ডায়াবেটিস কত হলে স্বাভাবিক: জানুন গ্লুকোজ ও এইচবিএ১সি পরীক্ষার মানদণ্ড

ডায়াবেটিস পরীক্ষা
ডায়াবেটিস পরীক্ষা  © সংগৃহীত

ডায়াবেটিস শনাক্ত করার সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য পদ্ধতি হলো ওরাল গ্লুকোজ টলারেন্স টেস্ট (ওজিটিটি)। এই পরীক্ষায় প্রথমে খালি পেটে রক্তে গ্লুকোজ মাপা হয়, তারপর ৭৫ গ্রাম গ্লুকোজ মিশ্রিত শরবত পান করে দুই ঘণ্টা পর আবার রক্ত পরীক্ষা করা হয়। এতে নিখুঁতভাবে বোঝা যায় কার ডায়াবেটিস আছে, কার নেই বা কে প্রি-ডায়াবেটিস অবস্থায় আছেন।

তবে এই পদ্ধতিটি একটু ঝামেলাপূর্ণ—খালি পেটে থাকতে হয়, দুইবার রক্ত দিতে হয় এবং মাঝখানে দুই ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হয়। সেই কারণেই এইচবিএ১সি নামের একটি পরীক্ষা জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। এই পরীক্ষায় বিগত দুই-তিন মাসের গড় রক্তে শর্করার মাত্রা জানা যায় এবং যেকোনো সময় একবার রক্ত দিয়ে এটি করা যায়।

আমেরিকান ডায়াবেটিক অ্যাসোসিয়েশন অনুযায়ী, এইচবিএ১সির মান: ৫.৭%-এর নিচে হলে স্বাভাবিক, ৫.৭% থেকে ৬.৪% হলে প্রি-ডায়াবেটিস, ৬.৫% বা তার বেশি হলে ডায়াবেটিস ধরা পড়ে।

তবে এই পরীক্ষা নির্ভরযোগ্য ল্যাবে করতে হবে এবং কারও বংশগত রক্তরোগ বা রক্ত ভাঙার সমস্যা থাকলে ফলাফল বিভ্রান্তিকর হতে পারে। গর্ভাবস্থায় ডায়াবেটিস নির্ণয়ে এই পদ্ধতি প্রযোজ্য নয়।

৪০ বছর বয়সের পর যদি কারও ওজনাধিক্য থাকে, পরিবারে ডায়াবেটিসের ইতিহাস থাকে কিংবা অন্যান্য ঝুঁকি থাকে, তাহলে নিয়মিত স্ক্রিনিং করা জরুরি। ওজিটিটি বা এইচবিএ১সি যেকোনো একটি পরীক্ষার মাধ্যমে সহজেই জানা সম্ভব—আপনার ডায়াবেটিস কতটুকু নিয়ন্ত্রণে আছে বা আদৌ আছে কি না।


সর্বশেষ সংবাদ

X
APPLY
NOW!