রাজশাহী কলেজের উত্তরোত্তর সমৃদ্ধির জন্য প্রস্তুত আছি

অধ্যাপক মু. যহুর আলী
অধ্যাপক মু. যহুর আলী  © টিডিসি

রাজশাহী কলেজে গত ২৩ সেপ্টেম্বর অধ্যক্ষ হিসেবে যোগ দিয়েছেন কলেজের হিসাববিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক মু. যহুর আলী। চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর উপজেলার জাহিদনগর গ্রামের এই কৃতী সন্তান রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের হিসাববিজ্ঞান বিভাগ থেকে কৃতিত্বের সঙ্গে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেন। তিনি ১৪তম বিসিএস শিক্ষা ক্যাডারে নিয়োগ পান। তিনি চাঁপাইনবাবগঞ্জ কলেজের প্রভাষক হিসেবে শিক্ষকতা শুরু করেন। এরপর তিনি ইউনেস্কো কমিশন, জগন্নাথ কলেজ, কুড়িগ্রাম সরকারি মহিলা কলেজ, নবাব সিরাজউদ্দৌলা সরকারি কলেজ, রাজশাহী নিউ গভঃ ডিগ্রি কলেজ ও রাজশাহী সিটি কলেজে কর্মরত ছিলেন।

অধ্যক্ষ মু. যহুর আলী সঙ্গে কলেজের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা বলেছেন দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসের রাজশাহী কলেজ প্রতিনিধি এস আলী দুর্জয়।  

দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাস: রাজশাহী কলেজের অধ্যক্ষ হিসেবে যোগদান করেছেন। আপনার অনুভূতি কেমন।

অধ্যাপক মু. যহুর আলী:  এটি নিঃসন্দেহে গর্বের ও সম্মানের। এটি অনেকেরই কাঙ্ক্ষিত জায়গা।  তবে এখানে যোগদানের আদেশ হওয়ার আগপর্যন্ত এ বিষয় আমার তেমন ধারণা ছিল না। সেই হিসেবে অনুভূতি তো হয়ই। সব অনুভূতি প্রকাশ করা যায় না, করার ভাষা থাকে না। তবে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব ও জায়গা। এর পরিবার যে অনেক বড় এখানে এসে সেটি আমি বুঝতে পারছি। এ দায়িত্ব পালনের জন্য আমি নিজেকে সচেষ্ট রাখছি।

দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাস: রাজশাহী কলেজ নিয়ে আপনার ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা কী?

অধ্যাপক মু. যহুর আলী: রাজশাহী কলেজ এমন একটি জায়গা, যেখান থেকে পিছপা হওয়ার কোনো সুযোগ নেই । সেই হিসেবে আমি আমার সব সহকর্মীর সহযোগিতায় এর উত্তরোত্তর সাফল্যের জন্য যত ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করা যেতে পারে এবং এর মান বজায় রাখার জন্য বর্তমান যে পদ্ধতি আছে, সে প্রক্রিয়া আমরা পরিচালনা করছি | এর থেকে যদি উন্নত করার জন্য পরামর্শ আসে অথবা সুধীজনের পক্ষ থেকে পরামর্শ  আসে, তাহলে সেটি নিয়ে কলেজের উত্তরোত্তর সমৃদ্ধর জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করতে প্রস্তুত আছি ।

দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাস: কলেজে কিছু বিভাগে শিক্ষক সংকট রয়েছে। এ সমস্যার সমাধান কীভাবে করবেন?

অধ্যাপক মু. যহুর আলী: এটি একটি চ্যালেনজিং বিষয়। আমাদের প্রশাসন এ বিষয়ে তৎপর থাকে। আমাদের চাহিদা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে পূরণ করতে পারি । সময় সময় আমাদের শূন্য পদের তালিকা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়, মাউশিতে পাঠানো হয়। সেখান থেকে হয়তো আমাদের চাহিদা দেওয়া থাকে। তবে এ বিষয়ে যদি ব্যক্তিগতভাবে কথা বলার সুযোগ পাই বা চাহিদা দেয়ার সুযোগ পাই, তাহলে আমার প্রশাসনের পক্ষ থেকে এ প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখব।

আরও পড়ুন: শিক্ষক-ছাত্র সম্পর্কটা বন্ধুত্বপূর্ণ

অধ্যাপক মু. যহুর আলী: ছাত্র রাজনীতি বন্ধের বিষয়টি আমরা সবাই অবগত আছি। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা রাজনীতি বন্ধের জন্য তৎপরতা চালায়। ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মহোদয়কে বিষয়টি অবগত করে। আপাতত আমাদের ক্যাম্পাস ছাত্র রাজনীতিমুক্ত হিসেবেই পরিচালিত হচ্ছে। যদি কিছু হয়, তবে সেটি সর্বসম্মতিক্রমে হবে।

দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাস: কলেজ ক্যাম্পাসের টেকসই পরিবেশ সুরক্ষা ধরে রাখার বিষয়ে কী ভাবছেন?

অধ্যাপক মু. যহুর আলী: খুব গুরুত্বপূর্ণ একটি প্রশ্নের অবতারণা করেছেন। এটির জবাব এককথায় দেওয়া কঠিন। অবকাঠামোগত বিষয়গুলো যেটা হয়, কিন্তু এই পরিবেশ রক্ষার জন্য আপনারা যা দেখছেন, এটি আমাদের অব্যাহত থাকবে, এটি যেন আমরা চালিয়ে যেতে পারি। আমাদের সুধীজন ও শিক্ষার্থীদের যেন সর্বাত্মক সহযোগিতা থাকে। তারা নিজেরাই এখন ময়লা ফেলে না। এখানে পরিচ্ছন্নতাকর্মী আছে। এ ছাড়া যে জিনিসগুলা আপনারা দেখছেন, টেকসই পদ্ধতিতে যাওয়ার জন্য আমাদের প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে।

দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাস: ক্যাম্পাসে নিরাপত্তার বিষয়টি কীভাবে দেখছেন?

অধ্যাপক মু. যহুর আলী: ক্যাম্পাসে নিরাপত্তার বিষয়টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আমার যোগদানের পর দর্শনার্থী হিসেবে যারা ঘুরতে আসে সন্ধ্যার আগেই যেন তারা চলে যান এ জন্য আমাদের নিরাপত্তাকর্মীরা অনুরোধ করে। তা ছাড়া আমাদের সার্বক্ষণিক ভিজিটিং এক্সট্রিম কাজ করে। তারা বিষয়গুলো অবলোকন করে এবং আমাদের জানায়। আমরা নিরাপত্তার বিষয়ে সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থায় থাকি।

দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাস: আপনাকে ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন।

অধ্যাপক মু. যহুর আলী: আপনাকেও ধন্যবাদ।


সর্বশেষ সংবাদ

×
  • Application Deadline
  • December 17, 2025
  • Admission Test
  • December 19, 2025
APPLY
NOW!
GRADUATE ADMISSION
SPRING 2026!
NORTH SOUTH UNIVERSITY
Center of Excellence