আম কি ডায়াবেটিসের জন্য ভালো? কী বলছে গবেষণা

প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি  © সংগৃহীত ছবি

ভারতীয় উপমহাদেশে সুস্বাদু ফল হিসেবে আমের জনপ্রিয়তা ব্যাপক। ডায়াবেটিস বিশেষজ্ঞরা প্রায়ই তার রোগীদের কাছ থেকে সবচেয়ে সাধারণ প্রশ্নগুলির মধ্যে একটি শুনতে পান ‌‌‘আমি কি আম খেতে পারি?’ প্রথাগত অনেক ভ্রান্ত বিশ্বাস রয়েছে যে আমাদের মিষ্টি ডায়াবেটিস বাড়িয়ে দিতে পারে। তাই অনেকে মনে করেন, ডায়াবেটিস রোগীদের কঠোর ভাবে আম খাওয়া থেকে বিরত থাকা উচিত।  

তবে সাম্প্রতি  দুটি ভারতীয় ক্লিনিকাল ট্রায়াল গবেষণায় দেখে গেছে, আম ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য ক্ষতিকর নয়। আম টাইপ ২ ডায়াবেটিস রোগীদের রক্তে শর্করা এবং বিপাকীয় স্বাস্থ্যের উন্নতি করতে পারে। 

প্রতি ১০০ গ্রাম আমে দুই হাজার ৭৪০ মাইক্রোগ্রাম ক্যারোটিন থাকে। এতে ১.৩ গ্রাম আয়রন, ১৪ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম, ১৬ মিলিগ্রাম ফসফরাস, ১৬ মিলিগ্রাম ভিটামিন ‘সি’, ০.৯ মিলিগ্রাম রিভোফ্লেভিন এবং ০.০৮ মিলিগ্রাম থায়ামিন থাকে।

এতে রয়েছে প্রচুর খনিজ লবণ এবং বিভিন্ন ভিটামিন। প্রতি ১০০ গ্রাম পাকা আমে ০.৫ গ্রাম খনিজ লবণ থাকে। এ ছাড়া ভিটামিন ‘এ’, ভিটামিন ‘সি’ ও ভিটামিন বি৬ রয়েছে আমে। এতে আছে অ্যামাইনো এসিড, পটাসিয়াম ও কপার।

আমে থাকা বিটা ক্যারোটিন, লুশিয়েন জিলাইক এসিড, আলফা ক্যারোটিন, পলি পিথানল কিউরেচিন কাম্ফারল, ক্যাফিক এসিড ইত্যাদিও স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। এতে কিছু পরিমাণ প্রোটিন ও ফ্যাট থাকে। যেমন- প্রতি ১০০ গ্রাম পাকা আমে ১ গ্রাম প্রোটিন এবং ০.৭ গ্রাম ফ্যাট থাকে। আম শ্বেতসারের ভালো উৎস।


আন্তর্জাতিক ডায়াবেটিস ফেডারেশন (আইডিএফ) অনুসারে, বিশ্বব্যাপী ৯০% এরও বেশি রোগী টাইপ ২ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত । এটি বিশ্বের আক্রান্তের দিক থেকে অষ্টম রোগ যা ২০৫০ সালের মধ্যে দ্বিতীয় স্থানে থাকবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।  এটি অতিরিক্ত ওজন, বয়স, জাতিগততা এবং পারিবারিক ইতিহাসের সাথে দৃঢ়ভাবে জড়িত।


সর্বশেষ সংবাদ

X
APPLY
NOW!