ভ্রমণের আনন্দে বাধা বমি? সহজ সমাধান এখানে
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ১৯ মে ২০২৫, ০৭:৩৩ PM , আপডেট: ২০ মে ২০২৫, ১২:৫১ PM
অনেকের জন্যই দূরপাল্লার বাস বা গাড়ি ভ্রমণ একটি দুঃস্বপ্ন। যাত্রা শুরু না হতেই মাথা ঘোরা, বমি কিংবা বমির ভাব শুরু হয়ে যায়। এই অবস্থাকে চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষায় বলা হয় ‘মোশন সিকনেস’ বা গতিজনিত অসুস্থতা। এটি মূলত শরীরের ভেতরের ভারসাম্য রক্ষার প্রক্রিয়ার সঙ্গে চলন্ত যানবাহনের গতি ও কম্পনের অসঙ্গতির কারণে ঘটে।
তবে কিছু সাবধানতা মেনে চললে এই বিরক্তিকর সমস্যাকে নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব। নিচে দেওয়া হলো মোশন সিকনেস থেকে বাঁচতে কার্যকর কিছু পরামর্শ:
সামনের সিট বেছে নিন: গাড়ি বা বাসের সামনের দিকে জানালার পাশে বসার চেষ্টা করুন। বাইরে তাকিয়ে দৃষ্টি প্রসারিত রাখলে মস্তিষ্ক গতি বুঝতে পারে, অসুস্থতার সম্ভাবনা কমে।
যথেষ্ট ঘুম গুরুত্বপূর্ণ: যাত্রার আগের রাতে ভালোভাবে ঘুমানো খুবই জরুরি। ক্লান্ত শরীর মোশন সিকনেসকে আরও বাড়িয়ে দেয়।
হালকা খাবার খান: যাত্রার আগে ভারী বা গুরুপাক খাবার খাওয়Avoid করে হালকা ও সহজপাচ্য খাবার খান। যাত্রাপথে বাইরের খাবার এড়িয়ে চলুন এবং অতিরিক্ত খাওয়া থেকে বিরত থাকুন।
বই পড়া বা স্ক্রিন দেখা নয়: গাড়ি চলার সময় মোবাইলে গেম খেলা, বই পড়া বা ইন্টারনেট ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকুন। এতে মাথা ঘোরা ও বমিভাব বাড়তে পারে।
ধূমপান থেকে দূরে থাকুন: ধূমপান মোশন সিকনেসকে আরও তীব্র করে তোলে, তাই ভ্রমণের সময় এটি একেবারেই এড়িয়ে চলা উচিত।
আদা বা লেবুর চা খেতে পারেন।
ছোট পরিমাণে আদা, মৌরি বা লবঙ্গ চিবিয়ে খাওয়া মোশন সিকনেস কমাতে সাহায্য করে।
মনকে ইতিবাচক রাখার চেষ্টা করুন, গান শুনুন, বন্ধুর সঙ্গে কথা বলুন—যাতে মন দুর্বলতা থেকে সরে আসে।
যদি উপরের পদ্ধতিগুলোতে কাজ না হয়, তাহলে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী কিছু ওষুধ নিতে পারেন। যেমন—প্রোমিথাজিন, হায়োসিন, মেকলোজিন, ওনডানসেট্রন ইত্যাদি। এসব ওষুধ যাত্রার আগের রাতে একটি এবং ভ্রমণের ৩০ মিনিট আগে একটি করে খাওয়া যেতে পারে। তবে অবশ্যই আগে একজন চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করে নেবেন।
ভ্রমণ যেন আতঙ্ক নয়, আনন্দের উৎস হয়—সেজন্য এই ছোট ছোট সতর্কতা মেনে চলুন। মোশন সিকনেস থাকলেও আপনি নিশ্চিন্তে উপভোগ করতে পারবেন যাত্রার প্রতিটি মুহূর্ত।