উদোর পিণ্ডি বুধোর ঘাড়ে চাপানোর অপচেষ্টা করছে সরকার: মামুনুল

সারাদেশে লকডাউনের সময়য়ে আলেম-ওলামাদের নির্বিচারে গ্রেপ্তার অত্যন্ত গর্হিত ও নিন্দনীয় কাজ উল্লেখ করে হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম-মহাসচিব মামুনুল হক বলেছেন, সহিংসতার দায় হেফাজতের ওপর চাপানো উদোর পিন্ডি বুদোর ঘাড়ে চাপানোর নামান্তর! আজ শনিবার (১৭ এপ্রিল) সকালে তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজের এক স্ট্যাটাসে এ মন্তব্য করেন তিনি।

মামুনুল হক বলেন, ২৭ মার্চ থেকে ২ এপ্রিল বিক্ষোভ, হরতাল, দোয়া ও প্রতিবাদ সমাবেশ হেফাজতে ইসলাম আহুত প্রতিটি কর্মসূচি পালিত হয়েছে প্রশাসনের অনুমোদন স্বাপেক্ষে এবং শান্তিপূর্ণভাবে। এর আগে ২৬ মার্চের ঘটনার দায় কোনোভাবেই হেফাজতের উপর বর্তায় না। এ দায় হেফাজতের উপর চাপানো সুস্পষ্ট অন্যায়। হরতালের আগে ও পরে বি. বাড়িয়ায় সংঘটিত সহিংসতার সাথে হেফাজতের নেতাকর্মীদের সংশ্লিষ্টতা কতটুকু, সেটাও প্রশ্ন স্বাপেক্ষ।

তিনি বলেন, বি. বাড়িয়ায় ক্ষমতাসীন দলের স্থানীয় কোন্দল ও তাদের কর্তৃক হামলার কথা খোদ প্রশাসনও অস্বীকার করে না। সুতরাং বি.বাড়িয়ার সহিংসতা ও জ্বালাও-পোড়াওয়ের দায় হেফাজতের উপর চাপিয়ে দেয়াও উদোর পিন্ডি বুদোর ঘাড়ে চাপানো বৈ কিছুই নয়।

তিনি আরও বলেন, হেফাজতের কর্মসূচি চলাকালীন ৪ দিনে ঢাকায়তো একটা ইট-পাটকেলও ছোড়া হয়নি। পুলিশের নিরাপত্তা ও বেষ্টনীর মধ্যেই সবগুলো কর্মসূচি পালিত হয়েছে। তাহলে রোযা-রমযানের দিন ঢাকায় কেন ধরপাকড় চলছে ।

“আজিজুল হক ইসলামাবাদী কাকে আঘাত করেছে? মঞ্জুরুল ইসলাম আফেন্দী কোথায় হামলা করেছে? মুফতী সাখাওয়াত হোসাইন রাযী কার মাথায় বাড়ি মেরেছে? মাওলানা যুবায়ের আহমদ কার বারাভাতে ছাই দিয়েছে? মাওলানা ইলিয়াস হামিদী, মাওলানা রফিকুল ইসলাম মাদানী, মুফতী বশিরুল্লাহ, মাওলানা শরিফুল্লাহরা কোথায় কার ওপর হাত তুলেছে? করোনা পরিস্থিতির ভয়বহতায় লকডাউনের সময় এভাবে আলেম-ওলামাদের নির্বিচারে গ্রেফতার অত্যন্ত গর্হিত ও নিন্দনীয়।”

মামুনুল হক আরও বলেন, নিজ দেশে যারা পরবাসীর মত থাকতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন, তাদের কথা ভিন্ন। অন্যথায় আত্মমর্যাদা সম্পন্ন ঈমানদারগণ এটা নীরবে মেনে নিতে পারেন না। এই পরিস্থিতিতে মনে হচ্ছে জুলুমের মুক্ত বাতাস থেকে প্রতিবাদের বন্দিত্বই হাজার গুণে শ্রেষ্ঠ!

The Daily Campus এর খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন