খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফ্যাসিস্টদের চিহ্নিত করতে কমিশন গঠন করা হবে: উপাচার্য
- খুবি প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ০৫ আগস্ট ২০২৫, ১০:১৭ PM , আপডেট: ০৫ আগস্ট ২০২৫, ১০:১৭ PM
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বলেন, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের (খুবি) ফ্যাসিস্টদের চিহ্নিত করতে একটি কমিশন গঠন করা হবে। আগামী সিন্ডিকেট সভায় বিষয়টি উত্থাপন করা হবে। মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস উপলক্ষে আয়োজিত বিজয়যাত্রা শেষে তিনি এ কথা বলেন।
দিবসটি উপলক্ষে বিকেলে ক্যাম্পাসের হাদী চত্বর থেকে ‘বিজয়যাত্রা’ বের করা হয়। শোভাযাত্রাটি ক্যাম্পাস থেকে জিরো পয়েন্ট মোড়ে গিয়ে শেষ হয়। সেখানে সংক্ষিপ্ত আলোচনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. রেজাউল করিম।
উপাচার্য বলেন, ‘দেশে যখন ফ্যাসিবাদী শক্তি একচ্ছত্র আধিপত্য বিস্তার করেছিল, তখনই তরুণরা এগিয়ে এসে প্রতিবাদের ধ্বনি তুলেছিল। কোটা সংস্কারের দাবিকে কেন্দ্র করে শুরু হওয়া আন্দোলন পরে পরিণত হয় গণআন্দোলনে। সেই আন্দোলনের চূড়ান্ত পরিণতিতে আমরা একটি ফ্যাসিবাদমুক্ত বাংলাদেশ ফিরে পেয়েছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তিতে আমরা সব শহিদের স্মরণ ও আহতদের আশু সুস্থতা কামনা করি। আজ আমরা যদি জুলাই শহিদ, আহত ও আন্দোলনকারীদের ভুলে যাই, তাহলে তা হবে দেশ ও জাতির জন্য বিশ্বাসঘাতকতা। পাশাপাশি আমরা জুলাই হত্যাযজ্ঞের বিচার দ্রুত সম্পন্ন করার জন্য বর্তমান সরকারের প্রতি দাবি জানাই।’
উপাচার্য বলেন, ‘আমাদের প্রত্যেককে জুলাই অভ্যুত্থানের চেতনায় ঐক্যবদ্ধ হয়ে বৈষম্যহীন ও ন্যায্যতাভিত্তিক বাংলাদেশ বিনির্মাণে সক্রিয় থাকতে হবে।’
বিশেষ অতিথি হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. হারুনর রশীদ খান বলেন, ‘জুলাই আন্দোলনের ফলে আমরা দেশকে নতুনভাবে গড়ে তোলার সুযোগ পেয়েছি। বিগত সময়ে জুলাই আন্দোলনের বিপক্ষে যারা ছিল, তাদের মুখোশ উন্মোচন ও ব্যবস্থা নেওয়ার সময় এসেছে। এ ব্যাপারে সব মহলকে কার্যকর ভূমিকা রাখতে হবে।’
এ ছাড়া জুলাই শহিদদের আত্মার মাগফিরাত ও আহতদের আশু সুস্থতা এবং জুলাই যোদ্ধাদের সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করে দোয়া অনুষ্ঠিত হয়। দোয়া পরিচালনা করেন মাওলানা গোলজার হোসাইন।
পরে বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাফেটেরিয়ায় জুলাই গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে ‘জুলাই হত্যাযজ্ঞের’ খুনিদের বিচারের দাবিতে চলমান গণস্বাক্ষর কর্মসূচি আনুষ্ঠানিকভাবে সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়। সন্ধ্যায় একই স্থানে শিক্ষার্থীদের সংশ্লিষ্ট সংগঠনসমূহের উদ্যোগে ‘সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান’ আয়োজন করা হয়।