, মা। হাউমাউ করে কেঁদে পুরো গ্রাম ভারি করে দিলো। আর কেউ নেইও কাঁদার মত। অরিত্রী কয়েকঘন্টা এমন কান্নাকাটি করে অজ্ঞান হয়ে পড়ে আছে। কেউ ধরতে চাইছে না। একপর্যায়ে স্থানীয় পুলিশ আসে। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ মর্গে পাঠানো হয়। অরিত্রীর জ্ঞান ফিরতে এবার আরও দুইদিন লেগেছে। ততক্ষণে স্থানীয় মুয়াজ্জিন সহ কয়েকজন মিলে জানাজা পড়ে লাশকে মসজিদের পাশে কবর দিয়েছে। আর কোনোদিন মাকেও দেখবে না অরিত্রী।

কে হতে পারে মায়ের হত্যাকারি? অরিত্রী এবার সেটা বের করতে চায়। সন্তানের পর মা। দুই আপন মানুষকে একসাথে হারিয়েছে। অরিত্রীর এখন আর কোনো দুঃখ নেই। দুঃখ নেই বলতে যেটা আছে সেটাকে দুঃখ বললে কম হবে। অরিত্রী অনেকটা নিস্তব্ধ হয়ে গেছে। প্রশ্ন তার কে হতে পারে মায়ের খুনি? কারো সাথে যেই মানুষটার এতটুকু পরিমাণ ধন্ধ নেই, সেই মানুষটাকে কেনই বা হত্যা করা হয়েছে? তাছাড়া কে হত্যা করেছে সেটাই এখন বোঝার চেষ্টা করছে সে। এভাবে বেশ কিছুদিন কেটে যায়। শুধু অরিত্রী ছাড়া সবাই ভুলতে বসেছে অতীতের সব ঘটনা।

একদিন বদিউল বন্ধুদের সঙ্গে তাস খেলছিলো। সাথে নেশাও করছিলো। হঠাৎ মাতাল অবস্থায় আরেকজনকে বলে উঠলো, ঐ বান্দিরে তোরা যদি না মারতি, তাইলে কিন্তু আমি ফাঁইসা যাইতাম। লাভ ইউ দোস্ত'। অরিত্রীর মাথায় যেন আকাশ ভেঙে পড়লো। চোখ বেয়ে জল পড়ছে। ভাবছে, মানুষ কিভাবে এত নিষ্ঠুর আর নিকৃষ্ট হতে পারে? না জানি এই বদিউল আরো কতজনকে হত্যা করেছে। এবার অরিত্রী সিদ্ধান্ত নিলো বদিউলকে না মেরে কোথাও যাবে না। কৌশল খুঁজতে থাকে অরিত্রী। শুধু বদিউলকে না সাথে ওর বন্ধুদেরও মারবে সে, এটাই অরিত্রীর শেষ সিদ্ধান্ত।

শুরু। কিছুদিন যাবৎ একেরপর এক তার কয়েকজন বন্ধুর বিচ্ছিন্ন ঘটনায় মারা যাওয়ার খবর চাপা হচ্ছে। সেটা অরিত্রীর পরিকল্পিত হত্যা। কিন্তু কেউ কোনো কারণ খুঁজে পাচ্ছে না। বদিউল কাওকে সন্দেহ পর্যন্ত করতে পারছে না। আর অরিত্রীকে তো সন্দেহ করার প্রশ্নই উঠে না। কারণ, অমন ভোলা বালা মেয়েকে কেনই বা সন্দেহ করবে?

হ্যাঁ, হত্যার সাথে জড়িত সবাই মারা গেছে। শুধু বেঁচে আছে বদিউল। বদিউলের মনে অনেক ভয় চেপেছে। কাছের বন্ধুরা কেউই নেই এখন আর। তাই কাওকে কিছু বলতেও পারছে না। ভয়ের চোটে বদিউল এখন ঘর থেকে কম বের হয়। কিন্তু বদিউল জানেনা ওর খুনি যে ওর কক্ষেই ঘাপটি মেরে বসে আছে।

বাকি আজকে বদিউলকে খুন করবে অরিত্রী। রান্নাঘর থেকে দা বোটি সব এনে খাটের নিচে রেখেছে। বদিউলের ঘুম আসতে রাত তিনটা পার হয়েছে। সকাল ৮ টায়ও ঘুম ভাঙার কোনো নাম গন্ধ নেই। এই সুযোগে বদির হাত পা বেঁধেছে অরিত্রী। আর দড়িগুলো খুব শক্ত করে খাটের সাথে বেঁধেছে। এবার দরজাটা ভালো করে লাগিয়েছে। তবে রুমের জানালাটা খুলে দিয়ে সবাইকে জোরে জোরে ডেকে এনে রুমের পাশে জড়ো করেছে অরিত্রী। বদিউলও জেগেছে। কিন্তু হাত পা সব বাঁধা। নড়তে পারছে না সে। কিছুই বুঝে উঠার আগে বদিকে দা দিয়ে সজোরে কোপাতে শুরু করে অরিত্রী। বদিউলের চিৎকারে আকাশ বাতাস প্রকম্পিত হচ্ছে। কিন্তু অরিত্রীর কিছুই আসে যায় না। সে তার সন্তানের হত্যাকারিকে মারছে। মায়ের খুনিকে মারছে। এটা তার কাছে দায়িত্ব মনে হয়েছে। অরিত্রীর মনে হয়েছে নিরপরাধে মানুষ হত্যাকারীর শাস্তি এমনই হওয়া উচিৎ। একপর্যায়ে সবাই অনেক কষ্টে দরজা ভেঙ্গে রুমে ঢুকেছে। ততক্ষণে বদিউল গুঙিয়ে গুঙিয়ে চলে যাচ্ছে নরকে।

এরপর থানা, পুলিশ, আদালত কতকিছু হলো। বদিউলের হত্যাকারি অরিত্রীর বিচারের রায়ও হয়েছে আমৃত্যু কারাদণ্ড। কারাগারে বছরখানেক পার হতে চললো তার। কারাগারে অরিত্রী ততদিনে অভ্যস্থ হয়ে গেছে। অনেক সময় বদিউলের সাথে কাটানো সময়গুলোর চেয়ে কারাগারের সময়টাকেই বেশি উপভোগ্য মনে হয় এখন। বরং কখনো কখনো বদিউলের চেয়ে কারাগারের কয়েদিদের আরও ভালো মনে হতো অরিত্রীর। আজ তাদের বিবাহের পঞ্চম বার্ষিকী। অরিত্রী সেটা ভুলেনি। অনেককিছুর মত এইদিনটার কথাও তার মনে আছে। তবে আজ অরিত্রী খুব কেঁদেছে, পাঁচ বছর আগের এই দিনটির কথা ভেবে। আর ভাবছে বিয়েটা না হলে বুঝি কিছুই হতো না!

গল্পে গল্পে অরিত্রী অধিকারীর তার বিবাহ বিবাহবার্ষিকীতে বেঁচে থাকুক সবার মাঝে। অরিত্রী মেরেছে অনেক, ঘাতক অরত্রীকে তবে আত্মঘাতী আর দেখতে হয়নি।

 

এ এইচ আজহার

লোকপ্রশাসন বিভাগ

শিক্ষার্থী, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়


সর্বশেষ সংবাদ