বন্যা

সব বোর্ডের এইচএসসি পরীক্ষা দুই মাস পেছাতে প্রধানমন্ত্রীকে স্মারকলিপি

এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা
এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা  © ফাইল ছবি

বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় সিলেট বিভাগের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা আগামী ৮ জুলাই পর্যন্ত স্থগিত করা হয়েছে। তবে এবার সব বোর্ডের পরীক্ষা দুই মাস পেছাতে প্রধানমন্ত্রীকে স্মারকলিপি দিয়েছেন এইচএসসি-২৪ ব্যাচের শিক্ষার্থীরা। মঙ্গলবার (২৫ জুন) প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ে এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের পক্ষে এই স্মারকলিপি জমা দেন ধানমন্ডি আইডিয়াল কলেজের শিক্ষার্থী মাইশা মাহফুজ স্নেহা। এসময় বিভিন্ন কলেজের পরীক্ষার্থীরাও উপস্থিত ছিলেন। 

স্মারকলিপিতে বলা হয়, এইচএসসি ২০২৪ এর পরীক্ষার্থী বিনীতভাবে আপনার দৃষ্টি আকর্ষণ করছি যে, আসন্ন  পরীক্ষা সংক্রান্ত কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আমরা গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। এই পত্রের মাধ্যমে আমাদের দাবির স্বপক্ষে যুক্তি উপস্থাপন করছি এবং আপনার সদয় বিবেচনা কামনা করছি।

এতে আরও বলা হয়, ভারি বৃষ্টিপাত ও পাহাড়ি ঢলে সিলেট, সুনামগঞ্জ ও মৌলভীবাজারের বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়ে পানিবন্দি হয়ে পড়েছে ১৫ লাখের বেশি মানুষ। এর মধ্যে ৩০ হাজারের বেশি আশ্রয় কেন্দ্রে ঠাঁই নিয়েছে। এবারের বন্যায় সিলেট নগরের ২৩ টি ওয়ার্ডসহ ১৩ টি উপজেলায় বৃহস্পতিবার (২০ জুন) সকাল পর্যন্ত ৯ লাখ ৫৭ হাজার ৪৪৮ জন বন্যায় আক্রান্ত হন। এদিকে, দ্বিতীয় দফায় সিলেটে ৪৮৯ টি বিদ্যালয় বন্যাকবলিত হয়েছে। এর মধ্যে ২২৬ টি বিদ্যালয়ে বন্যার্তদের জন্য আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। এ ছাড়া সুনামগঞ্জ জেলায় বন্যাকবলিত হয়েছে ২৫৯ টি বিদ্যালয়। এর মধ্যে আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে ১৪৮ টি বিদ্যালয়।

এছাড়া, বেশ কয়দিনের ভারী বর্ষণে চট্টগ্রাম অঞ্চলের বিভিন্ন নদীর পানি বেড়ে পানিতে তলিয়েছে টেকনাফ। যদিও পানি কেবল নামতে শুরু করেছে, তবুও বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি এখনো দেখা যাচ্ছে না এই অঞ্চলে। এসবের পাশাপাপাশি, ময়মনসিংহ বিভাগের বন্যা পরিস্থিতিরও চরম অবনতি হচ্ছে। বন্যা কবলিত রয়েছে বিভাগের নেত্রকোণা জেলার সহস্রাধিক পরিবার ও শত শত গ্রাম।

আরও পড়ুন: সব বোর্ডের এইচএসসি পরীক্ষা পেছানো নিয়ে যা জানাল আন্তঃশিক্ষা বোর্ড

পরীক্ষার্থীরা বলেন, ছাত্রছাত্রীদের এইচএসসি শেষ করেই ভর্তিযুদ্ধে নামতে হয়। সারাজীবনের স্বপ্ন অল্পকিছুদিনের প্রস্তুতির উপর নির্ভর করে। গত বছর চট্টগ্রাম বোর্ডের পরীক্ষা ১০ দিন পেছানো হয়েছিল। কিন্তু মেডিকেল ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলো ভর্তি পরীক্ষা পেছায়নি। সব বোর্ডের সাথেই চট্টগ্রামে বোর্ডের পিছিয়ে পড়া ছাত্রছাত্রীরা ভর্তি পরীক্ষা দেয়। এমতাবস্থায় স্বাভাবিকভাবেই ছাত্রছাত্রীরা মানসিকভাবে পিছিয়ে পড়বে। বাকিদের অনেক পরে ভর্তি প্রস্তুতি শুরু করায় মানসিক চাপের কারণে অনেকের স্বপ্নভঙ্গ ঘটার আশঙ্কা দেখা দেয়। অথচ সকলেই একই শিক্ষাব্যবস্থার অন্তর্গত। সকলেই 'লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড' পাওয়ার অধিকার রাখে।

এতে প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলা হয়, শিক্ষাব্যবস্থার একজন অভিভাবক আপনি। সবার উৎকণ্ঠিত দৃষ্টি আপনার দিকে। শুধুমাত্র বন্যাকবলিত অঞ্চলগুলোই নয় বরং সকল বোর্ডের পরীক্ষা ২ মাস পিছিয়ে নিতে (বন্যার মৌসুমের পর পর্যন্ত) প্রধানমন্ত্রীকে বিষয়টি বিবেচনা করে দেখার অনুরোধ জানাচ্ছি। 


সর্বশেষ সংবাদ