কাশির জন্য কফ-সিরাপ কি আসলেই নিরাপদ?

প্রাকৃতিক উপায়ে কাশি কমান
প্রাকৃতিক উপায়ে কাশি কমান  © এআই দিয়ে তৈরি

অনেকেই গলা খুসখুস এবং কাশিতে ভোগেন, যা বিভিন্ন কারণে হতে পারে। কাশির ধরন ও কারণ অনুযায়ী চিকিৎসা প্রয়োজন। কফ-কাশির জন্য বাজারের কফ-সিরাপ খাওয়া কোনো সমাধান নয়। এটি কেবল ঘুমানোর অনুভূতি বাড়াতে পারে, কিন্তু বাজারে চলতি কফ-সিরাপগুলো কিছু ক্ষেত্রে খিঁচুনি, ঝিমুনি, অস্বাভাবিক হৃৎস্পন্দন, কিডনি ও যকৃতের সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে।

কফ-সিরাপে সাধারণত হাইড্রোকার্বন থাকে, যা বুকব্যথা এবং কাশি দমনে ব্যবহৃত হয়। হাইড্রোকার্বন একটি নারকোটিক উপাদান এবং এর ব্যবহার ক্ষতিকর হতে পারে। এছাড়া, কফ-সিরাপের অন্যান্য উপাদান যেমন গুয়াইফেনেসিন, সিউডোএফেড্রিন, ডেক্সট্ররমিথোমরফিন এবং ট্রাইমিথোপ্রলিপ্রিন রক্তচাপ বৃদ্ধি করতে পারে, ঝিমুনি তৈরি করতে পারে এবং ঘুম ঘুম ভাব আনতে পারে। সিরাপের মরফিন স্নায়ু ও পেশি শিথিল করে দেয় এবং ইফিড্রিন শ্লেষ্মা শুকিয়ে দেয়। চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া এসব উপাদান গ্রহণ করা উচিত নয়, কারণ এটি কেবল কাশির উপসর্গ উপশম করে, কিন্তু আসল রোগের চিকিৎসা অযোগ্য হয়ে থাকে।

কাশির ক্ষেত্রে সঠিক চিকিৎসা খুঁজে বের করা গুরুত্বপূর্ণ। যদি কাশি সাধারণ ফ্লু বা ভাইরাসজনিত হয়, তবে এটি নিজে থেকেই সেরে যাবে। তবে কফ-সিরাপ নয়, কিছু প্রাকৃতিক উপদেশ অনুসরণ করতে পারেন:

১. প্রচুর পানি পান করুন, এতে কফ পাতলা হবে।
২. গরম পানির ভাপ নিন, যাতে কফ পাতলা হয়ে যায়।
৩. শুকনো কাশিতে গলা খুসখুস করলে হালকা গরম পানিতে নুন দিয়ে কুলকুচি বা গার্গল করুন। মুখে লজেন্স, লবঙ্গ বা আদা রাখলেও আরাম পাওয়া যায়।

কখন চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত?
যদি কাশির সঙ্গে শ্বাসকষ্ট থাকে, রক্ত দেখা যায়, কাশতে কাশতে শরীর নীল হয়ে যায়, প্রচণ্ড জ্বর থাকে বা কথা বলতে কষ্ট হয়, তবে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। কাশি দুই থেকে তিন সপ্তাহের বেশি সময় ধরে চললে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়া প্রয়োজন।


সর্বশেষ সংবাদ

X
APPLY
NOW!